For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য বেশি হলেই কিন্তু...

সম্প্রতি প্রাকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী মধ্যে যদি বয়সের পার্থক্য যদি খুব বেশি হয়, তাহলে সেই সম্পর্ক একবারেই স্থিতিশীল হয় না।

By Nayan
|

ভালবাসা যেখানে, সেখানে বয়সের কাম কী! এমন ভাবনার দিন মনে হয়ে যেতে বসেছে বন্ধুরা। কারণ বিজ্ঞান যা বলছে, তা যদি সত্যই হয়, তাহলে তো মশাই এবার থেকে ভালবাসার চাইতেও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার বয়সের পার্থক্য় কত, তার উপর!কেন, এমনটা করা জরুরি কেন?

সম্প্রতি প্রাকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী মধ্যে যদি বয়সের পার্থক্য যদি খুব বেশি হয়, তাহলে সেই সম্পর্ক একবারেই স্থিতিশীল হয় না। এমনটা শোনার পর প্রাচীনপন্থীদের মুখ হয়তো ভার হয়ে যেতেই পারে। কারণ আমাদের বাবা-মা বা ঠাকুমা-দাদুদের মধ্যে বয়সের পার্থক্য বেশি ছিল। তবু তারা বেশ সুখেই জীবন কাটিয়েছে। কিন্তু একথা ভুলে গেলে চলবে না যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধরণা এবং সমাজের গঠনে যেমন পরিবর্তন আসে, তেমনি মানুষের চিন্তা-ভাবনাতেও বদল আসতে শুরু করে, যার প্রতিফল পাওয়া গেছে এই গবেষণায়। ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর বিজ্ঞানীদের করা এই গবেষণায় দেখা গেছে সম বয়সি অথবা একটু কম বয়সি পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে করার পর বৈবাহিক জীবনে সুখের সন্ধান পেয়ে থাকেন ছেলেরা, যা খুব কম বয়সি মেয়েকে বিয়ে করলে একেবারেই সম্ভাব হয় না। মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই লক্ষণ দেখা গেছে। তাদের বয়সের থেকে বেশি বয়সের কারওকে বিয়ে করলে প্রথম প্রথম সব কিছু ভাল লাগলেও কিছু বছর যাওয়ার পর সম্পর্কে ভাঙন ধরতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়তে শুরু করে স্ট্রেস এবং মানিসক অবসাদও।

আসল সমস্যাটা কোথায়?

আসল সমস্যাটা কোথায়?

গবেষকরা লক্ষ করে দেখেছেন বয়সের পার্থক্য বেশি হলে ৪-৫ বছরের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী, উভয়ের মধ্যেই স্যাটিসফ্যাকশন লেভেল খুব কমে যায়। সেই সঙ্গে মতের অমিল হতেও শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব পরে সম্পর্ক এবং শরীরের উপর। শুধু তাই নয়, স্ট্রেসের কারণে শরীরও ভাঙতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ব্লাড প্রেসার সহ একাধিক মারণ রোগ এসে বাসা বাঁধে দেহে। ফলে সম্পর্ক তো তলানিতে এসে ঠেকেই, সেই সঙ্গে আয়ুও কমতে শুরু করে চোখে পরার মতো।

বিপদে মনের মিল হতে চায় না:

বিপদে মনের মিল হতে চায় না:

সমবয়সিদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করলে মনের মিল হওয়ার সম্ভাবনাটা অনের বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে সামাজিক এবং পারিবারিক নানা সমস্যায় চলজলদি সমাধান বার করতেও এমন দম্পতিরা বেশ সক্ষম হন। কারণ দুজনেই কম-বেশি ম্যাচিওর হন, শুধু তাই নয়, মানসিকতায় মিল থাকার কারণে বিপদে একে আপরের বড় সাপার্ট হয়ে দাঁড়াতে পারেন। ফলে কঠিন সময় পেরতে যেমন কষ্ট হয় না, তেমনি সম্পর্কের বাঁধনটাও মজবুত হয়। অন্যদিকে যদি বয়সের পার্থক্য রয়েছে এমন দম্পতিদের দিকে নজর ফেরান, তাহলে দেখবেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কঠিন সময়ে তাদের সম্পর্ক মজবুত হওয়ার থেকে ভেঙে পরে বেশি।

সিদ্ধান্ত নেওয়া কটিন হয়ে পরে:

সিদ্ধান্ত নেওয়া কটিন হয়ে পরে:

কেস স্টাডিটি চলাকালীন গবেষকরা লক্ষ করেছেন যেসব দম্পতিদের মধ্যে বয়সের গ্যাপ খুব কম হয়, তারা যে কোনও পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ফলে জীবন যুদ্ধটা অনেক সহজ হয়ে যায়। কারণ হাত একটা কাঠিকে ভাঙা সহজ, দুটোকে নয়। তাই না!

Read more about: শরীর রোগ
English summary

ভালবাসা যেখানে, সেখানে বয়সের কাম কী! এমন ভাবনার দিন মনে হয়ে যেতে বসেছে বন্ধুরা। কারণ বিজ্ঞান যা বলছে, তা যদি সত্যই হয়, তাহলে তো মশাই এবার থেকে ভালবাসার চাইতেও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার বয়সের পার্থক্য় কত, তার উপর!

Age may be no bar for most when it comes to love and matrimony, but a new study suggests that the contentment in such unions fades away over time.
Story first published: Saturday, August 5, 2017, 11:33 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion