Just In
গর্ভধারণের প্ল্যান করছেন? খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন এই খাবারগুলি!
প্রেগনেন্সি প্রত্যেক দম্পতির জীবনেই একটা বিশেষ সময়। তবে অনেক সময় দম্পতিরা শত চেষ্টা করেও গর্ভধারণ করতে পারেন না। অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস, বয়স, শারীরিক অবস্থা - এরকম নানা কারণ রয়েছে এর পেছনে। আজকের আর্টিকেলে আমরা এমন কয়েকটি খাবার নিয়ে আলোচনা করব, যেগুলি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখলে গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়ে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, সময়মতো গর্ভধারণ করতে চাইলে ডায়েটে কী কী খাবার রাখবেন -
ফলিক অ্যাসিড
ভিটামিন বি৯ এর একটি রূপ ফলিক অ্যাসিড। লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি কমানোর জন্য ফলিক অ্যাসিড খুবই প্রয়োজন। শরীরে এই পুষ্টির অভাব দেখা দিলে homocysteine, বার্থ ডিফেক্ট এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। প্রাকৃতিকভাবে এই পুষ্টি খাদ্য থেকে পাওয়া যায়, তাকে ফোলেট বলে। সাধারণত সবুজ শাকসবজি, যেমন - পালং শাক, ব্রকোলি এবং লেটুস, মটরশুঁটি, বিনস, মসুর ডাল, লেবু, কলা, খরমুজ, এগুলো থেকে এই পুষ্টি পাওয়া যায়।
ভিটামিন বি১২
ভিটামিন বি১২, যা কোবালামিন নামেও পরিচিত। এটি এক ধরনের ওয়াটার-সলিউবল ভিটামিন, যা রক্ত গঠন এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। আমাদের শরীর এই পুষ্টি নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না, তাই খাদ্য এবং সাপ্লিমেন্টের উপরই পুরোপুরি নির্ভর করতে হয়। এই পুষ্টির অভাবে নিউরাল টিউবে ত্রুটি দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৮০-৯০ শতাংশ ভেগান এবং নিরামিষাশীদের ভিটামিন বি১২ এর অভাব রয়েছে। তাই এই ব্যক্তিদের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ভিটামিন বি১২ সাপ্লিমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। দুগ্ধজাত পণ্য, মাছ এবং হাঁস, মুরগি হল ভিটামিন বি১২ এর সাধারণ উৎস।
আপনি কি মা হওয়ার পরিকল্পনা করছেন? এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখুন
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে, রক্তচাপ কমাতে এবং HDL কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে এই স্বাস্থ্যকর চর্বি বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়, ওমেগা-৩ শিশুর মস্তিষ্ক ও চোখের বিকাশে সহায়তা করে এবং প্রিম্যাচিওর বার্থ রোধ করে, পেরিনেটাল ডিপ্রেশন কমাতেও সাহায্য করে। মাছ, বাদাম, বীজ এবং প্ল্যান্ট অয়েল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কিছু সাধারণ উৎস।
গবেষণা কী বলছে?
হার্ভার্ড গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ডি, দুগ্ধজাত পণ্য, সয়া, ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল ফার্টিলিটির উপর খুব কম বা কোনও প্রভাবই ফেলে না। কিন্তু অত্যধিক ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ, যেমন - প্রক্রিয়াজাত মাংস, মিষ্টি এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস গর্ভাবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
গর্ভধারণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মহিলাদেরই নয়, পুরুষদেরও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। গবেষণা অনুসারে, পুরুষরা স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তবেই তাদের বীর্যের গুণমান উন্নত হয়। আর যখন খাবারে স্যাচুরেটেড বা ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকে, তখন বীর্যের গুণমান হ্রাস পায়। অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইনও গর্ভাবস্থায় খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।