Just In
(ছবি) এই ত্বকচর্চা সংক্রান্ত মিথগুলি বিশ্বাস করা এবার বন্ধ করুন!
বছরে একবার, মাসে একবার না সপ্তাহে একবার, ত্বকের পরিচর্চা করেন কতদিন অন্তর ? নাকি একেবারেই করেন না। আসলে প্রত্যেকদিন ত্বকের চর্চা করা উচিত। ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রথমে সমস্যাগুলি বুঝে পরে তার সমাধান করা উচিত। [৬টি অদ্ভুৎ বিউটি টিপস যা সত্যিই কাজ দেয়!]
কিন্তু তার আগে বলে রাখা ভাল ত্বকের চর্চা সম্পর্কে বেশ কিছু চালু মত রয়েছে, যা আমরা চোখ বন্ধ করে মেনেও চলি। কিন্তু আদতে এগুলির অধিকাংশই মিথ। তাই চোখ বন্ধ না করে আগে বুঝে দেখা উচিত এগুলির কোনও ভিত্তি আছে না নেই। [(ছবি) সৌন্দর্য সংক্রান্ত ৯ টি বদঅভ্যাস এখুনি পরিত্যাগ করা উচিত!]
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রত্যেক সবার প্রথমে নিজের ত্বক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে, তার পরে ত্বকের চাহিদা অনুযায়ী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনওরকমের মিথে কান দেওয়া উচিত নয়। [(ছবি) সৌন্দর্যবিষয়ক সাধারণ ৭ সমস্যা ও তার সমাধান]
এমনই কিছু মিথের কথা আজ আমরা আপনাদের জানাব। যা শোনার পর হয়তো আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গির বদল হতে পারে।
শেভ করলে লোম মোটা খড়খড়ে হয়ে যায়
শেভিংয়ের ফলে লোম তাড়াতাড়ি মোট ঘন হয়ে বাড়ে এটা ভুল ধারনা। যখন আমরা শেভ করি তখন ব্লেডের ধারে ডগা কেটে যায়। কিন্তু যখন এই লোমগুলি বাড়ে তখন কিছুটা ভোঁতা হয়ে বাড়ে তাই মনে হয় মোটা ও খড়খড়ে।
এক্সফোলিয়েশন লোমের বৃদ্ধি মন্থর করতে পারে না
অনেকের ধারনা আছে এক্সফলিয়েশন বার বার করতে থাকলে শরীরে লোমের বৃদ্ধির হার মন্থর হয়।
এসপিএফ বেশি হলেই ত্বক বেশি রক্ষা পাবে
সানস্ক্রিন লোশন থেকে আপনি ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মি থেকে চামড়াকে রক্ষা করে। সানস্ক্রিনে এসপিএফ থাকে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা যে সানস্ক্রিনে যত বেশি এসপিএফ থাকবে তা তত ভাল কাজ করবে। এধারণা একেবারে ভুল।
মেঘলা দিনে সানস্ক্রিনের প্রয়োজন নেই
মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন লাগানো উচিত। কারণ, সূর্য মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়লেও তার আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি পৃথিবীতে ঠিকই পৌঁছে যায়।
যত দামী সামগ্রী ফল তত ভাল
দামি ত্বক ও রূপ চর্চার সামগ্রীতে কেমিক্যালের পরিমান কম থাকে ঠিকই। কিন্তু তার মানে এটা কখনওই নয় যে শুধুমাত্র দামী সামগ্রীই ভাল কাজ করতে পারে।
সানস্ক্রিন শুধুমাত্র কয়েকধরণের ত্বকের জন্য
এটি সবচেয়ে বড় ভুল ধারনা। ফরসা হোক বা কালো, তৈলাক্ত চামড়া হোক বা শুষ্ক প্রত্যেক ধরণের ত্বকের ক্ষেত্রেই সূর্যের হাত থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
ফুসকুড়ি ফাটিয়ে দিলে ব্রণর সমস্যা মেটে
কখনও খেয়াল করেছেন, একটা ফুসকুড়ি খুঁটে ফেললে পাশে আর একটি ফুসকুড়ি গজিয়ে ওঠে। ফুসকুড়ি খুঁটে দিলে বা ফাটিয়ে দিলে তা ব্রণর হওয়া আটকে দেয়।