Just In
- 27 min ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 2 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 2 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 20 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
Don't Miss
বট সাবিত্রী ব্রত ২০২০ : পূজা করুন এই বিধি মেনে, স্বামীর দীর্ঘায়ু হবে এবং সমস্ত সমস্যা কাটবে
হিন্দুধর্মে বিশ্বাসী বিবাহিত মহিলারা বট সাবিত্রী ব্রত-এর দিন স্বামীর দীর্ঘায়ু ও সন্তান লাভের জন্য এই উপাসনা করেন। প্রতিবছর এই উৎসবটি জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যার দিন উদযাপিত হয়। এই বছর, বট সাবিত্রী ব্রত ২২ মে পালিত হবে। উত্তর ভারতে এই ব্রত খুবই জনপ্রিয়। এটা বিশ্বাস করা হয়, যে মহিলা মন দিয়ে এই ব্রত পূর্ণ করেন তাঁর সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়।
বট সাবিত্রী ব্রতর তারিখ এবং শুভ সময়
বট সাবিত্রী অমাবস্যা তিথি - ২২ মে ২০২০, শুক্রবার
অমাবস্যা তিথি শুরু হবে - ২১ মে রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে
অমাবস্যা তিথি শেষ হবে - ২২ মে রাত ১১টা ০৮ মিনিটে
আরও পড়ুন : শবে-কদর ২০২০ : জেনে নিন এই পবিত্র রাতের তাৎপর্য
২০২০ সালে বিশেষ সংযোগ
বট সাবিত্রী ব্রত ২২ মে, শুক্রবার পালন করা হবে। শনি জয়ন্তীও জ্যেষ্ঠ অমাবস্যার দিনই উদযাপিত হবে। এই দিনটিতে পূজা-উপাসনা এবং ধর্মীয় কাজ করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে।
বট সাবিত্রী ব্রতর গুরুত্ব
এই ব্রত প্রত্যেক দম্পতিকে বার্তা দেয়, জীবনের যেকোনও পরিস্থিতিতে সঙ্গীর হাত ছেড়ে না যাওয়ার। একজন পতিব্রতা স্ত্রী তাঁর স্বামীকে যমরাজের কাছ থেকে মুক্ত করার ক্ষমতা রাখেন। এই কারণে, বিবাহিত মহিলাদের পক্ষে এই ব্রত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটিতে স্বামীর স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু আশীর্বাদের পাশাপাশি মহিলারা সন্তান প্রাপ্তির আশীর্বাদও পান।
এই ব্রতর পূজা বিধি
১) যারা ব্রত রাখেন তাদের চতুর্দশীর দিন থেকে আমিষ জাতীয় খাদ্য থেকে দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। খাবারে পেঁয়াজ-রসুনও ব্যবহার করবেন না।
২) পূজার দিন মহিলারা ব্রাহ্ম মুহুর্ত বা খুব ভোরে উঠে ঘর পরিষ্কার করুন।
৩) গঙ্গার জলে স্নানের পরে ব্রত রাখা শুরু করুন।
৪) পরিষ্কার বস্ত্র পরুন।
৫) প্রস্তুত হওয়ার পরে সর্বপ্রথমে সূর্যদেবকে জল অর্পণ করুন।
৬) বাঁশের ঝুড়িতে পূজার সমস্ত সামগ্রী রাখুন এবং পূজার ডালি নিয়ে বাড়ির নিকটবর্তী বট গাছের কাছে যান এবং পূজা শুরু করুন।
৭) সেখানে জল অর্পণ করুন। এবার ফল, ফুল এবং পূজার সমস্ত সামগ্রী দিয়ে বট গাছের পূজা করুন।
৮) বটবৃক্ষকে পূজা দেবার পর গাছকে ৫, ৭, ১১ বা ২১ বার প্রদক্ষিণ করুন স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে। কেউ বা পাঠ করেন সাবিত্রী সত্যবানের পাঁচালি।
৯) এরপরে অবশ্যই বট সাবিত্রী ব্রতকথা শুনুন।
১০) সারাদিন উপবাস রাখুন এবং সন্ধ্যায় আরতির পরে ফলাহার করুন।
১১) পরের দিন প্রতিদিনের মতো সাধারণ পূজা করুন এবং ব্রত খুলে ব্রাহ্মণদের দান করুন এবং তারপরে খাবার গ্রহণ করুন।
বট সাবিত্রী ব্রতকথা
বট সাবিত্রী অমাবস্যার পূজা সম্পর্কিত গল্প অনুসারে, সাবিত্রী ছিলেন অশ্বপতির কন্যা। সত্যবানকে সাবিত্রী নিজের স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেন। সত্যবান কাঠ কাটতে বনে যেতেন এবং সাবিত্রী তার অন্ধ শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করার পরে সত্যবানের পিছনে পিছনে বনে যেতেন।
একদিন সত্যবান কাঠ কাটতে গিয়ে মাথা ঘুরে যায় এবং সে গাছ থেকে নেমে নীচে বসে পড়ে। সেই সময়ে, মহিষে চড়ে যমরাজ সত্যবানের প্রাণ নিতে আসেন। সাবিত্রী তাঁকে চিনতে পেরে বলেন যে, সত্যবানের প্রাণ না নিতে।
যমরাজ তা প্রত্যাখ্যান করেন, কিন্তু সাবিত্রী তার জায়গা থেকে সরেননি। সাবিত্রীর পতিব্রতা ধর্ম দ্বারা সন্তুষ্ট হয়ে যমরাজ সাবিত্রীকে বরদান স্বরুপ অন্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি চোখের জ্যোতি দেন এবং সাবিত্রীকে শত পুত্রের জন্ম দেওয়ার আশীর্বাদ করেন এবং সত্যবানকে ছেড়ে দেন।
সাবিত্রী বট গাছের নীচেই নিজের পতিব্রতা ধর্মের ফলে তাঁর মৃত স্বামীকে জীবিত করেছিলেন। এই কারণে, এই ব্রত 'বট সাবিত্রী ব্রত' নামে পরিচিত। বট পুজোর সাথে সম্পর্কিত ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, সেই থেকেই বিবাহিত মহিলারা এই দিনটিকে বট অমাবস্যা হিসেবে উপাসনা করেন।