Just In
- 11 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 13 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 16 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 18 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
গর্ভাবস্থায় এই ফলগুলো একেবারেই খাওয়া উচিত নয়
প্রত্যেক নারীর জীবনেই প্রেগনেন্সি হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে সন্তান প্রসব করার আগে পর্যন্ত প্রতিটা মুহূর্ত একজন নারীর জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়। প্রত্যেক মহিলার মধ্যেই এইসময় বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা দেয়। তাই গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক মায়েরই বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। এইসময় সব মহিলাকেই চিকিত্সকরা পুষ্টিকর খাবার এবং ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শিশু ও মায়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট খাবার এবং ফল রয়েছে যা গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়া উচিত নয়। কোন ফলগুলি এই সময় এড়িয়ে যাওয়া উচিত তা জেনে নিন এই আর্টিকেল থেকে।
১) আনারস
আনারস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি হলেও এর থেকে অন্তঃসত্ত্বাদের দূরে থাকাই ভাল, কারণ আনারসে উপস্থিত ব্রোমেলাইন নামের উৎসেচক গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রসব হয়ে যেতে পারে। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস এই ফলটি না খাওয়াই ভালো। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন। তবে সবথেকে ভালো হয় যদি হবু মা গোটা প্রেগনেন্সি পিরিয়ডে আনারস থেকে দূরে থাকেন। অত্যাধিক আনারস খেলে ডায়রিয়া, ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
২) আঙুর
গর্ভাবস্থায় যেকোনও ধরনের আঙুর এড়ানোই ভালো, সে সবুজ হোক বা কালো। আঙুরের মধ্যে থাকা রেজভেরট্রোল গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। এছাড়া আঙুর আম্লিক প্রকৃতির হওয়ায় এটি গর্ভস্থ শিশু ও মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৩) পেঁপে
গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেপে একেবারেই খাবেন না। কাঁচা পেপে খেলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রসব হয়ে যেতে পারে। পেঁপেতে থাকা পেপ্সিন ও প্যাপাইন ভ্রূণের ক্ষতি করে। পেঁপে দেহের তাপমাত্রাও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা গর্ভবতীদের জন্য ভাল নয়। আবার পেঁপের ল্যাটেক্স গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
৪) তেঁতুল
প্রেগনেন্সির সময় টকজাতীয় কিছু খেতে সব মায়েরই ভাল লাগে। আর টক মানেই মাথায় প্রথমে আসে তেঁতুলের কথা। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, তেঁতুল খেলে ভালোর থেকে খারাপই বেশি হয়। তেঁতুলে থাকে ভিটামিন সি, যা প্রোজেস্টেরন উৎপাদনে বাধা দেয়। অন্তঃসত্ত্বার শরীরে প্রোজেস্টেরন কম থাকলে গর্ভপাত হতে পারে। তাই তেঁতুল থেকে প্রতিটি হবু মা দূরে থাকুন।
৫) কলা
ক্ষতিকর ফলের তালিকায় কলা দেখে অনেকেই অবাক হবেন। এমনিতে গর্ভবস্থায় কলা খেতে কোনও সমস্যা নেই কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই ফল মারাত্মক হতে পারে। যেসব মহিলার অ্যালার্জি রয়েছে, যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের গর্ভবস্থায় কলা না খাওয়াই ভালো।
গর্ভাবস্থায় ভুলেও এই খাবারগুলি খাবেন না, তাহলেই বিপদ!
৬) তরমুজ
সাধারণত তরমুজ স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি। এটি আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে। দেহ থেকে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সক্ষম ও শরীরে এনার্জি বাড়ায়। তবে গর্ভাবস্থায় তরমুজ খেলে শিশুর ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত তরমুজ খেলে অন্তঃসত্ত্বার রক্তে গ্লুকোজ লেভেল বেড়ে যেতে পারে।
৭) ফ্রোজেন বেরি
গর্ভাবস্থায় ফ্রোজেন যেকোনও ফল খাওয়া ক্ষতিকর। পরিবর্তে খান টাটকা ফল। কারণ কোনও ফল দীর্ঘদিন স্টোর করে রাখলে তার স্বাদ ও পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। ফ্রোজেন বেরি গর্ভবতী ও গর্ভস্থ সন্তানের শরীরে বিষের মতো কাজ করে।
৮) খেজুর
খেজুরের একাধিক উপকারিতা থাকলেও গর্ভবতীদের এই ফল থেকে দূরে থাকতেই বলা হয়। খেজুর খেলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে। জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে এই ফল।
মনে রাখবেন
১) ভালো করে না ধুয়ে কোনও ফল খাওয়া উচিত নয়। নাহলে ফলে থাকা পেস্টিসাইড, মাটি বা অন্য কোনও রাসায়নিক শরীরে ঢুকে পড়তে পারে। হতে পারে ইনফেকশন।
২) কোনও ডিটারজেন্ট বা রাসায়নিক দিয়ে কখনও ফল ধোবেন না। তাহলে উপকারের থেকে অপকার হবে বেশি।
৩) ফলের কোনও জায়গায় দাগ থাকলে বা নষ্ট হয়ে গেছে মনে হলে সেই জায়গাটা ভালো করে কেটে ফেলে দিন। নাহলে ওই জায়গায় থাকা ব্যাকটিরিয়া মা ও শিশুর শরীরে ইনফেকশনের কারণ হতে পারে।