Just In
কোভিড-১৯ ঠেকাতে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দুর্দান্ত সাফল্য! জানুন বিস্তারিত
ক্রমাগত বেড়েই চলেছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। দিনের পর দিন নিত্যনতুন উপসর্গ নিয়ে হাজির হচ্ছে এই ভাইরাস। ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। সকলেই ভ্যাকসিনের দিকে চেয়ে বসে আছেন। কবে আবিষ্কার হবে করোনার ভ্যাকসিন? কবেই বা পৃথিবী মুক্তি পাবে এই মারণ ভাইরাস থেকে? এই সমস্ত প্রশ্ন বারবার মানুষের মনে কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে করোনা থেকে মুক্তির আশার আলো দেখালো ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্তুত করোনা ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালের ইতিবাচক ফল পাওয়া গেল। হিউম্যান ট্রায়ালের সময় বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে, এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এই বিশ্ব মহামারির সময়ে, এটি একটি বড় সাফল্য হিসেবে উঠে এসেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এর সম্পর্কে -
আরও পড়ুন : করোনার বিরুদ্ধে লড়তে প্রয়োজন চার মূল চাবিকাঠির, দেখে নিন সেগুলি কী কী
এই ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালে প্রায় ১,০৭৭ মানুষের ওপর পরীক্ষার করে দেখা গেছে, ভ্যাকসিনটি তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি এবং শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করেছে, যা শরীরের ভেতর করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। একে একটি বড় ধরনের আবিষ্কার হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। তবে এটি পুরোপুরিভাবে মানুষকে সুরক্ষিত করতে পারবে কিনা, তা জানার জন্য ব্যাপক আকারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও চলছে। বিবিসির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ১০ কোটি টিকার জন্য চাহিদা জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন গ্রুপের প্রধান অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেছেন, ''প্রথম বাধা আমরা টপকে গিয়েছি, এমনটা বলা যেতে পারে। যেমন ভাবা হয়েছিল, ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরে তেমনই রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির প্রমাণ পেয়েছি আমরা।''
এভাবেই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে
এই ChAdOx1 nCoV-19 ভ্যাকসিনটি খুব দ্রুত গতিতে তৈরি করা হয়েছে। বিবিসির একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, শিম্পাঞ্জির শরীরের সাধারণ সর্দি-কাশি তৈরি করে, এমন একটি ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন করে এই টিকাটি তৈরি করা হয়েছে। এটাকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে এটা মানব শরীরে সংক্রমণ তৈরি না করে এবং করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা তৈরি করতে পারে। এই প্রক্রিয়াটিকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় ভাইরাল ভেক্টর বলা হয়।
নিরাপদ তবে ছোটখাটো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এই ভ্যাকসিনটি সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে জানা গেছে, তবে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে। তবে তা খুব ক্ষতিকারক নয়। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তাদের জ্বর-মাথাব্যথা হয়েছিল। তবে গবেষকদের মতে, প্যারাসিটামলের মতো সাধারণ ওষুধ দিয়ে এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে।