Just In
(ছবি) স্ট্রেস হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায়
মস্তিষ্কের মধ্যে থাকা নানা ধরনের রাসায়নিকই আমাদের আনন্দে বা দুঃখে রাখে। অবসাদ বা উদ্বেগে থাকলে মস্তিষ্কের মধ্যে থাকা রাসায়নিকের ঘাটতি হয়। [অবসাদ বাড়িয়ে তোলে এই খাবারগুলি]
কর্টিসনের মতো হরমোন স্ট্রেস ও উদ্বেগকে বাড়িয়ে দিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তবে এই স্ট্রেস হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখারও উপায় রয়েছে। [আনন্দে থাকতে এই জিনিসগুলিতে অভ্যস্ত হোন]
স্ট্রেস বা উদ্বেগের ফলে শরীরে একাধিক অসুবিধা দেখা দেয়। এর ফলে নানা ধরনের বড় বড় রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধে। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, অবসাদ ইত্যাদির মুখ্য কারণই হল স্ট্রেস। [নিমেষে ক্লান্তি দূর করুন এই খাবার খেয়ে]
কী কী করলে স্ট্রেস হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন তা একঝলকে জেনে নিন নিচের স্লাইড থেকে। [এই কয়েকটি সহজ উপায়ে খুশি ফিরিয়ে আনুন জীবনে]
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেট স্ট্রেস হরমোনকে কমিয়ে দেয় ও মস্তিষ্কে আনন্দ তৈরি করা রাসায়নিকের উৎপাদন ঘটায়। ডার্ক চকোলেটে কামড় দিয়েছেন কি, মন খুশিতে ভরে উঠবে। তবে তা যতোটা সেটা পছন্দ করার জন্য, ঠিক ততোটাই এর মধ্যে থাকা রাসায়নিকের জন্য।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
মাছে এই অ্যাসিড সবচেয়ে বেশি থাকে। হ্যাপি হরমোনের উৎপাদন বেশি করে করে স্ট্রেসকে কমিয়ে দেয় এটি।
সাইট্রাস ফল
ভিটামিন সি স্ট্রেস কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। সব ধরনের সাইট্রাস সমৃদ্ধ ফল যেমন পাতিলেবু, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আনারস ইত্যাদিতে এটি পাওয়া যায়। এবং এগুলি খেলে স্ট্রেস হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুবিধা হয়।
ধ্যান
ধ্যান করলে মন ও শরীর শান্ত হয়। স্ট্রেস হরমোনকে কমাতে এর চেয়ে বড় ওষুধ কিছু নেই। প্রার্থনার মতো করে ধ্যান করতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
জোরে শ্বাস নিন
জোরে জোরে শ্বাস নিলে স্ট্রেস হরমোনকে কমিয়ে আনা যায়। মনে কোনও কিছু নিয়ে চিন্তা বা উদ্বেগ থাকলে জোরে জোরে শ্বাস নিন। এতে কিছুটা ফল পাবেন। এতে রক্তচাপও বাড়বে না।
হাসতে থাকা
হাসলে মস্তিষ্কে সঙ্কেত পৌঁছয় যে সবকিছু ঠিক রয়েছে। এভাবে হরমোন নিঃসরণ হয়ে মনকে খুশি রাখে, স্ট্রেস কমায়। তাই মন খারাপ হলেই তা ভালো হয়, এমন কাজ করুন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বা প্রিয়জনের সঙ্গ স্ট্রেস কমিয়ে দিতে পারে।
চা খান
চা খেলে মন রিল্যাক্স হয়। আনন্দে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক নিঃসরণ হয়। মনের দুঃখ কাটিয়ে ওঠায় এটি অনুঘটকের কাজ করে।
শরীরচর্চা
প্রকৃতির মাঝে, খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে শরীরচর্চা করলে এন্ডোরফিন নিঃসরণ হয় যা স্ট্রেস হরমোনের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়।