For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কী? জেনে নিন এই সম্পর্কিত তথ্য

|

সিএবি অর্থাৎ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে চায়ের ঠেক, সব জায়গাতেই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু 'ক্যাব’। কেউ বিলের পক্ষে, আবার কেউ তার বিপক্ষে। ১১ ডিসেম্বর ২০১৯-এ টানা ছয় ঘণ্টার তীব্র আলোচনার পর সংসদ সদস্য কর্তৃক ভোটাভুটির মাধ্যমে রাজ্যসভায় পাশ হয় বিলটি। সেই থেকেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি থেকে সারা দেশ।

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বিলটি পাস হয়। বিলটিকে আইনে পরিণত করার ধাপ পেরোতে রাজ্যসভায় বিল পেশ করে মোদি সরকার। ভারতের উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু এই বিল নিয়ে পর্যালোচনা করতে এবং মতামত প্রকাশের জন্য সাংসদদের ছয় ঘন্টা সময় দেন। ১২৫ জন সাংসদ সপক্ষে যুক্তি দিলেও অন্য ৯৯ জন এই বিলের বিরোধিতা করে বলেছেন যে এটি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করবে। বিরোধীদের মতে, এই বিল আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদীর পরিচায়ক। তবে অমিত শাহের বিশ্বাস “এই বিলে মুসলিম মুক্ত ভারত কোনও ভাবেই হবেনা।”

What Is CAB

বিলটি পাশ হওয়ার পরেই তুমুল অশান্তির আবহ তৈরি হয়। হিংসা ছড়িয়ে পড়ে ভারতবর্ষের নানন জায়গায়। অগ্নিগর্ভে পরিনত হয় অসম, ত্রিপুরার মতো উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। দেশ জুড়ে চলছে বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

আরও পড়ুন : কমান্ডারকে স্যালুট সেনা কুকুরের, ছবি ভাইরাল
জনগণের এই সহিংসতা ও আন্দোলনের পিছনে বড় কারণ হ'ল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সম্পর্কে বিভ্রান্তি। সুতরাং, আপনাকে আরও কার্যকরভাবে সিএবি সম্পর্কে বুঝতে হবে এবং কিছু দৃঢ় সত্যের সম্মুখিন হতে হবে। যা নিয়ে এত প্রশ্ন, বিভ্রান্তি সেই ক্যাব আসলে কি, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সিএবি আসলে কী এবং এর অধীনে কারা আসবে?

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবি হল একটি নাগরিকত্ব আইন। আইন প্রণেতাদের মতে, এই বিলের মূল উদ্দেশ্য পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের ফলে ভারতে আগত অ-মুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার বিল। অন্যভাবে ব্যাখ্যা করলে, প্রতিবেশী মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলির মধ্যে অমুসলিম সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষদের সহজে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেবার জন্য এই বিল।

১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনকে সংশোধন করে এই বিলটি এই তিনটি দেশের অন্তর্ভুক্ত মানুষের আবাসকালীন সময়কাল ১১ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : বিজয় দিবস : ১৯৭১ এর ঐতিহাসিক ইন্দো-পাক যুদ্ধ সম্পর্কিত তথ্য

অমিত শাহ রাজ্যসভায় জানান, যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর এর আগে শরণার্থী হিসেবে ভারতে পাড়ি দেন তারাই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। অর্থাৎ ভারতে যারা হিন্দু, বৌদ্ধ, পার্সী, জৈন, শিখ এবং খ্রিস্টান হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন, তারাই ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য।

কারা সিএবি-র আওতায় পড়ছে না?

১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে, অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশকারী অভিবাসীরা ভারতে নাগরিকত্ব পেতে পারে না। এর অর্থ হ'ল, যে ব্যক্তিরা বেআইনিভাবে বা যথাযথ দলিল ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।

তদুপরি, উপরে বর্ণিত তিনটি দেশের ছয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী ব্যতীত অন্য কোনও গোষ্ঠীভুক্ত লোকেদের ভারতীয় নাগরিকত্বের যোগ্য বলে বিবেচিত করা হবে না।

এতে কি ভারতীয় মুসলমানদের ক্ষতি হবে?

যেহেতু এই বিলটি অভিবাসীদের, বিশেষত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের জন্য তৈরি, তাই যেসব মুসলমানেরা ভারতবর্ষের আদি বাসিন্দা তাদের ভয়ের কিছু নেই। যে কারণে এই বিলে ধর্মীয় গোষ্ঠী নির্বিশেষে যারা ভারতের অন্তর্ভুক্ত তাদের সাথে এই বিলের কোনও সম্পর্ক নেই।

রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন, “যারা এই দেশের অন্তর্ভুক্ত তাদের কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না। তারা ভারতের নাগরিক এবং তারা একইরকম থাকবে”।

আরও পড়ুন : পেঁয়াজ-রসুনেই বিয়ে! সাতপাকে বাধা পড়লেন নবদম্পতি, দেখুন ভিডিয়ো

ভারতে বসবাসকারী মুসলিম অভিবাসীদের কি নির্বাসিত করা হবে বা কারাবাস করা হবে?

সিএবি-তে সেইসব মুসলমানদের নির্বাসন সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করা হয়নি, যারা ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন বা অনুমতিপ্রাপ্ত সময়ের বাইরে রয়েছেন। অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন এই নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পড়ে না। প্রকৃতপক্ষে, এটি বিদেশি আইনের আওতায় আসে। যারা অবৈধ অভিবাসী বা অবৈধভাবে বসবাস করছেন তাদের নির্বাসন দেওয়ার প্রক্রিয়া রয়েছে বিদেশি আইনে।

তবে, ১৯৪৬ ও ১৯২০ সালের আইনানুসারে অবৈধ অভিবাসীদের ক্ষেত্রে ছাড় পেয়েছে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রিষ্টান ধর্মীয় গোষ্ঠীভুক্ত সদস্যরা।

আরও পড়ুন : ২৬ এর সূর্যগ্রহণ, বৈজ্ঞানিক মতে সূর্যগ্রহণের সময় কী করবেন এবং কী করবেন না

হিন্দুরা কি কোনও জাতীয় নাগরিকত্ব পাবে?

সিএবি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব প্রদানের। পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় ধরে যে সংখ্যালঘু শরণার্থীরা ভারতে নিয়মিত বসবাস করছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। এই বিলে কোথাও কোনও বিশেষ জাতির ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে উল্লেখ নেই।

Read more about: citizenship amendment bill cab
English summary

What is Citizenship Amendment Bill?

The Citizenship (Amendment) Bill, 2019, also known as CAB, was passed by the Rajya Sabha, the upper house of Parliament, on 11 December 2019 after an intense discussion of six hours by the Members of Parliament.
X
Desktop Bottom Promotion