Just In
- 30 min ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 1 hr ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 5 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 6 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতে সক্ষম এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলি!
রোজের জীবনে দৌড়-ঝাপের মাঝে চোট আঘাত লাগাটা কোনও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। কিন্তু তারপর... এক্ষেত্রে প্রায় ৭০ শতাংশই কষ্ট কমাতে পেনকিলারের উপর ভরসা করে থাকেন। কিন্তু কেউ নজরই ফেরান না এমন ওষুধের ক্ষতিকর দিকগুলির দিকে। আজ একথা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে বেশি মাত্রায় পেনকিলার খেলে একাধিক শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমনকি কিডনির কর্মক্ষমতাও কমতে শুরু করে। তাই এখন থেকেই সাবধান হওয়াটা জরুরি!
সাবধান তো হতে হবেই। কিন্তু কীভাবে? এক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিকে কাজে লাগাতে পারেন। এই প্রকৃতিক উপাদানগুলি পেনকিলার মতোই দ্রুত ব্যথা তো কমায়ই। সেই সঙ্গে শরীরের নানাভাবে উপকারেও লাগে। অর্থাৎ শরীরের কোনও ক্ষতি ছাড়াই যন্ত্রণার উপশম সম্ভব হয়।
তাহলে আর অপেক্ষা কেন! চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব কার্যকরি প্রাকৃতিক পেনকিলারগুলির সম্পর্কে।
১. চেরি:
লাল লাল ছোট্ট-মিষ্টি এই ফলটিকে দেখতে যতটা সুন্দর, খেতেও ততটাই সুস্বাদু! শুধু তাই নয়, যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতেও এই ফলটির কার্যকরীতাকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আসলে চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসিয়ানিন নামে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এবার থেকে কোথাও চোট আঘতা লাগার কারণে যদি যন্ত্রণা শুরু হয়, তাহেল নিশ্চিন্তে কাজে লাগাতে পারেন এই ফলটিকে।
২. হলুদ:
কয়েক হাজার বছর ধরে যন্ত্রণা কমানো সহ একাধিক রোগের উপশমে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। এতে উপস্থিত কার্কিউমিন নামে একটি উপাদানে রয়েছে অ্যান্টি-ইনপ্লেমেটারি প্রপাটিজ, যা জয়েন্ট এবং পেশির যন্ত্রণা কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। এক্ষেত্রে দুধে বা চায়ে অল্প করে হলুদ মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলেই উপকার মিলবে।
৩. আদা:
হলুদের মতোই এই প্রকৃতিক উপাদানটিও বহু শতাব্দী ধরে ব্যথা উপশমে কাজে আসছে। আর কেন আসবে নাই বা বলুন! আদায় উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ অর্থ্রাইটিস, পেটের যন্ত্রণা, বুকে ব্যথা, পিরিয়ডের যন্ত্রণা সহ যে কোনও ধরনের ব্যথা কমাতে দারুন উপকারে লাগে।
৪. আঙুর:
যন্ত্রণা উপশমে আঙুরের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। বিশেষত লাল আঙুর এক্ষেত্রে বেশি কাজে আসে। এই ফলটির শরীরজুড়ে রয়েছে রেসভার্টল নামে একটি অতি কার্যকরী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টট প্রপাটিজ, যা নিমেষে যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতে সক্ষম। সেই সঙ্গে জয়েন্টে উপস্থিত কার্টিলেজের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে সার্বিকভাবে শরীরকে সচল রাখতেও আঙুর বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. পিপারমেন্ট পাতা:
দাঁত, পেশি, নার্ভ এবং মাথার যন্ত্রণা কমাতে পিপারমেন্ট পাতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে উপস্থিত থেরাপেটিক প্রপাটিজ হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই নানাবিধ পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। পিপারমেন্ট পাতার উপকারিতা এখানেই শেষ হয়ে যায় না। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে স্ট্রেস কমাতে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও এই প্রকৃতিক উপদানটি দারুন কাজে আসে। তাই ব্যথা যন্ত্রণা ছাড়াও প্রতিদিন যদি অল্প করে পিপারমেন্ট পাতা খেতে পারেন, তাহলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
৬. নুন:
একেবারে ঠিক শুনেছেন। যন্ত্রণার মতো শারীরিক কষ্ট কমাতে নুনকে কাজে লাগানো যেতেই পারে। এক্ষেত্রে ১০-১৫ চামচ নুন, জলে মিশিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করলেই উপকার মেলে। কেন এমনটা হয় জানেন? কারণ নুন জল শরীরের অন্দরের প্রবেশ করে একাধিক কোষকে উজ্জীবিত করে তালে। সেই সঙ্গে দেহের প্রতিটি কোণায় রক্ত চলাচলও খুব বেড়ে যায়। ফলে যন্ত্রণা কমতে শুরু করে।
৭. সয়া:
"এন সি বি আই"-এর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে সয়া প্রোটিন আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমাতে দারুন কাজে আসে। শুধু তাই নয়, অস্টিওআথ্রাইটিসের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে। তাই যারাই এমন রোগে আক্রান্ত, তারা আজ থেকেই প্রতিদিন সয়া মিল্ক খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, সয়াতে উপস্থিত আইসোফ্লেবোনস নামে একটি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিক পালন করে থাকে।
৮. দই:
তলপেটের যন্ত্রণা কমাতে এটি দারুন কাজে আসে। শুধু তাই নয়, দইয়ে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করা মাত্র হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি পেট সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৯. লঙ্কা:
খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে লঙ্কার বাস্তবিকই কোনও প্রতিপক্ষ নেই। এতে থাকা ক্যাপসিয়াসিন নামে একটি উপাদান দ্রুত যন্ত্রণা কমাতে দারুন কাজে আসে। সেই কারণেই তো বাজার চলতি একাধিক যন্ত্রণা কমানোর মলমে এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শারীরিক কষ্ট কমাতে ২ টো লঙ্কার বেশি খাওয়ার প্রয়োজন পরে না। আর যদি হাতের কাছে কাঁচা লঙ্কা না থাকে, তাহলে দু চামচ লঙ্কা গুঁড়ো খাবারে মিশিয়ে খেতে পারেন, সমান উপকার পাবেন।