Just In
গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেসের শিকার? রইল সমস্যা সমাধানের একগুচ্ছ টোটকা
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সব হবু মায়েদের অনুভূতি সুখের হয় না। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে অনেকেই সারা দিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। যখন তখন গা-পাক দেওয়া বা বমির পর্ব চলে। বিশেষ করে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ঘোরা, বমি পাওয়া, দুর্বল লাগা, ক্লান্তি, খাওয়ার ইচ্ছে না করার মতো নানা লক্ষণ দেখা যায়। এরই নাম মর্নিং সিকনেস। নাম মর্নিং সিকনেস হলেও, অনেকেরই সারা দিন ধরে এই সব সমস্যা চলতে থাকে। সকলেরই যে এমন হয়, তা কিন্তু নয়। তবে যাঁদের হয়, তাঁরা বেশ সমস্যায় পড়েন। শরীরে এত ক্লান্তি থাকে যে দিন-রাত শুয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে করে।
গর্ভবতী হওয়ার একেবারে শুরু থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সব কিছু করা উচিত। তবে ঘরোয়া কিছু টোটকায় এই মর্নিং সিকনেসের সমস্যা অনেকটাই এড়ানো যেতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
প্রোটিন বেশি, ফ্যাট কম এবং সহজেই হজম হয় এমন খাবার খান। ফ্যাটযুক্ত, মশলাদার এবং ভাজাভুজি একেবারে না খাওয়াই ভাল।
গবেষণা অনুযায়ী, আদা পেটের সমস্যা সারাতে সাহায্য করে। তাই এই সময় আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। বমি বমি ভাব কমাতে আদা চা বা আদার ক্যান্ডিও খেতে পারেন।
ঘন ঘন খাবার খান
খালি পেটে থাকলে বমি বমি ভাব আরও বাড়তে পারে। তাই সারা দিনে অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বিছানার পাশে বিস্কুট, শুকনো রুটি এবং সিরিয়াল রাখতে পারেন, যাতে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কিছু খেতে পারেন। এর ফলে বমি বমি ভাব অনেকটাই কমবে।
প্রচুর তরল পান করুন
গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন। এছাড়া, আদা চা খেতে পারেন। প্রতিদিন ৬-৮ কাপ তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। ক্যাফেইন বেশি না খাওয়াই ভাল।
তীব্র গন্ধ এড়িয়ে চলুন
তীব্র গন্ধ থেকে দূরে থাকুন। সিগারেটের ধোঁওয়া, পারফিউম এবং এরকম অন্যান্য জিনিস, যার গন্ধ নাকে এলে সমস্যা আরও বাড়ে, এমন জিনিস থেকে দূরে থাকুন। এছাড়া, যে সব খাবারের গন্ধে বমি পায় সে সব খাবার থেকেও দূরত্ব বজায় রাখা ভাল।
বিশ্রাম নিন
এই সময় খুব ভাল ঘুমের প্রয়োজন হয়। রাতে ভাল ঘুম বা দিনের বেলা ঘুমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে খাওয়ার পরপরই ঘুমাতে যাবেন না, কারণ এতে বমি বমি ভাব আরও বাড়তে পারে।
বমি করার পর মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন
পাকস্থলী থেকে আসা অ্যাসিড দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করতে পারে। বমি করার পর পারলে এক কাপ জলে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এতে দাঁতের রক্ষা হবে।