Just In
Don't Miss
করোনা ভাইরাস : এইসময় হার্টের রোগীদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষে চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশ্বব্যাপী মহামারির আকার ধারণ করেছে। প্রতি ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে এনিয়ে গবেষণা ও অধ্যয়নও ব্যাপকভাবে চলছে।
ভাইরাসের বিস্তারকে আটকাতে প্রায় সব জায়গায় স্কুল, কলেজ, অফিস এবং সর্বজনীন অনুষ্ঠানগুলি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং এনিয়ে যাতে মানুষের মনে কোনও আতঙ্ক না ছড়ায় তার জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে এ সম্পর্কে প্রচারও করা হচ্ছে।
গবেষণা অনুসারে, যে ব্যক্তিরা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তাদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে কারণ যাদের হার্টের কোনও সমস্যা নেই সেইসব মানুষের তুলনায় এই ভাইরাসটি হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আক্রমণাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
করোনা ভাইরাস : প্যানডেমিক, এপিডেমিক এবং আউটব্রেকের মধ্যে পার্থক্য কী?
হার্ট ডিজিজ এবং করোনা ভাইরাস
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC)-এর মতে, যাদের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে, যেমন - ৬০ বছর বয়সের চেয়ে বেশি বয়স্ক অর্থাৎ ৮০ বছর বয়স বা তারও বেশি বয়সী ব্যক্তিদের এবং হৃদরোগ ও ফুসফুসের রোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা ক্যান্সারের রোগীদেরও কোভিড-১৯ এর কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি।
হার্টের রোগীদের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া উচিত
এখনও অবধি, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকরা বলেছেন যে, কোভিড-১৯ -এর সময় হার্টের রোগীদের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া উচিত। এটি বলা হয়েছে যে, এই ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে, প্রচুর ফল এবং শাকসবজি খেতে হবে, নিয়মিত শরীরচর্চা (বাড়ির অভ্যন্তরে) করা এবং ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে, এর ফলে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হবে এবং যেকোনও সংক্রমণের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজির মতে, হাসপাতালে ভর্তি COVID-19 রোগীদের ৪০ শতাংশের মধ্যেই কার্ডিওভাসকুলার বা সেরিব্রোভাসকুলার রোগ পাওয়া গেছে।
সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন কী? দেখে নিন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এর ভূমিকা
স্বাস্থ্যকর থাকার কিছু উপায়
CDC-র সুপারিশ অনুসারে, হৃদরোগীদের সংক্রমণ রোধ করার জন্য নিম্নলিখিত নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ -
১) যারা অসুস্থ তাদের এড়িয়ে চলুন
২) আপনার চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন
৩) কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও জল দিয়ে ভাল করে হাত ধোবেন
৪) হাঁচি দেওয়ার সময় আপনার নাকটি ঢেকে রাখুন
৫) কাশির সময় আপনার মুখটি ঢেকে রাখুন
৬) যে যে জায়গায় স্পর্শ করেন সেইসব জায়গা থেকে ভাইরাস অপসারণের জন্য জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৭) এছাড়াও, হার্টের রোগীদের বড় বড় সমাবেশগুলি এবং ভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
বিঃদ্রঃ - হার্টের রোগীদের টিকা বা ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপ টু ডেট থাকতে হবে, যেমন - নিউমোনিয়া এবং ফ্লু-এর জন্য।