Just In
- 2 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 4 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 4 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 19 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারি তেজপাতা! জেনে নিন এর অন্যান্য উপকারিতা
ভারতীয় রান্নাঘরের এক অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অংশ হল তেজপাতা। পোলাও, ডাল, মাছ, মাংস, পায়েস, যেকোনও রান্নায় তেজপাতার ব্যবহার অনন্য স্বাদ এনে দেয়। তেজপাতা কেবল মাত্র তার সুগন্ধের জন্যই পরিচিত নয়, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ ও সি, ফলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য খনিজের উৎস।
তেজপাতায় অসংখ্য ঔষধি গুণও বর্তমান। বিভিন্ন ঘরোয়া কাজেও তেজ পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাহলে জেনে নিন, তেজ পাতার বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
১) হজম ক্ষমতাকে উন্নত করে
বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, প্রচুর ঘি-মাখন এবং মশলা আছে এমন খাবারে তেজপাতা ব্যবহার করলে, সহজে খাবার হজম হয়। তাছাড়া তেজ পাতা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমের উপরে শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তাছাড়া তেজ পাতা প্রস্রাব এবং বমির মাধ্যমে, শরীরের বিষাক্ত টক্সিনগুলি অপসারণ করতেও সহায়তা করে।
২) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত যে, তেজ পাতার নিয়মিত সেবন টাইপ 2 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে, সহায়তা করতে পারে। তাছাড়া এই চমৎকারী পাতাগুলি, টেম্পারিংয়ের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। যা গ্লুকোজ বিপাকের ক্ষেত্রে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই খাবারের তেজপাতার ব্যবহার, ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী।
৩) ফাংগাল ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক
গবেষকদের মতে, তেজ পাতায় অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান। যা ত্বককে, যেকোনো ধরনের সংক্রমণ বা অস্বস্তির হাত থেকে রক্ষা করতে, সহায়তা করে। তেজ পাতার নিয়মিত সেবন, একটি প্রতিরক্ষামূলক অদৃশ্য স্তর তৈরি করে, যা বাতাসে ভ্রাম্যমান ব্যাকটেরিয়া গুলিকে, দূরে রাখতে সহায়তা করে।
৪) শ্বাসযন্ত্রের চিকিৎসায় সহায়ক
তেজ পাতা নিজেই এসেনশিয়াল অয়েলের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। এই পাতা থেকে নিষ্কাশিত এসেন্সিয়াল অয়েল, শ্বাস যন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যার উপশম করতে, অত্যন্ত কার্যকর রূপে প্রমাণিত।
৫) প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে
তেজ পাতা প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করতে, দুর্দান্ত কার্যকর। তেজ পাতায়, সেসকুইটারপেন নামক ল্যাকটোন বর্তমান। এটি নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদনকে বাধা দেয় এবং এর থেকে হওয়া প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়তা করে।
৬) উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক
তেজ পাতায় 'লিনালুল' নামক এক ধরনের যৌগ বর্তমান। এটি শরীরের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে, শরীর এবং মনকে শান্ত করতে সহায়তা করে। এর ফলে উদ্বেগ কিংবা বিষণ্নতার সম্ভাবনা, অনেকাংশেই কমে যায়।
৭) ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য বর্তমান
তেজ পাতা হল এক ধরনের চমৎকারী উপাদান, যা ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবেও কাজ করে। নিউট্রিশন রিসার্চ জার্নাল এর মতানুসারে, তেজ পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জৈব যৌগগুলি, ক্যান্সার- সৃষ্টিকারী ফ্রি রেডিকেলের খারাপ প্রভাব থেকে, শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
৮) হার্ট ভাল রাখে
তেজ পাতায় উপস্থিত যৌগগুলি, হৃৎপিণ্ডের ক্যাপিলারি ওয়াল (capillary walls of the heart) কে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। তাছাড়া তেজ পাতা ক্যাফেইক অ্যাসিডের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। এটি শরীর থেকে LDL বা খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সহায়তা করে। যার ফলে শরীরে, কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই তেজ পাতাকে অনেকেই, রান্নাঘরে হার্ট-ফ্রেন্ডলি উপাদানও বলেন।
৯) চুলের জন্য উপকারি
আপনি কি চুল পড়া, খুশকি এবং হেয়ার ফলিকলের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত? তাহলে, তেজ পাতা ব্যবহার করে দেখুন। এটি করতে, প্রথমে জলে বেশ কিছুক্ষন তেজ পাতা ভিজিয়ে রাখুন। তারপরে শ্যাম্পু করে নিয়ে, মাথার ত্বকে ভালো করে ওই তেজপাতা ঘষে নিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ফল হাতেনাতে পাবেন। এটি চুলের ঘনত্ব এবং আয়তন বৃদ্ধি করতে, দুর্দান্ত কার্যকর।