Just In
- 7 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 9 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 12 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 14 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
ডিম-মাংস ঠিক মতো খাচ্ছেন তো? না হলে কিন্তু....!
সারাক্ষণই কি ক্ষিদে পায়? মনে হয় পেট ভরে খেয়েও ঠিক যেন সন্তুষ্টি হচ্ছে না। চাহলে বুঝতে হবে আপনার দেহে প্রোটিনের ঘাটতি হয়েছে।
শরীরের প্রতিটি অঙ্গের বেঁচে থাকার জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন পরে। তাই তো এই উপাদানটির ঘাটতি দেখা দিলে বেজায় সমস্যার। কারণ সেক্ষেত্রে ধীরে ধীরে এক একটা অঙ্গের কাজ করার ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে এক সময়ে গিয়ে সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা মারাত্মকভাবে কমে যায়। সেই সঙ্গে একাধিক রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধে। তাই তো প্রতিদিনের ডায়েটে অল্প পরিমাণেও হলেও প্রোটিন সমৃদ্ধি খবারা রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানা কাজ করতে করতে দেহের একাধিক কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এইসব আঘাত পাওয়া কোষেদের চিকিৎসা একমাত্র প্রোটিনই করতে পারে। তাছাড়া প্রোটিনে উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড পেশির গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন প্রায় ২০ ধরণের অ্যামাইনো অ্যাসিডের প্রয়োজন পরে। এর মধ্যে আমাদের শরীর প্রায় ১১ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড উৎপাদন করে থাকে। বাকি ৯ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড আমাদের খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হয়। এবার বুঝতে পরেছেন তো শরীরকে চাঙ্গা রাখতে প্রোটিনের গুরুত্ব কতটা। কিন্তু প্রশ্নটা হল, একজন কীভাবে বুঝবেন যে তিনি কম প্ররিমাণ প্রোটিন খাচ্ছেন? এক্ষেত্রে কতগুলি সহজ উপায় আছে, যেগুলি লক্ষ করার মধ্যে দিয়ে এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা করা সম্ভব।
শরীরে প্রোাটিনের ঘাটতি দেখা দিলে সাধারণত যে যে লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়, সেগুলি হল...
১. ক্ষিদে বেড়ে যাবে:
সারাক্ষণই কি ক্ষিদে পায়? মনে হয় পেট ভরে খেয়েও ঠিক যেন সন্তুষ্টি হচ্ছে না। তাহলে বুঝতে হবে আপনার দেহে প্রোটিনের ঘাটতি হয়েছে। কারণ প্রোটিনির দৈনিক চাহিদা পূরণ না হলেই সাধারণত এমন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, প্রোটিন হল এমন উপাদান যা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে ব্লাড সুগারের হঠাৎ ওঠা-নামা বেড়ে যায়, যা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়।
২. পেশী এবং জয়েন্টে যন্ত্রণা:
পেশীর গঠনে প্রোটিনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে পেশী ভাঙতে শুরু করে। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পরে। সেই সঙ্গে মাসল এবং জয়েন্ট যন্ত্রণা হওয়ার মতো লক্ষণেরও বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। তাই তো মাসল, টিস্যু এবং কোষেদের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে প্রতিদিন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া মাস্ট!
৩. ক্ষত শুকতে সময় লাগবে:
প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে কোষেদের ক্ষমতা কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নতুন কোষের জন্মের প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়। আর এমনটা হলে ক্ষত সারতে সময় লাগে। এখানেই শেষ নয়। প্রোটিনর মাত্রা কমতে শুরু করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে শুরু করে। ফলে নানাবিধ সংক্রমণের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এবার বুঝতে পরেছেন তো শরীরের সুস্থতার জন্য প্রোটিন কতটা প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
৪. ত্বক, চুল এবং নখ খারাপ হয়ে যাবে:
বয়স ৩০ ছোঁয়েনি এদিকে ত্বকে বলিরেখা প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে চুল পড়াও কেমন যেন বেড়ে গেছে! তাহলে বুঝতে হবে দেহে প্রোটিনের মারাত্মক ঘাটতি হয়েছে। কারণ প্রোটিনের যোগান ঠিক মতো না হলেই এমনটা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, নখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়াকেও প্রোটিনের ঘটিত হওয়ার প্রথম লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত করে থাকেন চিকিৎসকেরা।
৫. শরীর খারাপ যেন পিছুই ছাড়বে না:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে প্রোটিনের সঙ্গে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই তো শরীর যদি প্রয়োজন মতো প্রোটিন না পায়, তাহলে ইমিউন সিস্টেম ধীরে ধীরে অকেজ হতে শুরু করে। ফলে জীবাণুরা সহজেই সুরক্ষা প্রাচীর ভেঙে দেহের অন্দরে প্রবেশ করে যায়। ফলে আজ এই রোগ, তো কাল ওই রোগে শরীর এবং জীবন একেবারে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
৬. ব্রেন পাওয়ার কমে যাবে:
শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন না পেলে রক্তে শর্করার মাত্রা এতটাই ওঠা নামা করে যে তার সরাসরি প্রভাব গিয়ে পরে মস্তিষ্কের উপর। ফলে ধীরে ধীরে ব্রেন ফাংশন কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মেন্টাল এনার্জিতেও ঘাটতি দেখা দেয়। আর এমনটা হওয়া মাত্র মনোযোগ এবং মনে রাখার ক্ষমতা কমতে শুরু করে।
দৈনিক কত পরিমাণ প্রোটিন খাওয়া উচিত:
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের দৈনিক ৬০ গ্রাম এবং মহিলার প্রায় ৫৫ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন পরে। আর এই পরিমাণ প্রোটিন পেতে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে হবে সয়াবিন, ডাল, মাংস, মাছ, বাদাম, ডিমের সাদা অংশ, দুধ, দই অথবা পনির।