For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

নিয়মিত মুগ ডাল খাওয়া উচিত কি?

সারা বিশ্বেই নানাভাবে এই ডালটি খাওয়ার চল রয়েছে। আর আমাদের রাজ্যে তো মুগ ডাল প্রিয় মানুষের সংখ্যা প্রতিদিন বা়ড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ডালটির সম্পর্কে ভাল-মন্দ জানার প্রয়োজন বেড়েছে

By Nayan
|

ছোট ছোট হলুদ-সবুজ ডালটি খেতে তো মন্দ নয়। কিন্তু রোজের সঙ্গী হয়ে উঠলে কি শরীরে কোনও ক্ষতি হয়? এই উত্তর খুঁজতেই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া।

সারা বিশ্বেই নানাভাবে এই ডালটি খাওয়ার চল রয়েছে। আর আমাদের রাজ্যে তো মুগ ডাল প্রিয় মানুষের সংখ্যা প্রতিদিন বা়ড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ডালটির সম্পর্কে ভাল-মন্দ জানার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্রসঙ্গত, প্রোটিন সমৃদ্ধ মুগ ডাল খেলে এমনতি কোনও সমস্যা হয় না ঠিকই। কিন্তু বেশি মাত্রায় খেলে কি কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানিরা যা জানতে পেরেছে তা বেশ আকর্ষণীয়।

একাধিক পরীক্ষার পর এ বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই যে প্রোটিন, ফাইবার, ফলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি১, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৫, বি৬ এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই ডালটি নিয়মিত খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। যেমন...

১. হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

১. হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

আজকের দিনে যুব সমাজের জীবনযাত্রা এমন হয়েছে যে হার্টের রোগে আক্রান্তের সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত মুগ ডাল খাওয়ার প্রয়োজনও বেড়েছে। কারণ এই ডালটির শরীরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার একদিকে যেমন রক্তচাপকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে, তেমনি শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

২. ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

যে যে রোগের কারণে ২১ শতকের পৃথিবীতে সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ডায়াবেটিস। আর আমাদের দেশ তো আজকের ডেটে সারা বিশ্বের মধ্যে ডায়াবেটিস ক্যাপিটালে পরিণত হয়েছে। তাই তো চিকিৎসকেরা ছোট থেকে বড় সবাইকেই মুগ ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু মুগ ডালের সঙ্গে ডায়াবেটিসের কী সম্পর্ক? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মুগ ডাল শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের অন্দরে এমন কিছু খেল দেখাতে শুরু করে যে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই তো যাদের পরিবারে এমন মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের বেশি করে মুগ ডাল খাওয়া উচিত।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে:

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে:

মুগ ডাল খাওয়া মাত্র কলেকসিস্টোকিনিন নামক এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, এই হরমোনটির উৎপাদন যত বাড়তে থাকে, তত ক্ষিদে কমতে থাকে। তখন মনে হয় যেন পেটটা অনেক ভরে গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার পরিমাণ কমতে থাকে। আর খাবার কম খেত খেতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

৪.পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

৪.পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

বাঙালি মানেই অল্প-বিস্তর পেটুক তো হবেই। আর পেটুক হওয়া মানেই পকেটে অ্যান্টাসিড থাকা মাস্ট! আসলে বেনিয়মে খাওয়া-দাওয়া করার কারণে বদ-হজম বাঙালির রোজের সঙ্গী। সেই সঙ্গে মাঝে মাঝে লেজুড় হয় গ্যাস-অম্বলও। এই কারণেই তো পেটুক মানুষদের প্রতিদিন নানাভাবে মুগ ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরো। আসলে এই ডলটিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান, শরীরে প্রবেশ করার পর বিশেষ ধরনের কিছু ফ্যাটি অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা পাকস্থলির কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

৫.অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমায়:

৫.অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমায়:

প্রচুর মাত্রায় আয়রন থাকার কারণে নিয়মিত এই ডালটি খেলে শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যানিমিয়ার মতো রোগ বেশি দিন শরীরকে কব্জা করে থাকতে পারে না। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস আগে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে আমাদের দেশে, তা সে গ্রামাঞ্চল হোক, কী শহরাঞ্চল, অ্যানিমিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মুগ ডাল খাওয়ার প্রয়োজন যে বাড়ছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

৬. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:

৬. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:

কাজের চাপ এবং পরিবেশ দূষণের কারণে অল্প বয়সেই কি ত্বক তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে? তাহলে বন্ধু অল্প করে মুগ ডাল নিয়ে তা বেটে নিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর সেই পেস্ট ভাল করে মুখে লাগান। এমনটা প্রতিদিন করলে ত্বকের অন্দরে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি দূর হয়। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য ফিরতে সময় লাগে না। আর যদি একান্তই ফেস প্যাকটি বানাতে সময় না পান, তাহলে নিয়মিত মুগ ডাল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন স্কিন ধীরে ধীরে খুব সুন্দর হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে বলিরেখাও কমতে থাকবে। ফলে ত্বক হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত!

৭. হাড় শক্তপোক্ত হয়:

৭. হাড় শক্তপোক্ত হয়:

বলেন কী মশাই ডাল খেলে হাড় শক্ত হয়? একেবারেই। আর কেন হবে নাই বা বলুন! মুগ ডালে ঠেসে ঠেসে ভরা রয়েছে ক্যালসিয়াম। আর এই খনিজটি যে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়, তা কী আর বলে দিতে হবে। তাই বুড়ো বয়সে যদি কোমর এবং হাঁটুর যন্ত্রণায় কষ্ট পেতে না চান, তাহলে এখন থেকেই নিয়মিত মুগ ডাল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

ছোট ছোট হলুদ-সবুজ ডালটি খেতে তো মন্দ নয়। কিন্তু রোজের সঙ্গী হয়ে উঠলে কি শরীরে কোনও ক্ষতি হয়? এই উত্তর খুঁজতেই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া।

Yellow Moong Dal is packed with protein and low carbs, it is one of the best vegetarian superfoods. An integral part of the Indian diet, it is a good and filling option for those who want to shed kilos. Yellow moong dal is extremely light and easy to digest. Here are 7 Amazing Health Benefits of Moong Dal.
Story first published: Wednesday, November 29, 2017, 12:24 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion