Just In
Don't Miss
দুর্গাপুজো স্পেশাল : এবার পুজোয় মিষ্টিমুখ করুন বাড়িতে তৈরি কমলাভোগ দিয়ে, দেখুন রেসিপি
শুরু হয়ে গেছে বাঙালির মহা উৎসব দুর্গাপুজো। দেশ-বিদেশ, পৃথিবীর যে প্রান্তেই বাঙালি থাকুক না কেন, পুজোর পাঁচদিন নিজেদের উৎসবে মাতিয়ে রাখেন সকলে। জমিয়ে আড্ডা ও ঘোরাঘুরির পাশাপাশি চলতে থাকে ভরপেট খাওয়া দাওয়া। তবে এই খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে কিন্তু থাকতেই হবে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি। ভিন্ন স্বাদের সন্দেশ, রসগোল্লা, পান্তুয়ার পাশাপাশি থাকে কমলাভোগ। তবে এবার যেহেতু করোনার ফলে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্যরকম, তাই বাইরে গিয়ে খাওয়া থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন অনেকেই। সংক্রমণের ভয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন বাইরের খাবার খাওয়া।
তবে চিন্তা করবেন না! বাইরে না গেলেন তো কি হয়েছে? মিষ্টি খেতে মন চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন। আজ আমরা আপনার জানাব কমলাভোগ বানানোর রেসিপি।
উপকরণ
মিষ্টি তৈরির জন্য
এক লিটার ফুল ফ্যাট দুধ
১০০ গ্রাম টক দই
২টো মাঝারি সাইজের কমলালেবুর রস
১ টেবিল চামচ ময়দা
পরিমাণমতো খাবার সোডা
১/২ চা চামচ কেশর ফুড কালার
সাদা তেল
চিনির শিরা তৈরির জন্য
আড়াই কাপ চিনি
পরিমাণমতো জল
৩টে এলাচ থেঁতো করা
১/২ চা চামচ কমলা লেবুর রস
তৈরির পদ্ধতি
১) প্রথমেই দই-এর সঙ্গে কমলালেবুর রস মিশিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এমনভাবে মিশ্রিত করবেন যাতে টক দই জমে না থাকে।
২) কড়াই গরম করে তাতে দুধ ঢেলে দিন। এবার এই দুধ ভালো করে ফোটাতে থাকুন। দুধ ফুটে উঠলে তাতে মিশ্রিত করে রাখা দই ঢেলে দিন। এবার অল্প আঁচে দুধ ফোটাতে থাকুন ও হাতা দিয়ে নাড়তে থাকুন, যাতে নীচে পুড়ে না যায়। কিছুক্ষণ পর দেখবেন দুধ কেটে ছানায় পরিণত হয়েছে।
৩) এবার এই ছানাকে পরিষ্কার সুতির কাপড়ে ঢেলে বেঁধে রেখে দিন ঘণ্টা খানেক, যাতে ছানা থেকে জল ঝরে শুকিয়ে যায়।
৪) জল ঝরে গেলে ছানাকে পরিষ্কার ও মসৃণ মেঝেতে রেখে তাতে ময়দা, খাবার সোডা, কেশর ফুড কালার, সাদা তেল দিয়ে হাতের সাহায্যে ভালো করে চটকে মেখে নিন। যাতে ছানাটি একেবারে মসৃণ হয়ে যায়।
৫) এবার এই ছানাকে হাতে গোল গোল করে মিষ্টির আকারে বানিয়ে নিন।
৬) এবার কড়াইতে চিনি ও পরিমাণমতো জল ঢেলে তাতে এলাচ থেঁতো ও কমলা লেবুর রস দিয়ে ফোটাতে থাকুন। রস যখন টগবগ করে ফুটবে, তখন পাকানো কমলাভোগ চিনির রসের মধ্যে দিয়ে চাপা দিন। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নাড়তে থাকুন।
৭) এইভাবে হাই ফ্লেমে পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট ফোটাতে থাকুন, যতক্ষণ না পর্যন্ত কমলাভোগগুলি ফুলে উঠছে। ফুলে উঠলেই তৈরি কমলাভোগ।