Just In
Don't Miss
এই পরীক্ষাটির সাহায্যে মাত্র ১০ মিনিটেই জেনে যাওয়া যাবে কারও শরীরে ক্যান্সার সেল জন্ম নিয়েছে কিনা!
এই পরীক্ষাটা চলাকালীন বেশ কিছু "কালার চেঞ্জিং ফ্লউইড" ব্যবহার করা হবে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র খুঁজতে শুরু করবে দেহের ইতিউতি কোনও ম্যালিগনেন্ট সেল রযেছে কিনা।
১০ মিনিটে ৯০ শতাংশ সফলতার আশা করছেন একদল অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানী। আসলে তারা এক সঙ্গে সমবেত হয়ে আবিষ্কার করেছেন এমন একটি পরীক্ষা, যা কম খরচে এবং অবশ্যই অল্প সময়ের মধ্যেই জানিয়ে দিতে পারবে কারও শরীরে ক্যান্সার সেল জন্ম নিয়েছে কিনা।
আসলে এই পরীক্ষাটা চলাকালীন বেশ কিছু "কালার চেঞ্জিং ফ্লউইড" ব্যবহার করা হবে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র খুঁজতে শুরু করবে দেহের ইতিউতি কোনও ম্যালিগনেন্ট সেল রযেছে কিনা এবং এই অনুসন্ধান শেষ হতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট। তারপরই জানতে পেরে যাওয়া যাবে ক্যান্সার রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে কিনা! প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে গত কয়েক বছরে যে হারে ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বাড়ছে তাতে অস্ট্রেলিয় বিজ্ঞানীদের এই অবিষ্কার যে নতুন দিশা দেখাবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! তবে প্রশ্ন একটাই, যতদিন না পর্যন্ত এ দেশে এই বিশেষ ধরনের পরীক্ষাটি শুরু হচ্ছে ততদিন কীভাবে এই মারণ রোগকে দূরে রাখা সম্ভব হবে?
এই প্রশ্নটির উত্তর লুকিয়ে রয়েছে এই প্রবন্ধে আলোচিত হতে চলা খাবারগুলির শরীরে। মানে? আসলে বন্ধু এই লেখায় যে যে খাবারগুলির উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলিকে রোজের ডায়েটে জায়গা করে দিলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যার প্রভাবে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাই তো বলি বন্ধু, ক্যান্সারের মতো এমন ভয়ঙ্কর রোগের খপ্পরে যদি পরতে না চান, তাহলে এই লেখাটি পড়তে দেরি করবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, যে যে খাবারগুলি এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল...
১. আপেল:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে আপেলে উপস্থিত কুয়েরসেটিন, এপিসিয়েটিন এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক জটিল রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
২. জাম:
একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! বাস্তবিকই ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতে এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে জামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপাটিজ, শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে ম্যালিগনেন্ট সেলের জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। বিশেষত, মুখগহ্বর, ব্রেস্ট, কোলন এবং প্রস্টেট ক্যান্সারকে দূপরে রাখতে এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. লাল চা:
একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে চায়ের মধ্যে থাকা কেটেচিন নামক একটি উপাদান ক্যান্সার সেলকে শুধু নষ্ট করে না। সেই সঙ্গে সেলুলার মিউটেশান আটকাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে নতুন করে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কাও অনেক কমে যায়। প্রসঙ্গত, জাপানে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন, তাদের ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় কম থাকে। শুধু তাই নয়, যারা নিয়িমত চা পান করেন তাদের কোলন, ব্রেস্ট, ওভারিয়ান, প্রস্টেট এবং লাং ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৪. ডালিম:
এই ফলটির শরীরে রয়েছে অ্যালেজিক অ্যাসিড নামে একটি অতি শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করতে দারুনভাবে সক্ষম। তাই তো চিকিৎসকেরা প্রতিদিনের ডায়াটে ডালিমকে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে সাওয়াল করছেন। প্রসঙ্গত, ডালিমের বীজও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই ইচ্ছা হলে দইয়ে মিশিয়ে ডলিম বীজও খেতে পারেন।
৫. রাঙা আলু:
এই সবজিটিতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন নামক একটি অতি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা লাং, কোলন এবং স্টমাক ক্যান্সারকে ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয় না। শুধু তাই নয়, রাঙা আলুতে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান ব্রেস্ট ক্যান্সার রোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬.বাঁধাকোপি, ফুলকোপি এবং ব্রকলি:
সহজ কথায় ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে বেশি করে খেতে হবে ব্রকলি, ফুলকোপি এবং বাঁধাকোপির মতো সবজি। কারণ এই সবজিগুলির অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা ক্যান্সার সেলে বেড়ে ওঠা আটকানোর মধ্যে দিয়ে এই মারণ রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
৭.হলুদ:
এই মশলাটিতে উপস্থিত কার্কিউমিন নামক একটি উপাদান শরীরের অন্দরে প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি রক্তে ভেসে বেরানো টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বার করে দেয়। ফলে কোষের বিভাজন ঠিক মতো না হওয়ার কারণে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৮. মৌসাম্বি লেবু:
এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিনটি শরীরের অন্দরে ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো নিয়মিত এই ফলটি খেলে ক্য়ান্সার রোগের ফাঁদে পরার আশঙ্কা অনেকটাই কমে। প্রসঙ্গত, মৌসম্বি লেবুর পরিবারে থাকা বাকি লেবুদের শরীরেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি মজুত রয়েছে। তাই মৌলম্বি লেবু খেতে যদি ইচ্ছা না করে, তাহলে পাতি লেবু, কমলা লেবু অথবা বেল পেপারের কোনও একটা খেতেই পারেন।