For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়া কমাতে কাজে লাগানে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিকে!

এই লেখায় আলোচিত পদ্ধতিগুলি কিন্তু চুল পরা কমাতে দারুন কাজে আসে। তাই আপনিও যদি এমন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এক্ষুনি চোখ রাখুন এই লেখায়।

By Nayan
|

নানা কারণে চুল পরা বেড়ে যেতে পারে। যেমন ধরুন- পরিবেশ দূষণ, বয়স, স্ট্রেস, স্মোকিং, পুষ্টির অভাব, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, জেনেটিক কারণ, স্কাল্প ইনফেকশন, হেয়ার প্রডাক্টের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, বেশ কিছু ওষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে, থাইরয়েড, অটোইমিউন ডিজজ,পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম, অ্যানিমিয়া প্রভৃতি।

আমাদের মাথায় প্রায় ১০০,০০০ চুল রয়েছে। যার মধ্য়ে প্রতিদিন ৫০-১০০ টা চুল পরে যাওয়া একেবারে স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এর থেকে বেশি মাত্রায় পরতে শুরু করলেই চিন্তার বিষয়। এক্ষেত্রে যত শীঘ্র সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, না হলে কিন্তু মাথা ফাঁকা হয়ে যেতে সময়ও লাগবে না। এই লেখায় আলোচিত পদ্ধতিগুলি কিন্তু চুল পরা কমাতে দারুন কাজে আসে। তাই আপনিও যদি এমন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এক্ষুনি চোখ রাখুন এই লেখায়।

এক্ষেত্রে যে সব উপায়ে চুল পরা আটকানো যেতে পারে। সেগুলি হল...

১. দই:

১. দই:

২ চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ চামচ মধু এবং ১ চামচ লেবুর রস নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। যখন দেখবেন প্রতিটি উপাদান ঠিক মতো মিশে গেছে, তখন মিশ্রনটা ভাল করে চুলে লাগিয়ে কম করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে চুলটা ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এমনটা সপ্তাহে একবার করলেই দেখবেন চুল পড়ার হার কমতে শুরু করেছে।

২. নারকেল দুধ:

২. নারকেল দুধ:

এক কাপ নারকেল দুধ নিয়ে ধীরে ধীরে স্কাল্পে লাগান। তারপর একটা টাওয়াল দিয়ে মাথাটা ডাকা দিয়ে কম করে ২০ মিনিট রেখে ভাল করে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। এমনটা সপ্তাহে কয়েকবার করলেই দেখবেন চুল পড়া কমতে শুরু করবে। কারণ নারকেল দুধে উপস্থিত ভিটামিন ই, চুলের অন্দরে ময়েসশ্চারাইজারের ঘাটতি দূর করে। ফলে চুল পড়ার হার কমে যায়।

৩. পেঁয়াজে রস:

৩. পেঁয়াজে রস:

এতে উপস্থিত সালফার হেয়ার ফলিকেলসে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দিয়ে নিমেষে চুল পরা কমিয়ে দেয়। এখানেই শেষ নয়, পেঁয়াজের রসে রয়েছে বিপুল পরিমাণে অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল প্রপাটিজ, যা স্কাল্পে ঘর বেঁধে থাকা জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে স্কাল্প ইনফেকশনের সঙ্গে সঙ্গে চুল পরার অশঙ্কাও হ্রাস পায়। কীভাবে চুলে লাগাবেন পেঁয়াজের রস? ১ টা পেয়াজ থেকে রস সংগ্রহ করে নিন। তারপর সেই রস সরাসরি মাথায় লাগিয়ে মাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে নিন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ২-৩ বার এই পদ্ধতিতে চুলের পরিচর্যা করলে ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে।

৪. বিটরুট:

৪. বিটরুট:

এতে উপস্থিত পটাশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং সি নানাভাবে চুল পড়া কমাতে সাহায্য় করে থাকে। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো বিটরুট পাতা নিয়ে জলে ফেলে সেদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর পাতাগুলিকে গুঁড়ো করে নিয়ে মেথির সঙ্গে মিশিয়ে স্কাল্পে লাগালেই কেল্লাফতে! কারণ এই মিশ্রনটি ২০ মিনিট মাথায় লাগিয়ে রাখলে চুল পড়ার হার একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে তিনবার এমনভাবে চুলের পরিচর্যা করতে হবে।

৫. মেথি:

৫. মেথি:

চুল পরা আটকাতে মেথি দারুন কাজে আসে। আসলে এতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো যখনই দেখবেন চুল পরার হার খুব বেড়ে গেছে, তখনই অল্প করে মেথি বীজ নিয়ে এক গ্লাস জলে এক রাত ভিজিয়ে রাখবেন। পরদিন বীজগুলি বেটে নিয়ে একটা পেস্ট বানাবেন। সেই পেস্টটা ভাল করে মাথায় লাগিয়ে ৪০ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে নেবেন। টানা একমাস, প্রতিদিন এই মিশ্রনটি মাথায় লাগালে চুল পরা তো কমবেই, সেই সঙ্গে মাথা ভর্তি চুলের স্বপ্নও পূরণ হবে।

৬. নিম পাতা:

৬. নিম পাতা:

এই প্রকৃতিক উপাদনটিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ চুলের গোড়ায় কোনও ধরনের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমায়, তেমনি খুশকির প্রকোপও হ্রাস করে। আর এমন ধরনের রোগের হাত থেকে যখন মুক্তি মেলে, তখন স্বাভাবিকভাবেই চুল পড়াও কমে যায়। তাই যখনই দেখবেন বেশি মাত্রায় হেয়ার ফল হচ্ছে, তখনই ১০-১২ টা নিম পাতা নিয়ে জলে ফুটিয়ে নেবেন। তারপর সেই জল দিয়ে ভাল করে চুলটা ধুয়ে নিতে হবে। এমনটা করলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করেছে।

৭. তেল মাসাজ:

৭. তেল মাসাজ:

চুল পরা আটাকাতে প্রতিদিন তেল মাসাজ করাটা জরুরি। এমনটা করলে স্কাল্পে রক্ত প্রবাহ খুব বেড়ে যায়। ফলে চুলের গোড়া আরও শক্তপোক্ত হয়। আর একবার চুলের গোড়া মজবুত হয়ে গেলে চুল পরাও স্বাভাবিক ভাবে কমে যায়। এক্ষেত্রে নারকেল তেল, বাদাম তেল, অলিভ অয়েল অথবা আমলার তেল ব্যবহার করতে পারেন।

৮. অ্যালো ভেরা:

৮. অ্যালো ভেরা:

এতে রয়েছে এমন কিছু এনজাইম, যা চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাকে। ফলে চুল পরলেও মাথা ফাঁকা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। অ্যালো ভেরার উপকারিতা কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায় না। এতে উপস্থিত অ্যালকেলাইন প্রপাটিজ স্কাল্পের পি এইচ লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে চুল পরার হার কমে। কীভাবে ব্যবহার করতে হবে এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে? পরিমাণ মতো অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে স্কাস্পে লাগিয়ে ফেলুন। কিছু ঘন্টা অপেক্ষা করে হালকা গরম জলে ভাল করে মাথাটা ধুয়ে নিন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ৩-৪ বার এই ভাবে অ্যালো বেরা জেল মাথায় লাগলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

৯. আমলকি:

৯. আমলকি:

চুল পরা আটকানোর পাশপাশি চুলের বৃদ্ধিতে আমলকির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন সি চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি করে, সেই সঙ্গে স্কাল্পের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। ফলে চুল পরার প্রবণতা কমে। প্রসঙ্গত, দেহে ভিটামিন-সি-এর ঘাটতি দেখা দিলে চুল পরা বেড়ে যায়। তাই এই ভিটামনিটির ঘাটতি যেন কখনও না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রথমে ১ চামচ আমলার রসের সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই মিশ্রনটি ভাল করে চুলে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিয়ে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

এই লেখায় আলোচিত পদ্ধতিগুলি কিন্তু চুল পরা কমাতে দারুন কাজে আসে। তাই আপনিও যদি এমন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এক্ষুনি চোখ রাখুন এই লেখায়।

Hair fall is one of the most common problems we face today. What is also common is our lack of knowledge about the wonderful and simple ways through which we can treat the condition.
Story first published: Monday, February 19, 2018, 16:58 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion