Just In
(ছবি) জেনে নিন 'স্ট্রেস ফ্রি' হতে কোন জিনিসকে বলবেন 'গুড বাই
কথায় বলে 'স্বাস্থ্যই সম্পদ'। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে গেলে শরীরের যত্ন নেওয়া একান্ত আবশ্যক। তবে এখনকার আধুনিক সমাজে আমাদের অসুস্থতার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে একটি শব্দ 'স্ট্রেস' বা ক্লান্তি।
এটা কোনও রোগ নয় অবশ্যই। তবে এর কারণে নানা রোগ অজান্তেই আমাদের শরীরে দানা বাঁধছে। এর জন্য যেমন দায়ী দূষিত পরিবেশ, তেমনই আধুনিক জীবনযাত্রাও আমাদের মধ্যে স্ট্রেসের মাত্রা দিন দিন বাড়িয়ে তুলছে।
তবে এর মধ্যেই মানসিক অবসাদ, ক্লান্তি, এসবের সঙ্গে লড়াই করে যেতে হবে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে গেলে কিছু জিনিস আমাদের করতেই হবে যা স্ট্রেসের মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে।
আসুন নিচের স্লাইডে দেখে নেওয়া যাক, কী কী জিনিসকে 'গুড বাই' বললে 'স্ট্রেস ফ্রি' থাকা যাবে।
কফি
দিনে এক-দু'কাপ কফি আপনার ক্লান্তির মাত্রাকে কমিয়ে আনবে। তবে বেশিমাত্রায় কফি খাওয়া অভ্যাস করলে শরীরের লাভ কম, ক্ষতি বেশি হবে।
ধূমপান
অনেকে স্ট্রেস ফ্রি থাকতে ধূমপানের আশ্রয় নেন। তবে সাময়িকভাবে ক্লান্তি দূর হয়েছে মনে হলেও তা আরও বেশি করে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়। বরং এগুলির অভ্য়াস ত্যাগ করতে পারলেই মুক্তমনে বাঁচতে পারবেন আপনি।
জাঙ্ক ফুড
অনেকে স্ট্রেস ফ্রি হতে বেশি করে পিৎজা, বার্গারে কামড় বসান। তবে তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতি হয়ে বেশি।
মানসিক অবসাদ
ক্রমান্বয়ে চলতে থাকা মানসিক অস্থিরতা, অবসাদ আপনার স্ট্রেস লেভেলকে বাড়িয়ে তোলে।
মদ্যপান
স্ট্রেস ফ্রি হতে মদ্যপান করা কখনই সমাধান হতে পারে না। অ্যালকোহল স্ট্রেসের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ফেল মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।
টিভি
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিনের পর দিন বহুক্ষণ ধরে টিভি দেখলে মানসিক অবসাদের মাত্রা বেড়ে যায়।
একাকিত্ব
একাকিত্ব স্ট্রেসের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। প্রিয়জনের শোক, দীর্ঘদিন একা থাকা মানসিকভাবে মানুষকে শেষ করে দেয়।
ঘুম
পর্যপ্ত ঘুম শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হলেও মাত্রাতিরিক্ত ঘুম মানসিক অবসাদ, স্ট্রেস ইত্যাদি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
দীর্ঘসূত্রতা
কোনও কাজে দীর্ঘসূত্রতা মানুষের মধ্যে স্ট্রেসের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। অফিস হোক বা সংসার, দিনের পর দিন পড়ে থাকা কাজ না হলে অবসাদ আসাটা খুব স্বাভাবিক।