Just In
খাওয়া কমালেই ওজন কমে! জেনে নিন ওয়েট লস সম্পর্কিত কিছু ভুল ধারণা
সুস্থ-সবল থাকতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুর, তা আমাদের সকলেরই জানা। তাই অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে আমরা যখন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হই, তখন নানান ধরনের পদ্ধতি, ডায়েট অনুসরণ করতে শুরু করি। রাতারাতি বদলে ফেলতে চাই, চিরাচরিত জীবনধারা।
অনেক সময়ই আমরা এর ওর কথা বিশ্বাস করে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই কিছু ভুল ধারণা অনুসরণ করে চলি। খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইল এক ধাক্কায় বদলে ফেলি। কিন্তু মিথ্যে ধারণা অনুসরণ করে চললে, ওজন কমার চেয়ে, বরং সমস্যা বাড়ে। এমনকি স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। তাহলে জেনে নিন, ওজন কমাতে সাধারণত আমরা কোন কোন মিথ্যে ধারণাকে সঠিক বলে মনে করি।
১) খাওয়া বন্ধ করে দিলে ওজন কমে
আমরা সাধারণত মনে করি যে, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম খাওয়া কমিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া কখনই ওজন কমানোর সলিউশন নয়। ওজন কমাতে অবশ্যই ক্যালরির গ্রহণের পরিমাণ কমানো উচিত এবং এক্সারসাইজ করে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরানো উচিত। তবে এর জন্য কখনই, খাবার খাওয়া এড়িয়ে যাবেন না। খাওয়া বন্ধ করে দিলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত থাকবে এবং উচ্চ ফ্যাট ও উচ্চ শর্করাযুক্ত খাদ্য খাওয়ার ইচ্ছাশক্তি ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।
২) ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট অংশ বেছে নিতে পারেন
সাধারণত আমরা শরীরের কোনও নির্দিষ্ট অংশের চর্বি কমাতে বেশি আগ্রহী হই, বিশেষ করে উরু এবং পেট। তবে সত্যি বলতে, শরীরের কোন অংশের চর্বি প্রথমে ঝরবে, তা কিন্তু আপনার উপর নির্ভর করে না। আপনি যদি শরীরের নির্দিষ্ট কোনও অংশ টোন করতে চান তবে, কিছু বিশেষ ব্যায়ামের সাহায্য নিয়ে ওজন হ্রাস করতে পারেন।
৩) খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দেওয়া
ওজন কমাতে হলে খাদ্য তালিকা থেকে সম্পূর্ণরূপে চিনি বাদ দেওয়া উচিত, আসলে এটি ভুল ধারণা। খাদ্যতালিকা থেকে চিনি সম্পূর্ণরুপে বাদ না দিয়ে, বরং সর্বদা মনে রাখবেন সংযমই সবকিছু। যতটা সম্ভব অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পণ্য এড়িয়ে চলবেন, ততই আপনার জন্য ভাল।
৪) কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট মোটা করে তোলে
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট এর সঠিক পরিমাণ খাদ্যতালিকায় থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। খাবারে ফ্যাট বেশি কিন্তু কার্বোহাইড্রেট কম থাকলে ওজন কমাতে দারুণ কার্যকর। ওজন কমাতে হলে খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ পরিমাণ কম এবং প্রোটিনের পরিমাণ বেশি রাখতে হবে। ফ্যাটের ক্ষেত্রেও, যতক্ষণ পর্যন্ত ক্যালোরি গ্রহণ সঠিক পরিমাণে হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ফ্যাট আপনাকে মোটা করবে না।
৫) সাপ্লিমেন্ট ওজন কমাতে সাহায্য করে
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্ট এর ব্যবহার কার্যকর, তা অনেকেই দাবি করে থাকে। কিন্তু গবেষণা অনুসারে, এগুলি খুব কমই কার্যকর। বাস্তবে, সাপ্লিমেন্ট কিছু মানুষের ক্ষেত্রে প্লাসিবো প্রভাবের কারণে কাজ করে। সাধারণত কয়েকটি সাপ্লিমেন্টের সামান্য প্রভাব থাকে, তবে বেস্ট সাপ্লিমেন্টগুলি বেশ কয়েক মাসে অল্প পরিমাণে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।