Just In
- 3 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 8 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 10 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 12 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
Don't Miss
কম বয়সে মরতে চান না তো? তাহলে এই ৬ টা অভ্যাস আজই ত্যাগ করুন!
আমরা কতটা সুস্থ এবং সুন্দর থাকবো তা অনেকাংশেই নির্ভর করে আমাদের বেশ কিছু অভ্যাসের উপর। আর সব থেকে ভয়ের বিষয় হল সব অভ্যাসই যে আমাদের শরীরের পক্ষে ভাল, এমন নয় কিন্তু! তাই তো খারাপ অভ্যাসগুলিকে চিহ্নিত করা একান্ত প্রয়োজন। না হলে যে বেজায় বিপদ।
খারাপ অভ্যাসগুলির কারণে শরীরে ক্ষয় ধরতে থাকে। শেষ হয়ে যেতে থাকে দেহ এবং প্রাণ। আর যতদিনে রোগের সন্ধান মেলে, ততদিনে এতটাই দেরি হয়ে যায় যে অনেক ক্ষেত্রেই কিছু করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই তো সকলেরই এই প্রবন্ধে চোখ রাখা একান্ত প্রয়োজন। এমনটা না করলে কিন্তু আপনারই ক্ষতি।
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে মূলত ৬টা অভ্যাসের কারণে আমদের শরীরে উপর সবথেকে খারাপ প্রভাব পরে। সেই অভ্যাসগুলি হল...
১. দিনে ৮ গ্লাসের বেশি জল পান চলবে না:
গবেষকরা একাধিকবার প্রমাণ করেছেন যে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল খাওয়ার টার্গেট না করে বরং যখন চেষ্টা পাবে, তখন জল খেলে শরীরের বেশি উপকারে লাগে। তাই অন্ধের মতো কোনও নিয়ম অনুসরণ করে সারা দিন ধরে লিটার লিটার জল খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এমনটা না করলে শরীরে জলের পরিমাণ বাড়তে শুরু করবে। আর এমনটা হলে ওজন বাড়বে। সেই সঙ্গে পেট গোলানো, হজমের সমস্যা, এমনকী বেশ কিছু ত্বকের রোগ হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
২. বেশি মাত্রায় মিনারেল ওয়াটার পান:
অনেকেই মনে করেন মিনারেল ওয়াটার যেহেতু পরিশুদ্ধ, তাই এমন জল খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু এই ধরণা সম্পূর্ণ সত্য়ি নয়। কারণ মিনারেল ওয়াটারে ফ্লোরোইড নামে একটি উপাদান থাকে না, যা সাধারণ জল থাকে। আর শরীরে যদি একবার এই উপাদানটির ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে ধীরে ধীরে দাঁতের ক্ষয় হতে শুরু করে। এক সময়ে গিয়ে দাঁতের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা পিউরিফায়ারে পরিশোধন করা সাধারণ টিউবওয়েলের জল খাওযার পরামর্শ দেন।
৩. পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়া:
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা সারা সপ্তাহ ভাল করে না ঘুমিয়ে কেবল শনি এবং রবিবার দুপুর ১২-১ টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকেন। এমন অভ্যাস কিন্তু একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ দৈনিক ৭-৮ ঘন্টার ঘুম না হলে ধীরে ধীরে শরীরে অন্দরে মারাত্মক ক্ষতি হতে থাকে। সেই সঙ্গে ক্ষিদে কমে যাওয়া, রক্ত চাপ বেড়ে যাওয়া এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে থাকে।
৪. খাওয়ার পরে ব্রাশ মাস্ট!
যে কোনও খাবার খাওয়ার পরে ব্রাশ করার অভ্যাস করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ এমনটা না করলে দাঁতের ফাঁকে খাবার জমতে শুরু করে। ফলে ব্যাকটেরিয়াদের আনাগোনা বেড়ে যায়। আর এমনটা হতে থাকলে দাঁতের উপরিঅংশ বা এনামেলে ক্ষয় ধরে। এক সময়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দাঁতের কোনও চিহ্নই পাওয়া যায় না। প্রসঙ্গত, মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরে ভাল করে মুখ কুলকুচি করবেন। প্রয়োজনে ব্রাশ করেও নিতে পারেন। এমনটা করলে দেখবেন দাঁতের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশেই হ্রাস পাবে।
৫. প্রচুর মাত্রায় নিউট্রিশন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া চলবে না:
শরীরে আদৌ পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি রয়েছে কিনা তা না জেনেই অনেকে ভিটামিন ট্যাবলেট বা ঐ জাতীয় অন্য কোনও ওষুধ খেয়ে থাকেন। ফলে শরীরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পুষ্টিকর উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভাল তো হয়ই না, উল্টো শরীরের খারাপ হতে শুরু করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই সব ওষুধ খাওয়া একেবারেই চলবে না। প্রসঙ্গত, সনাতনি বাঙালি খাবার খেলে পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। তাই জাঙ্ক ফুড না খেয়ে ডাল-ভাত খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকবে না।
৬. প্রতিদিন শরীরচর্চা মাস্ট:
শরীরকে সচল এবং রোগমুক্ত রাখতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো যারা এক্সারসাইজের নাম শুনলেই দূরে পালান, তাদের যদি বেশি দিন সুস্থভাবে বাঁচার ইচ্ছা থাকে, তাহলে এই অভ্যাস ছাড়তেই হবে। কারণ শরীরের সচলতা যত কমতে থাকবে, তত ওজন বৃদ্ধি, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের মতো মারণ ব্যাধি ঘিরে ধরবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কমবে আয়ু।