Just In
রান্নাঘরের এই ১০টি খাবার কখনও নষ্ট হয় না! দেখে নিন কী কী
দোকান থেকে যেকোনও খাবার জিনিস কেনার সময়, সাধারণত আমরা প্রায় প্রত্যেকেই বিপদ এড়াতে প্যাকেটের গায়ে লেখা ডেট দেখে কিনি। কারণ এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া জিনিস স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর, একথা প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু এমন কিছু খাবার জিনিস রয়েছে যা কয়েক বছর পর্যন্ত ভাল থাকে, নষ্ট হয়ে যায় না। ফলে এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হয় না!
তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন খাবার জিনিস কয়েক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায় -
১) মধু
মধুর ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। আয়ুর্বেদেও এর উল্লেখ আছে। সর্দি-কাশি অথবা ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা করতে, মধু দারুন কাজ করে। মধু কিন্তু নষ্ট হয় না। তাই মধু সংরক্ষণ করে খেতে পারেন কয়েক বছর পর্যন্ত। মধু প্রায় ১৭ শতাংশ জল দ্বারা গঠিত। মধু সংরক্ষণ করা খুব কঠিন কাজ নয়। মধু সংরক্ষণ করতে কাঁচের মুখবন্ধ জার ব্যবহার করুন। তবে দেখবেন যাতে ঢাকনা শক্ত করে আটকে থাকে। মেটাল বা প্লাস্টিকের পাত্রে মধু রাখবেন না।
২) সাদা চাল
ভারতীয়দের অন্যতম প্রধান খাদ্য হল সাদা ভাত। চাল অনেকদিন রাখা যায়, তবে বেশিদিন রাখলে চালে ছোট ছোট পোকা ধরে যায়। তাই চালের মধ্যে কয়েকটা শুকনো নিম পাতা দিয়ে রাখুন। দেখবেন পোকা লাগবে না। এমনকি গমও এই একই পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে।
৩) ডাল
চালের মতো ডালও ভারতীয়দের অন্যতম প্রধান খাদ্য। যেকোনও ডাল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। তবে মাঝেমধ্যে সূর্যের আলোতে দিলে, ডাল আরও ভাল থাকবে।
৪) নুন
নুন ছাড়া রান্না ভাবাই যায় না। রান্নায় নুনের গুরুত্ব অপরিসীম। যেকোন খাবারেই নুন ব্যবহার মাস্ট। এমনকি নুন অন্যান্য খাবার সংরক্ষণের জন্যও ব্যবহার করা হয়। মধুর মতো, নুনও ব্যাকটেরিয়া ডিহাইড্রেট করতে সক্ষম। এয়ারটাইট পাত্রে সঠিকভাবে নুন সংরক্ষণ করে রাখলে, কয়েক বছর ধরে অনায়াসে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫) চিনি
চিনিও প্রায় প্রতিদিনই ব্যবহার করা হয়। এয়ারটাইট পাত্রে চিনি রাখলে, বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব। তবে ভেজা চামচ, তাপ ও আর্দ্রতা থেকে চিনি দূরে রাখুন।
৬) সয়া সস
চাইনিজ খাবারের অন্যতম প্রধান উপাদান হল সয়া সস। সয়া সসের প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে, যা এটিকে দীর্ঘদিন সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। সয়া সসের বোতল যদি না খোলা হয়, তবে এটি অনেকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে যদি সয়া সসের বোতল ঠিকভাবে সিল করা থাকে এবং কাপবোর্ড-এ রাখা থাকে, তাহলে তা আরও ভাল।
বর্ষায় জামা-কাপড়ের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও দুর্গন্ধে অস্থির? রইল সমস্যা সমাধানের কিছু সহজ উপায়
৭) কর্নফ্লাওয়ার
কনফ্লাওয়ার সম্পর্কে কমবেশি আমরা প্রত্যেকেই জানি। নানান মুখরোচক খাবার তৈরিতে কনফ্লাওয়ার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কর্নফ্লাওয়ারও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে।
৮) ভিনেগার
সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে, সাদা ভিনেগার দীর্ঘসময় সুরক্ষিত থাকে। তবে অন্যান্য ধরণের ভিনেগার, যেমন- ওয়াইন ভিনেগার বা অ্যাপল সিডার ভিনেগার সময়ের সাথে সাথে রঙ পরিবর্তন করতে পারে।
৯) ম্যাপল সিরাপ
সিল করা ম্যাপেল সিরাপও দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব। তবে সিল খুলে ফেলার পর, ঠিক করে সংরক্ষণ না করলে, এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। খুলে ফেলার পর ম্যাপল সিরাপ এয়ারটাইট পাত্রে রাখুন এবং ফ্রিজে রাখলে আরও ভাল। এইভাবে রাখলে বছরখানেক ভাল থাকে।
১০) গুঁড়ো দুধ
গুঁড়ো দুধ প্রায় ২-১০ বছর পর্যন্ত ভাল থাকতে পারে, বিশেষ করে এয়ারটাইট পাত্রে যখন রাখা হয়। ৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নীচে ঠান্ডা জায়গায় অথবা ফ্রিজে গুঁড়ো দুধ রাখলে ভাল থাকে।