Just In
- 10 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 14 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 16 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 19 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে মহিলারা নিয়মিত খান এই ৬ সুপারফুড!
দীর্ঘমেয়াদি রোগগুলির মধ্যে অন্যতম হল ডায়াবেটিস। সাধারণত পুরুষদের মধ্যেই ডায়াবেটিস বেশি হতে দেখা যায়, তবে এখন মহিলারাও এই সমস্যা থেকে বাদ পড়ছে না। ডায়াবেটিস মূলত দুই প্রকারের, টাইপ ১ ও টাইপ ২। প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই টাইপ ২ ডায়াবেটিস দেখা যায়। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিনের অভাব হলেই ডায়াবেটিস দেখা দেয়। ডায়াবেটিস থেকে বিভিন্ন ধরনের গুরুতর রোগ, যেমন - অন্ধত্ব, কিডনির সমস্যা, হৃদরোগ, ডিপ্রেশন, ইউটিআই এবং বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে। কখনও কখনও আবার ডায়াবেটিস প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। তাই স্বাস্থ্য জটিলতা এড়াতে মহিলাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। আর এর প্রাথমিক উপায় হল সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অপরিহার্য।
রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকার দিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ডায়াবেটিস আক্রান্ত মহিলারা দৈনন্দিন ডায়েটে কোন কোন খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করবেন।
১) ফ্যাটি ফিস
স্যালমন, ম্যাকারেল, সার্ডিন, টুনার মতো মাছগুলি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, Docosahexaenoic acid (DHA) এবং eicosapentaenoic (EPA) এর উৎস। এই ফ্যাটি ফিসগুলি ইনসুলিন এবং লিপিডের মাত্রা উন্নত করার পাশাপাশি হরমোনের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করতে পারে। নিয়মিত এই মাছগুলি খেলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম করে। তাছাড়া এই মাছগুলি ওজন নিয়ন্ত্রণেও অত্যন্ত সহায়ক।
২) আদা
মহিলাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদা দুর্দান্ত কার্যকর। আদাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি উন্নত করে। তাছাড়া আদা হার্ট, থাইরয়েড এবং পাচনতন্ত্রের জন্যও অত্যন্ত উপকারি।
৩) হলুদ
বহুগুণ সম্পন্ন হলুদ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত সহায়ক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি সমৃদ্ধ হলুদ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বেশ কিছু রোগ বিকাশের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তাছাড়া হলুদে থাকা কারকিউমিন যৌগটি অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
৪) সবুজ শাকসবজি
পালং শাকের মতো শাকসবজিতে পুষ্টি, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কম ক্যালরিযুক্ত সবুজ শাকসবজিগুলিতে ফাইবার থাকে, যা রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। তাছাড়া সবুজ শাকসবজিতে উপস্থিত ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরের প্রদাহ কমায় এবং সেলুলার ড্যামেজ নিরাময় করতে পারে।
৫) জাম
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অন্যতম সেরা ফল হল জাম। জাম ইনসুলিন সেনসিটিভিটি উন্নত করতে দুর্দান্ত কার্যকর। আয়ুর্বেদ অনুসারে, জাম হজমের সমস্যা দূর করে এবং জামের বীজের গুঁড়ো রক্তের উচ্চ শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৬) আখরোট
ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে আখরোট দারুণ কার্যকর। আখরোটে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে এবং ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আমাদের হার্টকে রক্ষা করে। গবেষকদের মতে, প্রতিদিন আখরোট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং স্থূলতার ঝুঁকিও কমে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সুস্থ থাকার জন্য দিনে দু'টি আখরোটই যথেষ্ট।