Just In
(ছবি) ঘনঘন হাই তোলা থেকে মুক্তি পাবেন এইভাবে
প্রতিদিনই নানা সময়ে নানা কারণে হাই তুলে থাকি আমরা। কখনও কখনও কোনও কাজে বিরক্ত হলে, কখনও বা অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ করলে আমরা হাই তুলে থাকি। আর সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজের মাঝে হলে, বা কারও সামনে হলে সম্মান নিয়ে টানাটানি হতে পারে। [ঘনঘন হাই তোলার পিছনে লুকিয়ে গভীর বিপদ!]
তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাই তোলার পিছনে আমাদের নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। নানা শারীরিক সমস্যায় আমরা অজান্তে হাই তুলে থাকি। ঘনঘন হাই তোলা স্বাস্থ্যের পক্ষে একদম ভালো নয়। [সর্বদা 'মুড' ভালো রাখতে খান এই খাবারগুলি]
লিভার, মস্তিষ্ক, ক্লান্তি, অবসাদ হার্ট ইত্যাদির নানা সমস্যায় আমরা হাই তুলে থাকি। নিচের স্লাইডে ক্লিক করে জেনে নিন, কীভাবে কাজের সময়ে হাই তোলা থেকে বাঁচবেন আপনি। ['শর্ট টাইম মেমোরি লস' এর মুখ্য কারণ]
উঠে হেঁটে আসুন
অনেক সময়ে বোর হওয়া থেকে বাঁচতে আমরা হাই তুলি। তাতে সামনে থাকা ব্যক্তি বা একাধিক মানুষ বিরক্ত হন। কাজের ফাঁকে বা মিটিংয়ের মাঝে হাই উঠতে থাকলে একটু সময় চেয়ে নিয়ে উঠে যান। একটু হেঁটে এসে, চোখে-মুখে জল দিয়ে এসে কাজে বসুন।
জল খান
ক্লান্ত থাকলে অনেক সময়ে লম্বা লম্বা হাই উঠতে থাকে। এমন দেখলে বেশি করে জল খান। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে এমন হয়। জল খেলে উপকার পাবেন।
লম্বা শ্বাস নিন
অনেক সময়ে অক্সিজেনের অভাবে হাই ওঠে আমাদের। জল খাওয়ার পাশাপাশি লম্বা লম্বা শ্বাস নিলে তা কমে যায়। কিছুক্ষণ শ্বাস নিয়ে তা চেপে রেখে ছেড়ে দিন। এতে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
ক্লান্তি কমান
কাজের বা মানসিক চাপে ক্লান্তি আসাটা স্বাভাবিক। তবে যেকোনও উপায়েই হোক ক্লান্তিকে কমাতেই হবে আমাদের। তাহলে মানসিক ও শারীরিক দু'রকমভাবেই সুস্থ থাকতে পারবেন।
হাই তোলা ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলুন
আমরা সবাই জানি হাই অত্যন্ত ছোঁয়াচে। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অজানা রয়েছে। তবে এমন ব্যক্তিদের এড়িয়ে চললেই ভালো হবে। কাউকে হাই তুলতে দেখলেই সরে যান। কিছুক্ষণ পরে ফিরে আসুন, ফল পাবেন।
হার্টের চিকিৎসক দেখান
হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যা থাকলে হাই তোলার সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে বেশি সমস্যা হচ্ছে বুঝলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।