Just In
- 3 hrs ago
কুম্ভমেলা ২০২১ : শুরু হয়ে গিয়েছে মহাকুম্ভ, কবে পূণ্যস্নান? জেনে নিন বিস্তারিত
- 4 hrs ago
সঠিক সময়ে ডিনার সারুন, ওজন কমবে দ্রুত!
- 9 hrs ago
ত্বক মোলায়েম ও উজ্জ্বল রাখতে এই নিয়মগুলি অবশ্যই মেনে চলুন!
- 10 hrs ago
Indian Army Day 2021 : ১৫ জানুয়ারি কেন সেনা দিবস পালন করা হয়? জেনে নিন সেনা দিবসের অজানা কিছু কথা
Don't Miss
সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন কী? দেখে নিন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এর ভূমিকা
পিছু ছাড়তে চাইছে না আতঙ্ক। দিনের পর দিন তরতরিয়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। হাজার ছাড়িয়ে পরিণত হয়েছে লাখে। প্রতিমুহূর্তে মানুষ লড়াই করে চলেছে আতঙ্ক কাটাতে, আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে।
গোটা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির পাশাপাশি ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ এরও বেশি, মৃত্যু এখনও পর্যন্ত তিন। কেরালা, কর্ণাটক, দিল্লি, মহারাষ্ট্রের পর এবার করোনার থাবা পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের প্রথম নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান মিলল মঙ্গলবার। লন্ডন থেকে কলকাতায় আসা ১৮ বছরের এক তরুণের দেহে পাওয়া গেল 'কোভিড-১৯'-এর অস্তিত্ব। এবার মাথায় হাত পড়ল কলকাতাবাসীদেরও।
তবে আতঙ্ককে দূরে সরিয়ে সুস্থ থাকতে এবং ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে দায়িত্ব নিতে হবে নিজেদেরকেই। নিজেদের পাশাপাশি অপরকেও বোঝানোর গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে সকল স্তরের মানুষদের। তবেই হয়তো ভারতে করোনা-কে দ্বিতীয় স্তরে আটকানো সম্ভব।
করোনা ভাইরাস : প্যানডেমিক, এপিডেমিক এবং আউটব্রেকের মধ্যে পার্থক্য কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে সমস্ত রকম সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সংস্থার তরফ থেকে সংক্রামিত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারগুলিকে গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন এতকিছু মেনে চলার পরেও কি 'স্ব-পৃথকীকরণ' খুব দরকার? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা অনুযায়ী, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু কী এই সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন বা স্ব-পৃথকীকরণ? এই অবস্থায় বাড়িতে থেকে কীভাবে নিজের দেখভাল করবেন, রইল তার কিছু সহজ টিপস্।
সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন বা স্ব-পৃথকীকরণ কী?
সাধারণ অর্থে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন হল, রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বা সন্দেহজনক অবস্থায় নিজেকে বাঁচাতে এবং অপরকে সংক্রামিত হওয়া থেকে দূরে রাখতে নিজেকে গৃহবন্দি রাখা। কারণ, ভাইরাসের জীবাণু দেহে থাকার সময় কোনও ব্যক্তি যদি বাইরে ঘুরে বেড়ান তবে পারিপার্শ্বিক সমস্ত লোকের শরীরে সেই ভাইরাস অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে। আর, এভাবেই বাড়তে পারে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই, সকল মানুষকে বাঁচাতে নিজেকে গৃহবন্দি রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে গৃহবন্দি কেবলমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই থাকতে হবে, অন্যথায় বিপদ ঘটতে পারে।
সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় কী কী করা উচিত?
১) আপনি যদি কোভিড-১৯ দ্বারা আক্রান্ত হন এবং পরিবারের সঙ্গে থাকেন তবে পরিবারের সদস্যদের থেকে দূরে থাকুন। নিজেকে একটি আলাদা রুমে গৃহবন্দী রাখুন এবং আলাদা বাথরুম ব্যবহার করুন।
২) বাড়ির পোষ্যকে স্পর্শ করবেন না এবং তার কাছে যাবেন না।
৩) ডাক্তার ছাড়া নিজের বাড়িতে এবং গৃহবন্দি থাকা ঘরে কাউকে প্রবেশ করতে দেবেন না।
৪) আপনার ব্যবহার্য সমস্ত জিনিসগুলি আপনার ঘরে রাখবেন, রুমের বাইরে বার করবেন না এবং বাড়ির কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না, যেমন - টাওয়েল, কাপ, বিছানার জিনিসপত্র ইত্যাদি।
৫) কাশি এবং হাঁচি দেওয়ার সময় আপনার নাক ও মুখ টিস্যু দিয়ে কভার করে রাখুন এবং টিস্যুটি সঠিকভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন বা এক্ষেত্রে ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনও ব্যবহার করতে পারেন।
করোনা ভাইরাস : বাড়িতে কীভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করবেন? দেখে নিন পদ্ধতি
৬) হাত পরিষ্কার রাখতে সময়মতো হাত সাবান ও জল দিয়ে ধোবেন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
৭) গৃহবন্দী থাকার সময় শারীরিক কোনও সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
৮) ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার নিজের ঘরে স্টক রাখুন এবং সেগুলি খান।
৯) নিজের ঘরটিকে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
১০) আপনার লক্ষণগুলি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।
১১) কনটেনার, টেবিল, দরজার লক, বাথরুমের ব্যবহার্য জিনিসপত্র, ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি পরিষ্কার রাখুন।
১২) স্যানিটাইজার ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখুন যেন তাতে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকে। সময়মতো হাত ধোবেন।
১৩) ঘরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।