Just In
Weight Loss : মেটাবলিজম বাড়াতে পান করুন এই ৬ পানীয়, ওজনও কমবে!
যখন মেটাবলিজম এবং ক্ষুধার যত্ন সঠিকভাবে নেওয়া হয় না, তখন হজম সংক্রান্ত সমস্যার পাশাপাশি, অবাঞ্ছিত ওজন বৃদ্ধির সমস্যাও দেখা দেয়। স্বাস্থ্যকর ওজন নির্ভর করে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের ধরন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারার উপর।
এটি প্রায়ই বলা হয়ে থাকে যে, ধীর বিপাক ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে। এই আর্টিকেলে ছয় ধরনের পানীয়ের উল্লেখ করা হল, যেগুলি আপনার বিপাক বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
১) গ্রিন টি
গ্রিন টি-তে epigallocatechin gallate (EGCG) নামক এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বর্তমান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, ফ্যাট-বার্নিং প্রক্রিয়াতে সহায়তা করে। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত এক কাপ গরম গ্রিন টি-র সেবন শরীরের অতিরিক্ত ওজন এবং বডি ফ্যাট কমাতে পারে। তাছাড়া, গ্রিন টিতে থাকা স্বল্পমাত্রার ক্যাফেইন ওজন কমাতে সহায়তা করে।
২) মৌরি চা
মৌরি ভাল হজমের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর, পাশাপাশি এটি মেটাবলিজমও বাড়ায়। মৌরি পুষ্টিগুণে ভরপুর। মৌরি চা পেটের ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে, ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মৌরি চা তৈরি করতে, দু'কাপ জলে এক চা চামচ মৌরি মিশিয়ে, ভালো করে ফুটিয়ে নিন। ব্যস তৈরি মৌরি চা! স্বাদ বাড়াতে চাইলে, সামান্য লেবুর রস এবং মধু মেশাতে পারেন।
৩) লেমন ডিটক্স ওয়াটার
লেবু ভিটামিন সি, সাইট্রিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দুর্দান্ত উৎস। এটি শরীর থেকে টক্সিন অপসারণ করতে এবং মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে পারে। তাছাড়া এই লেমন ডিটক্স ওয়াটারে মধু এবং দারুচিনি যোগ করলে, এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সহায়ক হয়ে ওঠে।
এই পানীয়টি তৈরি করতে, প্রথমে দুই কাপ জলে একটি গোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর ওই লেবু ও জলের মিশ্রণটিতে, ১/২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো এবং ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।
৪) জোয়ানের জল
আমরা সকলেই জানি যে, জোয়ান হজমের জন্য দুর্দান্ত কার্যকর। এছাড়াও, জোয়ান ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, হজম ক্ষমতাকে উন্নত করে এবং ওজন কমাতেও সহায়তা করে।
এই জোয়ানের জল তৈরি করতে, একটি পাত্রে দু'কাপ জলে ১ চা চামচ জোয়ান সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সেটা ভাল করে ফুটিয়ে, ছেঁকে নিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। স্বাদ বাড়াতে চাইলে, এর সাথে লেবুও যোগ করা যেতে পারে।
৫) অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে অ্যাসিটিক অ্যাসিড একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাট-বার্নিং যৌগ বর্তমান। এটি ইনসুলিনের মাত্রা হ্রাস করে, মেটাবলিজম উন্নত করে, ক্ষুধা দমন করে এবং ফ্যাট-বার্নিং প্রক্রিয়াকে দ্রুত করতে সহায়তা করে।
এই পানীয়টি তৈরি করা অত্যন্ত সহজ। এক গ্লাস জল নিন, তাতে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন।
৬) ডাবের জল
পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ঠান্ডা ডাবের জল, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। এতে ক্যালোরির মাত্রা কম থাকায়, এর নিয়মিত সেবন ওজন কমাতেও সহায়তা করে। ডাবের জলে bio-active এনজাইম বর্তমান, যা হজম ও মেটাবলিজমে অত্যন্ত সহায়ক। তাছাড়া, এটি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি উন্নত করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে।