For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

শীতকালে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত খেজুর খেতে ভুলবেন না যেন!

নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করলে যে কেবল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে, তা নয়, সেই সঙ্গে আরও একাধিক উপকার মেলে। যেমন ধরুন...

|

বছরের এই বিশেষ সময়ে পরিবেশে ক্ষতিকর জীবাণুর মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে শরীরকে চাঙ্গা রাখা বেজায় মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। আর ঠিক এই কারণেই তো সারা শীতকাল জুড়ে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। আসলে এই ফলটিতে উপস্থিত ফাইবার, উপকারি তেল, ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, কপার, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন কে এবং আরও নানাবিধ খনিজ উপাদান, নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। বিশেষত, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে এই উপদানগুলির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর একবার ইমিউনিটি বেড়ে গেলে ছোট-বড় কোনও রোগই যে ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তা তো বলাই বাহুল্য!

Are dates good for you? Benefits and nutrition

প্রসঙ্গত, নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করলে যে কেবল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে, তা নয়, সেই সঙ্গে আরও একাধিক উপকার মেলে। যেমন ধরুন...

১. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে চোখে পরার মতো:

১. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে চোখে পরার মতো:

একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে খেজুরে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও নানাবিধ উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর ব্রেন সেলের ক্ষমতাকে এতটাই বাড়িয়ে তোলে যে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। তাই তো বলি বন্ধু আশেপাশের মানুষদের থেকে যদি একটু বেশিই বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে চান, তাহলে প্রতিদিন ২-৩ টে করে খেজুড় খেতে ভুলবেন না যেন!

২. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

২. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

খেজুরে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ডি শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে ত্বক টানাটান হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বলিরেখাও গায়েব হতে শুরু করে। ফলে ত্বক প্রাণবন্ত এবং উজ্জ্বল হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এই ফলটিতে উপস্থিত অ্যান্টি-এজিং প্রপাটিজ, ত্বকের বয়স ধরে রাখতেও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

৩. হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

৩. হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে "এল ডি এল" বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আরও সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।

৪. নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমে:

৪. নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমে:

প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এই ফলটি খেলে বাওয়েল মুভমেন্টে মারাত্মক উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের পেটের রোগই আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ৩ টে করে খেজুর খেলে শরীরে অন্দরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ায় মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম, কোলাইটিস এবং হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৫. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:

৫. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে প্রতিদিন তিনটে করে খেজুর খেলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যে তার প্রভাবে ক্যান্সার সেলের জন্মে নেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। ফলে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না, বিশেষত কোলোরেক্টাল ক্যান্সার মতো রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়।

৬. এনার্জির ঘাটতি মেটে:

৬. এনার্জির ঘাটতি মেটে:

এই ফলটির অন্দরে থাকা প্রকৃতিক সুগার রক্তে মেশার পর এমন মাত্রায় খেল দেখাতে শুরু করে যে শরীর একেবারে চনমনে হয়ে ওঠে, সেই সঙ্গে মানসিক ক্লান্তি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এবার থেকে যখনই ক্লান্ত লাগবে এক-দুটো খেজুর খেয়ে নেবেন, তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে!

৭. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

৭. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে খেজুর খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়মিত এই ফলটির পাতা খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে চোকে পরার মতো! সেই সঙ্গে নাইট ব্লাইন্ডনেস সহ অন্যান্য চোখের রোগের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না।

৮. অ্যানিমিয়ার মতো রোগ দূরে থাকে:

৮. অ্যানিমিয়ার মতো রোগ দূরে থাকে:

শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলেই মূলত এই ধরনের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তো শরীরে যাতে এই খনিজটির ঘাটতি কোনও সময় দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে খেজুর দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে। কীভাবে? এই ছোট্ট ফলটি আয়রণ সমৃদ্ধি। তাই তো অ্যানিমিয়ার মতো রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।

৯. অ্যালার্জির প্রকোপ কমে:

৯. অ্যালার্জির প্রকোপ কমে:

২০০২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে দাবি করা হয়েছিল খেজুরে উপস্থিত সালফার কম্পাউন্ড অ্যালার্জির মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো যারা সারা বছরই এই রোগে ভুগে থাকেন, তাদের রোজের ডায়েটে এই ফলটির অন্তর্ভুক্তি মাস্ট!

১০. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে:

১০. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের রোজের ডায়েটে এই ফলটি থাকা মাস্ট!

১১. হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে:

১১. হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে:

খেজুরে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন হাড়কে এতটাই শক্তপোক্ত করে দেয় যে বয়স্কালে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, এই ফলটিতে উপস্থিত সেলেনিয়াম, ম্য়াঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয়:

১২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয়:

খেজুরে প্রচুর মাত্রায় প্রাকৃতির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একাধিক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, এই ফলটিতে বেশ কিছু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজও রযেছে, ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে হ্রাস পায়।

১৩. নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষমতা বাড়ে:

১৩. নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষমতা বাড়ে:

খেজুরে উপস্থিত নানাবিধ ভিটামিন এবং খনিজ, বিশেষত পটাশিয়াম নার্ভের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ার বাড়াতেও এই ফলটি দারুনভাবে সাহায্য করে। এবার নিশ্চয় বুঝেছেন বাচ্চাদের প্রতিদিন কেন খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

English summary

Are dates good for you? Benefits and nutrition

Looking to load up on proteins. Adding some dates in your diet may help. Dates are a strong source for proteins that help us in staying fit, and even keep our muscles strong. A lot of regular gym goers are asked to eat a couple of dates every day as part of their daily routine.
X
Desktop Bottom Promotion