Just In
Don't Miss
হনুমানকে কেন সিঁদুর দিয়ে পুজো করা হয়? জানুন আসল কারণ
হিন্দুধর্মের অন্যতম শ্রদ্ধেয় দেবতা হলেন হনুমান, যাঁকে সাহস ও শক্তির প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ভগবান হনুমান হলেন রামায়ণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র এবং তাঁকে ভগবান শিবের একাদশতম অবতার বলে মনে করা হয়। শ্রীরামচন্দ্রের একনিষ্ঠ সেবক ছিলেন হনুমান। হনুমান এর পিতার নাম কেশরী এবং মাতার নাম অঞ্জনা। অঞ্জনা দেবীও ছিলেন ভগবান শিবের পরম ভক্ত। হনুমানের পালক পিতা হলেন পবন দেব।
পুরাণ অনুযায়ী, একবার লঙ্কার রাজা রাবণ কৈলাশে দ্বার পাহারায় থাকা নন্দীকে ব্যঙ্গ করেন। এই কারণে নন্দী ক্ষিপ্ত হয়ে দশানন রাবণকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, নর আর বানরের হাতেই রাবণ আর তার কূল ধ্বংস হবে। রাক্ষস বাহিনীর অত্যাচার থেকে এই জগত-কে মুক্ত করতে এবং শ্রীরামচন্দ্রের সেবা ও রাম নাম প্রচারের জন্যই রুদ্র অবতার হনুমানের আবির্ভাব হয়।
কথিত আছে, ভগবান হনুমানকে সিঁদুর দিয়ে পুজো দিলে তিনি সন্তুষ্ট হন এবং তাঁর ভক্তের মনস্কামনা পূর্ণ করেন৷ এছাড়াও, প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজি-কে সিঁদুর দিয়ে পুজো দিলে গৃহস্থের মঙ্গল হয় এবং সংসারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে, রামভক্ত হনুমান-কে সিঁদুর দান করার পিছনে একটি পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে।
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, একদিন মাতা সীতাকে সিঁদুর পরতে দেখে হনুমান তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে, তিনি কেন সিঁদুর পরছেন? তখন শ্রীরামচন্দ্রের স্ত্রী সীতা হনুমানকে জানান, তাঁর স্বামী ভগবান রামের দীর্ঘায়ুর জন্যই তিনি সিঁথিতে সিঁদুর পরেন।
এই কথা শুনে হনুমান তাঁর প্রভুর (রাম) মঙ্গল কামনায় নিজের পুরো শরীরেই সিঁদুর মেখে নেন। গুরুর প্রতি শিষ্যের এমন ভালোবাসা ও ভক্তির কথা জানতে পেরে শ্রীরামচন্দ্র হনুমানকে আশীর্বাদ করেন যে, সবাই তাকে সিঁদুর দিয়ে পুজো করবে। আর সেই থেকে আজও ভগবান হনুমানকে সিঁদুর দান করে পুজো করা হয়।
প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজির পুজো করলে কী কী উপকার পাওয়া যায় জানেন?