Just In
সুস্থ থাকতে জল তো খাচ্ছেন, কিন্তু জল পানের সঠিক নিয়ম জানা আছে কি?
শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি দিনে পর্যাপ্ত জল পান করা অত্যন্ত জরুরি। সঠিক পরিমাণে জল পানের ফলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে, প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল রাখে, শরীরের কোষগুলি শক্তিশালী করতেও কাজ করে। তাছাড়া, শরীর থেকে বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে এবং শরীরে পুষ্টি বহন করতে জলের প্রয়োজন। শরীর সুস্থ রাখতে জলের প্রয়োজনতীয়তা বলে শেষ করা যাবে না। আর জল ঠিকমতো না খেলেই শরীর সর্বদা দুর্বল, ক্লান্ত অনুভব হবে। বিভিন্ন রকম রোগ দেখা দেবে।
তবে জল পানেরও বেশ কিছু নিয়ম আছে। যেমন তেমনভাবে জল পান করলে স্বাস্থ্যের উপকারের পরিবর্তে অপকারই বেশি হবে। তাহলে জেনে নিন, জল পান করার সঠিক নিয়ম -
১) বেশিরভাগ সময়ই আমরা বোতল বা গ্লাস থেকে ঢকঢক করে জল পান করি। কিন্তু এটা একেবারেই সঠিক পদ্ধতি নয়। বরং গ্লাসে জল নিয়ে আস্তে আস্তে চুমুক দিয়ে পান করা উচিত।
২) বোতল থেকে গবগব করে জল পান করলে অনেক সময় পেট ফুলে থাকে। ফলে শরীরে অস্বস্তি হয়, কিছু খেতে ইচ্ছে হয় না। কিন্তু গ্লাসে চুমুক দিয়ে আস্তে আস্তে জল পান করলে শরীর হাইড্রেট থাকে এবং কোনও অস্বস্তি অনুভব হয় না।
৩) বিশেষজ্ঞদের মতে, তাড়াহুড়ো করে কিংবা দাঁড়িয়ে ঢকঢক করে জল খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এতে কিডনির সমস্যা হতে পারে, স্নায়ু উত্তেজিত হয়ে পড়ে, এমনকি আর্থ্রাইটিসেও ভুগতে পারেন। তাই এক জায়গায় বসে গ্লাসে জল নিয়ে ছোট ছোট চুমুকে জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয়।
৪) অনেকেরই ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাস থাকে। বিশেষ করে গরম কালে সরাসরি ফ্রিজের জল অনেকেই খান। কিন্তু এই অভ্যাস একেবারেই ভাল নয়। ঠান্ডা জল আপনার ইন্দ্রিয়গুলিকে ধাক্কা দিতে পারে এবং আপনার পাচক রসকে মেরে ফেলতে পারে। এছাড়া, ঠান্ডা জল শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে। তাই, রুম টেম্পারেচরে থাকা জল খাওয়াই ভাল। প্রয়োজনে একেবারে হালকা গরম জল খেতে পারেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হজমশক্তি বাড়াতে এবং ব্যথা দূর করতে গরম জল দারুণ কার্যকর। আর, যখনই তেষ্টা পাবে তখনই জল খান। অসুস্থ হলে আরও বেশি করে জল খান।
আরও পড়ুন : জানেন কি জল পানের সঠিক সময় কখন? ভুল সময়ে জল পান স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে
৫) খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে জল পান করুন এবং খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর জল পান করুন। খাওয়ার পাতে জল না খাওয়াই ভাল।
৬) সকালে ঠান্ডা জল একেবারেই পান করবেন না। বরং হালকা গরম জল খান। আপনি চাইলে লেবু ও মধু মিশিয়ে হালকা গরম জল পান করতে পারেন। এতে পেটের চর্বি কমে এবং স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া, সকালে উঠেই অনেকটা জল খেয়ে নেবেন না। কারণ রাতের খাবারের পর অনেকক্ষণ পেট খালি থাকে। তাই ঢকঢক করে একগাদা জল খেলে সমস্যা হতে পারে।
৭) একসঙ্গে অনেকটা জল খেয়ে ফেলবেন না। এতে গা-গোলানো ভাব হতে পারে। ভরা পেট বা খালি পেট, এই দুই সময়েই একবারে অনেকটা জল খেলে বমি হয়ে যেতে পারে।