Just In
- 4 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 5 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 7 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 10 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
Don't Miss
শ্রীরাম সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানলে আপনি অবাক হবেন!
শাস্ত্র মতে, চৈত্র মাসের শুক্ল নবমী তিথিতে ভগবান বিষ্ণুর অবতার রূপে শ্রীরামচন্দ্র অধর্মের বিনাশ এবং ধর্মস্থাপনের উদ্দেশ্যে ধরাধামে অবতীর্ণ হন। তাই চৈত্র শুক্ল নবমী তিথি হিন্দুদের পবিত্র রাম নবমী। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মার্চ মাসের শেষ ও এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে পড়ে এই উৎসব।
বাকি উৎসবের মতোই সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান মেনে পালন করা হয় রাম নবমী। ভক্তরা মেতে ওঠে ভগবান শ্রীরামের আরাধনায়। এ বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ১৭ এপ্রিল, বুধবার দেশজুড়ে পালিত হবে এই উৎসব।
শ্রীরাম সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
১) রাম হিন্দু ধর্মের অন্যতম দেবতা। শ্রীরামচন্দ্র হলেন বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। পাশাপাশি অন্যতম অবতার হিসেবে কৃষ্ণের সঙ্গেও রাম-কে বিবেচনা করা হয়।
২) রাম হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব। পৃথিবীতে তাঁর অবতার, আদর্শ এবং মহত্বের সঙ্গে সংযুক্ত ঘটনাগুলির মূল বিবরণ রয়েছে রামায়ণে। তাঁর জীবনকে কেন্দ্র করে রচিত ধর্মীয় গ্রন্থগুলি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংস্কৃতিতে একটি গঠনমূলক উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩) ভগবান রামের নাম দিয়েছিলেন এক বিশিষ্ট মহর্ষি, যিনি রঘু রাজবংশের গুরু ছিলেন।
৪) বিষ্ণুর সহস্রনাম এর মধ্যে ৩৯৪ তম স্থানে রয়েছে ভগবান রামচন্দ্রের নাম।
৫) রামের মূল ভক্ত ছিলেন হনুমান, যিনি নিষ্ঠা এবং সঠিক কর্মের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
আরও পড়ুন : রাম নবমী : জেনে নিন রাম নবমীর আচার-অনুষ্ঠান এবং তাৎপর্য সম্পর্কে
৬) শ্রীরামচন্দ্রের স্ত্রী সীতাকে সিঁথিতে সিঁদুর পরতে দেখে ভক্ত হনুমান তার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সীতা জানান, রামের দীর্ঘায়ু কামনাতেই তিনি সিঁদুর পরেন। এরপর, হনুমান তাঁর রামভক্তিকে ব্যক্ত করতে সারা গায়ে সিঁদুর মাখতে শুরু করেন।
৭) সীতার স্বয়ংবর সভা চলাকালীন ভগবান রাম 'হরধনু' অর্থাৎ শিবের ধনুকটি তুলেছিলেন এবং ভেঙেছিলেন। তবে এই ঘটনাটি কেবল তুলসী দাস রচিত রামায়নে বর্ণিত রয়েছে। বাল্মিকী রচিত রামায়ণে এই সত্যটি প্রমাণিত নয়।
৮) জানা যায়, যে ধনুকটি ভেঙে রাম সীতাকে জয় করেছিলেন, রামায়ণ থেকেই জানা যায়, সেই হরধনু নাকি সীতা যখন তখন তুলতে পারতেন।
৯) ভগবান রামচন্দ্র যে ধনুকটি ব্যবহার করতেন তার নাম 'শারং'। এই ধনুক এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এটি একটি সম্পূর্ণ সেনাবাহিনীকে নিঃশেষ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখত।
১০) রামায়ণ অনুযায়ী, মন্থরা ছিলেন কৈকেয়ীর দাসী। তার পিঠে একটি কুঁজ ছিল। শৈশবে ভগবান রাম একবার খেলতে খেলতে খেলনা দিয়ে মন্থরার কুঁজে আঘাত করেছিলেন। সেই থেকেই মন্থরা রামকে অপছন্দ করতেন এবং প্রতিশোধস্পৃহায় জ্বলতেন। যখন রাজা দশরথ কৈকেয়ীর সেবায় সন্তুষ্ট হয়ে বর দিতে সম্মত হলেন তখন কৈকেয়ী মন্থরার পরামর্শে যথাসময়ে বর নেবেন এই কথা দেন। দশরথ, জ্যেষ্ঠপুত্র রামের রাজ্যভিষেক করার মনস্থ করলে মন্থরার পরামর্শে কৈকেয়ী বর দুটি চেয়ে নেন। প্রথমটি হলো রামের বদলে রাজা হবেন তার ছেলে ভরত এবং দ্বিতীয়টি হলো রামকে ১৪ বছরের জন্য বনবাসে পাঠাতে হবে। পিতৃসত্য পালনের জন্য রামচন্দ্র বনবাসে গিয়েছিলেন।
১১) শ্রীরামচন্দ্র যখন বনবাসে গিয়েছিলেন তখন তাঁর সঙ্গে সীতা(রামের স্ত্রী) ও লক্ষণ(রামের ভাই)-ও ছিলেন।
১২) জানা যায়, ১৪ বছরের বনবাসে লক্ষণ একদিনও ঘুমোননি। কারণ, বনবাসে যাওযার আগে তিনি নিদ্রা দেবীর কাছে বর চেয়েছিলেন যাতে ১৪ বছর তাঁর ঘুম না আসে।