Just In
মহিলাদের মধ্য়ে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের মাত্রা! তাই হার্টকে বাঁচাতে নিয়মিত খেতেই হবে এই খাবারগুলি!
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি স্টাডি অনুসারে ভারতের পাশাপাশি সারা বিশ্বে পুরুষদের তুলনায় মেয়েরাই বেশি মাত্রায় আক্রান্ত হচ্ছে হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগে।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি স্টাডি অনুসারে ভারতের পাশাপাশি সারা বিশ্বে পুরুষদের তুলনায় মেয়েরাই বেশি মাত্রায় আক্রান্ত হচ্ছে হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগে। তাই তো বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিটি মহিলা এবং পুরুষ পাঠকদের এই লেখাটি না পড়লে বিপদ রয়েছে।
কিন্তু পুরুষরা কেন পড়বেন? কেন পড়বেন না বলুন! তাঁরা কি তাঁদের প্রেমিকা বা স্ত্রীদের ভালোবাসেন না? ভালোবাসেন তো! তাহলে সবাইকেই পড়তে হবে। আর এই প্রবন্ধটি পড়লে হার্টের যে কোনও ক্ষতি হবে না, সেকথা হলফ করে বলতে পারি। কারণ এই লেখায় এমন কিছু খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে, যা নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে হার্ট এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে কোনও ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে!
এখন প্রশ্ন হল কম করে ৬০-৭০ বছর যদি হার্টকে চাঙ্গা রাখতে হয়, তাহলে কী কী খাবারকে রোজের সঙ্গী বানাতে হবে?
১.বাদাম:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এক মুঠো করে বাদাম খাওয়া শুরু করলে একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে, তেমনি আর্টারির অন্দরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও প্রায় থাকে না বললেই চলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা যেমন কমে, তেমনি নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
২. গাজর:
শুনতে আজব লাগলেও একাধিক স্টাডির পর একথা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে নিয়মিত কাঁচা গাজর খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে তার প্রভাবে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, দীর্ঘ দিন যদি সুস্থভাবে বাঁচতে হয়, তাহলে গাজরের সঙ্গে বন্ধুত্ব না পাতালে কিন্তু ভুল করবেন।
৩. মিষ্টি আলু:
যে কোনও পরিস্থিতিতেই আপনার হার্ট চাঙ্গা থাকুক, এমনটাযদি চান, তাহলে সপ্তাহে ২-৩ দিন মিষ্টি আলু দিয়ে বানানো নানা পদ খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই সবজিটিতে উপস্থিত ভিটামিন এ, ফাইবার এবং লাইকোপেন শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। আর হার্ট চাঙ্গা হয়ে উঠলে নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যে আর থাকে না, তা তো বলাই বাহুল্য!
৪. অর্জুন গাছের ছাল:
এতে প্রচুর মাত্রায় রয়েছে টেনিনস, ট্রাইটারপেনোয়েড স্যাপোনিস এবং ফ্লেবোনয়েডের মত একাধিক উপকারি উপাদান, যা একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। ফলে হার্টকে নিয়ে আর কোনও চিন্তাই তাকে না। প্রসঙ্গত, আর্জুন গাছের ছাল অল্প পরিমাণে নিয়ে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে জলটা ফুটিয়ে নিয়ে পান করলে উপকার মিলবে।
৫. আদা:
এই প্রাকৃতিক উপাদানটি একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি অন্যদিকে ব্লাড ক্লট হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না। শুধু তাই নয়, হার্টের অন্দরে কোনওভাবে যাতে প্রদাহ সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। এক কথায় সব দিক থেকে হার্টকে নিরাপত্তা প্রদানে আদার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৬. রসুন:
একাধিক গবেষণায় একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেছে যে প্রতিদিন সকালে যদি এক কোয়া করে রসুন খাওয়া যায়, তাহলে রক্তে বাজে কোলেস্টেরল বা এল ডি এল-এর মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। উল্টে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এখানেই শেষ নয়, রসুন হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে সারা শরীরে রক্তর সরবরাহ মারাত্মক বাড়িয়ে দেয়। ফলে হার্টের পাশাপাশি মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও মারাত্মক বৃদ্ধি পায়।
৭. গ্রিন টি:
এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তে যাতে কোনওভাবে এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি না পায়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। শুধু তাই নয়, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গ্রিন টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো হার্ট এবং ব্রেনকে সুস্থ রাখতে আজ থেকেই দিনে ২ কাপ করে গ্রিন টি পান শুরু করতে পারেন। দেখবেন উপকার মিলবে।
৮. কাঁচা লঙ্কা:
শুনে অবাক লাগলেও একথা ঠিক যে হার্টকে সুস্থ রাখতে কাঁচা লঙ্কার বাস্তবিকই কোনও বিকল্প হয় না। আসলে এতে উপস্থিত ক্যাপসিসিন নামক উপাদান, ব্লাড ভেসেলের ইলাস্ট্রিসিটি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে ব্লাড ক্লটের আশঙ্কাও কমায়। ফলে হার্টের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রাকাশিত বেশ কয়েকটি গবেষণা পত্র অনুসারে কাঁচা লঙ্কায় উপস্থিত ক্যাপসিসিন, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ফলে সবদিক থেকে হার্ট সুরক্ষিত থাকে।