Just In
- 1 hr ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 3 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 19 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 20 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
সন্তানকে শাসন অবশ্যই করবেন, কিন্তু ভুলেও বলবেন না এই কয়েকটি কথা!
ঘরে-বাইরের কাজের চাপ, ব্যক্তিগত জীবনের নানা সমস্যা সামলে সন্তান মানুষ করতে গিয়ে অনেক সময়ই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন বাবা-মায়েরা। সন্তান একটু ভুল করলে কিংবা তাদের জেদ, আবদার সামাল দিতে গিয়ে কখনও কখনও খুব কড়া শাসন করে ফেলেন অভিভাবকরা। বাচ্চা কিছু না-পারলেই রাগের মাথায় অনেক কথাই বলে বসেন তারা। মেজাজ হারিয়ে এমন কিছু কথা বাচ্চাকে বলে ফেলেন যে তার জের চলে বহুদিন পর্যন্ত। এতে বাচ্চার জেদ আরও বাড়তে থাকে এবং তারা নিজেদের গুটিয়ে নেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিভাবকদের এই অভ্যাস পাল্টে ফেলা উচিত। কারণ এর ফলে বাচ্চাদের মনের ওপর গভীর প্রভাব পড়ে। এমন কিছু কিছু কথা আছে, যা ভুলেও বাচ্চাদের কখনও বলা উচিত নয়। জেনে নিন, নিজের সন্তানকে কোন কোন কথা বলবেন না-
'তুমি খুবই বোকা'
বাচ্চাদের এমন কথা বললে তাদের আত্মবিশ্বাস একেবারে কমে যায়। মনোবল ভেঙে যায়। তারা অপমানিত বোধ করে। সব বাচ্চার মানসিকতা, বুদ্ধির বিকাশ এক রকম হয় না। তাই, তারা কোনও ভুল করলে কিংবা সরল মনে কোনও কিছু করে ফেললেও তাদের 'বোকা', 'গাধা' বলে তিরষ্কার করবেন না। আপনার কথায় যাতে আপনার সন্তান কষ্ট না পায়, আত্মবিশ্বাস না ভাঙে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, বেশিরভাগ বাচ্চাদের আইকিউ প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অনেক বেশি থাকে।
'নাটক কোরো না'
মা-বাবার কাছে বকা খাওয়ার ভয়ে অনেক বাচ্চাই নিজের ভুল বা দোষ স্বীকার করতে চায় না। ফলে তারা অসংলগ্ন কথা বলে বা কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। সেই সময় অনেক মা-বাবাই বলে দেন 'নাটক করো না'। এই ধরনের কথা কিন্তু বাচ্চাদের মনে খুব আঘাত করে।
'তুমি এত বাজে কেন?'
অনেক অভিভাবক সন্তানের জেদ, বায়না, দুষ্টুমি সামলাতে না পেরে, তাঁরই বয়সী অন্যান্য বন্ধুর সঙ্গে তুলনা করে ফেলেন। হয়তো দুম করে বলেও দেন 'তুমি খুব বাজে'। কিন্তু বাচ্চাকে এমন কথা বলা একেবারেই উচিত নয়।
বাচ্চাকে বোকা, নির্বোধ, মেলোড্রামাটিক বললে তাদের আত্ম-সম্মানে লাগতে পারে, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারে এবং নিজেদেরকে অবজ্ঞাও করতে পারে।
'আমরা এটা দিতে পারব না'
বাচ্চারা প্রায়ই এটা-ওটা কেনার বায়না ধরে। বন্ধুর কোনও দামী জিনিস দেখলেই সেটা কিনে দেওয়ার জন্য বায়না করে। বাচ্চার মুখের উপর সরাসরি না বলে দেওয়া খুব সহজ। কিন্তু তাদের সামনে আর্থিক সমস্যা নিয়ে কখনই আলোচনা করা উচিত নয়। এই সব কিছুর ছাপ পড়ে বাচ্চার মনে।
আর্থিক চাপের বোঝা বাচ্চাদের উদ্বিগ্ন করে তুলতে পারে। বাচ্চাদের পক্ষে পরিবারের আর্থিক সমস্যা বোঝা একেবারেই সম্ভব নয়। কিন্তু তাদের সামনে এ সব আলোচনা করলে তারা তাদের আবেগ আড়াল করতে শুরু করবে, মনের ইচ্ছা শেয়ার করা বন্ধ করে দেবে।
'তোমার সমস্যা কী?'
বাচ্চারা অনেক ভুল করে, জেদ দেখায়। কিন্তু সবসময় তাদের বকে, ধমকে শোধরানোর চেষ্টা না করাই ভাল। বাবা-মা যদি সর্বদা রাগ করে, চিৎকার করে সন্তানকে শাসন করেন, তাহলে তারা আরও জেদী হয়ে যেতে পারে, তাদের মনে আঘাত লাগতে পারে। এর ফলে তারা মনের কথা গোপন করে যাবে। তাই বন্ধুর মতো মিশে কথা বলতে পারলে ভাল। ঠান্ডা মাথায় তার সমস্যার কথা জি়জ্ঞেস করুন।
'কোনও কাজই তুমি ঠিক করতে পারো না'
কোনও কাজ ভুল করলে সেটা আপনার সন্তানকে ঠান্ডা মাথায় বলুন। তাকে ঠিকটা শিখিয়ে দিন। কিন্তু কখনই তাকে বলবেন না যে 'কোনও কাজই তুমি ঠিক করতে পারো না'। এতে বাচ্চার মনে সেই ভুলের অপরাধবোধ জমতে থাকে এবং বাচ্চার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিতে পারে।
ছেলে ও মেয়ের মধ্যে তফাত করবেন না
আপনার সন্তানদের একই চোখে দেখুন। কখনই একজনের সঙ্গে অন্যজনের তুলনা টানবেন না। ছেলের যে সব ইচ্ছা পূরণ করছেন বা যে সব কাজের জন্য তাকে স্বাধীনতা দিচ্ছেন, মেয়ের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই করুন। মেয়েকে তা থেকে বঞ্চিত করবেন না। 'মেয়ে হয়ে তোমায় এই কাজ মানায় না'-এই ধরনের কোনও মন্তব্য আপনার সন্তানের কাছে করবেন না।