Just In
বহুদিন সুস্থভাবে বাঁচতে এই পানীয়টি খাওয়া জরুরি!
বহুদিন সুস্থভাবে বাঁচতে এই পানীয়টি খাওয়া জরুরি!
হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে নিশ্চয় আপনাদের জানা আছে? আমাদের শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে এর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো নানাবিধ রোগের প্রকোপ কমাতে আজও আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে হলুদের ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহার হয়ে আসছে।
এই প্রবন্ধে হলুদ দিয়ে বানানো একটি পানীয়র প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে, যা প্রতিদিন খেলে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গ একেবারে সুস্থ অবস্থায় থাকবে। সেই সঙ্গে আয়ুও বৃদ্ধি পাবে। তাই আপনিও যদি দীর্ঘ জীবন কামনা করেন, তাহলে একবার চোখ রাখতেই পারেন এই প্রবন্ধে। আসলে এই পানীয়টি খেলে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের প্রকোপ হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে শরীরের নানাবিধ প্রদাহও কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, লিভার এবং মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে কোনও ধরনের জটিল রোগই শরীরে বাসা বাসা বাঁধতে পারে না।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
হলুদে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় কার্কিউমিন, যা নার্ভ টিস্যুগুলির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে স্মৃতিশক্তি ভাল হতে শুরু করে, সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ারেরও বৃদ্ধি ঘটে। তাই আপনি যদি চান আপনার বাচ্চা পড়াশোনায় ভাল হয়ে উঠুক, তাহলে ওদের আজ থেকেই হলুদ দিয়ে তৈরি এই পানীয়টি খাওয়ানো শুরু করুন। প্রসঙ্গত, অ্যালঝাইমার রোগকে প্রতিরোধ করতেও এই পানীয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
লিভার ফাংশনের উন্নতি ঘটায়:
একাধিক গবেষণা অনুসারে, লিভারকে সুস্থ রাখতে হলুদ দারুন কাজে আসে। আসলে এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা লিভারের ক্ষত সারানোর পাশপাশি শরীরের এই অঙ্গটিকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়:
হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়। আসলে এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত কার্সিজোনদের ক্ষমতাকে হ্রাস করে। ফলে এইসব ক্ষতিকর উপাদানগুলি লিভারের কোনও ক্ষতি করার সুযোগই পায় না। ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা হ্রাস পায়।
কীভাবে বানাতে হবে এই পানীয়টি?
উপকরণ:
১. চামচের এক চতুর্থাংশ হলুদ
২. ১-২ কাপ জল
পানীয়টি বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল।
১. জলটা ফুটিয়ে নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। হলুদ দেওয়ার পর জলটা পুনরায় আরও ১০ মিনিট ফোটান।
২. সময় হয়ে গেলে আঁচটা বন্ধ করে জলটা ঠান্ডা করে নিন। যখন দেখবেন পানীয়টি হালকা গরম অবস্থায় আছে, তখন সেটি খেয়ে ফেলুন।