Just In
পিরিয়ডের সময় এই এক্সারসাইজগুলি করুন, সুস্থ থাকুন
অসহ্য পেটের যন্ত্রণা, মুড সুইং, মাথা ব্যথা, গা বমি বমি ভাব - পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবের সময় এই সমস্যাগুলির মুখোমুখি হন সব মহিলা। অনেকেই মাসিক চলাকালীন নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে ফেলেন। এই সময় হাঁটাচলা করলে, জার্নি করলে যন্ত্রণা বাড়বে, এই ধারণা অনেক মহিলার। মাসের ওই কয়টা দিন এক্সারসাইজও বন্ধ করে দেন তারা। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, পিরিয়ডের সময় মেয়েরা তাদের ওয়ার্কআউট রুটিন বাকি পাঁচটা দিনের মতোই করতে পারেন। ফিজিকালি অ্যাক্টিভ থাকলে পিরিয়ডের কিছু সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পিরিয়ডের সময় কী ধরণের এক্সারসাইজ করবেন সেটা জানা প্রত্যেক মেয়েরই দরকার।
মোটামুটি এক সপ্তাহ আগে থেকেই পিরিয়ডের লক্ষণ বোঝা যায়। একটুতেই ক্লান্তি, বিরক্ত লাগা, বিশেষ করে জিম করার এনার্জি চলে যায় মহিলাদের। তাই এই সময়টা থেকেই হালকা এক্সারসাইজ করা শুরু করুন।
পাইলেটস
পেশির এক্সারসাইজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাইলেটস। এটা পিরিয়ডের সময় করা যায়। মাসিকের সময় ব্যাক পেইন হলে পাইলেটস আপনাকে আরাম দেবে। তবে শরীরের অবস্থা বুঝে এক্সারসাইজ করা উচিত।
যোগা
যোগার মাধ্যমে স্ট্রেচিং এবং ব্রিথিং এক্সারসাইজ হয়ে যায়। যোগা করলে শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন ঠিক থাকে। পিরিয়ডের সময় শরীরে ব্লাড সার্কুলেশন ঠিক থাকা খুব দরকার।
নাচ
ফিট থাকতে সাহায্য করে নাচ। ভালো রাখে মনও। পিরিয়ডের সময় শরীরের মুভমেন্টের জন্য নাচের বিকল্প নেই। সেইসঙ্গে মনও ফুরফুরে থাকবে না করলে।
হাঁটা
আমরা সবাই জানি হাঁটা খুব ভালো একটা এক্সারসাইজ। যদি অন্য কোনও এক্সারসাইজ করতে ভালো না লাগে তাহলে পিরিয়ডের সময় একটু হাঁটাহাঁটি করুন।
ব্রিস্ক ওয়াক
হাঁটার পাশাপাশি ব্রিস্ক ওয়াক দারুণ এক্সারসাইজ। পেশির মুভমেন্ট এবং হার্ট রেট ঠিক রাখতে সাহায্য করে এটি। পিরিয়ডের সময় অন্তত ৩০ মিনিট করুন ব্রিস্ক ওয়াক।
দৌড়ানো
অনেক মহিলাই ভাবেন,ঋতুস্রাবের সময় দৌড়াদৌড়ি বেশি করলে সমস্যা হবে। একদমই ভুল ভাবনা। পিরিয়ডের সময় দৌড়ালে বরং আপনি ফিট থাকবেন। পিরিয়ডের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে দৌড়। জগিংও করতে পারেন। এই সময়টা নিজেকে হাইড্রেট রাখতে হবে। যদি দেখেন দৌড়াতে গিয়ে হালকা মাথা ঘুরছে তাহলে একটা লম্বা শ্বাস নিন।
সাঁতার
পিরিয়ডের সময় সাঁতার। শুনলে অবাক হবেন। কিন্তু এটাই সত্যি। পিরিয়ডের সময় মন খুলে সাঁতার কাটুন। সাঁতার কাটলে রিল্যাক্স হবে আর জলের কাউন্টার প্রেসারের কারণে সাঁতার কাটলে ওই সময়টা আপনার পিরিয়ডও হবে না।
প্লানকিং
পিরিয়ডের সময় উপযুক্ত এক্সারসাইজ প্লানকিং। মেঝের ওপর সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। বুকের নিচে হাত দুটো ভাঁজ করে রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে শরীরটা ওপরে তুলতে হবে। এভাবে বেশ কয়েকবার করুন। গোটা শরীরের ওয়ার্কআউট হয় প্লানকিং করলে।
তলপেটের ব্যায়াম
অনেকের মনে হতে পারে তলপেটের ব্যায়াম করলে সমস্যা হবে। সেটা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং তলপেটের ব্যায়াম পিরিয়ডের যন্ত্রণা কমাবে। পেটের পেশিগুলিকে আলগা করবে।
লিফটিং
ওয়েট লিফ্টিং করলে মেটাবলিজম বাড়ে, সেইসঙ্গে ক্যালোরি নষ্ট হয়। ওয়েট লিফটিং পিরিয়ডের ওপর কোনও খারাপ প্রভাব ফেলে না। তবে আপনার শরীর সায় দিলে তবেই করুন। ঋতুস্রাবের সময় কম ওয়েট তুলুন।
পিরিয়ডের সময় এক্সাসাইজ করার সুফল
১) মুড ভালো রাখে
২) মাথার যন্ত্রণা কমায়
৩) মাসিকের সময় পেটের যন্ত্রণা কম হয়
৪) কার্ডিও এক্সারসাইজ করলে এন্ডোরফিন হরমোন তৈরি হয়, যেটা পিরিয়ডের কিছু লক্ষণকে কম করে, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে