Just In
ক্যান্সার থেকে বাঁচতে নিয়মিত খান এই ভেষজ ও মশলাগুলি!
'ক্যান্সার' নামটি শুনলেই আঁতকে ওঠে মানুষ। অনেকেরই ধারণা, এই মারণ ব্যাধিতে একবার আক্রান্ত হলে সেখান থেকে আর বেঁচে ফিরে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু গবেষণা বলছে, প্রথম দিকে এই রোগ ধরা পড়লে বাঁচার আশা অনেকটাই থাকে। বর্তমানে ক্যান্সার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান এর জন্য দায়ী করছে দূষণ, অগোছালো জীবনযাত্রা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসকে।
তবে কিছু ছোটো ছোটো পদক্ষেপ ক্যান্সারের প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে অন্যতম হল খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন। খাদ্যতালিকায় বিশেষ কিছু ভেষজ এবং মশলার উপস্থিতি ক্যান্সারকে আমাদের থেকে দূরে রাখতে পারে। তাহলে জেনে নিন, ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে কোন কোন ভেষজ এবং মশালা রোজকার ডায়েটে রাখবেন -
১) হলুদ
হলুদে কারকিউমিন নামক যৌগ থাকে, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর এই অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যই ক্যান্সার প্রতিরোধে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তাই ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে চাইলে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই হলুদ রাখুন।
২) রসুন
রসুনে অর্গ্যানোসালফার যৌগ নামক এক ধরনের রাসায়নিক উপস্থিত। এই অর্গানোসালফার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং এতে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক গুণও বর্তমান, যা টিউমারের বিকাশকে কমাতে কিংবা বাধা দিতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত কাঁচা রসুন চিবিয়ে কিংবা তরকারি, মাছ, মাংসের সাথে মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৩) আদা
তাজা হোক কিংবা শুকনো, আদায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বর্তমান। নিয়মিত আদার সেবন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে সক্ষম। তাই রান্নার পাশাপাশি ফলের রস, স্মুদি কিংবা চায়ের সাথে আদা যুক্ত করার চেষ্টা করুন।
৪) গোলমরিচ
গবেষণায় দেখা গেছে, গোলমরিচে থাকা যৌগ, বিশেষ করে piperine শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ব্রেস্ট ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, হলুদের সঙ্গে গোলমরিচ স্বাস্থ্যকর কোষগুলিকে ধ্বংস না করে ব্রেস্ট টিউমারের ক্যান্সারযুক্ত স্টেম কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। সুতরাং, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে খাদ্যতালিকায় গোলমরিচ যোগ করতে পারেন।
৫) ওরেগানো
ওরেগানোতে carvacrol নামক একটি অণু রয়েছে, যা প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে এবং ক্যান্সার কোষের বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এটিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। ওরেগানো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইতালীয় খাবার, যেমন - পিৎজা এবং পাস্তাতে ব্যবহার করা হয়।
৬) থাইম
ওরেগানোর মতো থাইমেও carvacrol উপস্থিত। থাইমও একটি অত্যন্ত উপকারি ভেষজ। এটি কারি, সবজি, স্যুপ কিংবা সস তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।