Just In
Don't Miss
আজকের দিনেই ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাক সেনা, জানুন ১৯৭১ এর ইন্দো-পাক যুদ্ধ সম্পর্কিত তথ্য
আজ মহান 'বিজয় দিবস'। ১৯৭১ সালে, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, বর্তমান বাংলাদেশে বসবাসরত বাঙালিদের কল্যাণ ও প্রতিপত্তি নিশ্চিত করতে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এই যুদ্ধ ১৩ দিন অব্যাহত ছিল, যেখানে ১৫০০ ভারতীয় সৈন্য পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের নিরাপত্তার জন্য তাদের জীবন দিয়েছিল।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তাদের অনন্য যুদ্ধের দক্ষতার মাধ্যমে ৯৩ হাজার পাকিস্তানী সশস্ত্র বাহিনীকে নতজানু হয়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছিল। এর ফলশ্রুতিতে সফলভাবে বাংলাদেশ গঠিত হয়। সেই থেকে প্রতি ১৬ ডিসেম্বর 'বিজয় দিবস' পালন করা হয়, যারা অদম্য সাহসিকতার সহিত যুদ্ধ করেছিলেন এবং যারা শহীদ হয়েছিল তাদের সম্মানে।
পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ বাঙালিদের ক্রমবর্ধমান অবিচার ও গণহত্যার কারণে মানুষ স্বাধীনতার জন্য প্রতিবাদ ও লড়াই শুরু করে। পাকিস্তান হামলা চালিয়ে ১১টি ভারতীয় বিমানবন্দর আক্রমণ করে। ভারতও সমান শক্তি নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে। এই সময় পূর্ব পাকিস্তানের বিপুল সংখ্যক মানুষকে হত্যা এবং ধর্ষণ করা হয়েছিল। এই অত্যাচারের কারণে ৮ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ভারতে পালিয়ে এসেছিল। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক নেতাদের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে এবং পশ্চিম পাকিস্তানকে গণহত্যা বন্ধ করতে বলেন।
আরও পড়ুন : পেঁয়াজ-রসুনেই বিয়ে! সাতপাকে বাধা পড়লেন নবদম্পতি, দেখুন ভিডিয়ো
অবশেষে, যুদ্ধ হয় এবং পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল আমির আবদুল্লাহ্ খান নিয়াজী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী সেনার সামনে তার ৯৩,০০০ সৈন্য নিয়ে আত্মসমর্পণ করে। উভয় বাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় একসাথে লড়াই করেছিল। এই আত্মসমর্পণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্বের বৃহত্তম আত্মসমর্পণ বলে জানা গেছে। এরপরে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনাকে আটক করা হয়।
১৯৭২ সালের ২ আগস্ট পাকিস্তান ও ভারত সিমলা চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পর ভারত ৯৩ হাজার পাকিস্তানী যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি দেয়। এই চুক্তিতে কয়েকটি শর্ত ছিল, যার মধ্যে 'বাংলাদেশ' নামক একটি নতুন দেশের উত্থানের কথাও বলা ছিল।