Just In
কুমড়োর সবজি বানানোর প্রণালী
কুমড়োর ঘন্ট বা তরকারি এক অতি প্রচলিত ভারতীয় রান্না, যা কোন
উৎসবের সময় রাখা উপোসের জন্য করা হয়ে থাকে। কুমড়োর তরকারি আবার নানা
ভাবে বানানো যায়। ভারতের বিভিন্ন এলাকায় আবার এর রুপ আলাদা আলাদা,
কারণ বানানোর পদ্ধতিটাও আলাদা। যদি আপনি কুমড়ো খেতে ভালবাসেন, তাহলে
বলে দিই এই রান্নাটা আপনার জিভে জল এনে দেবে।
কুমড়ো দিয়ে এই সবজিটা বানাতে বড় বড় কুমড়োর ফালিগুলো প্রচুর পরিমাণে
মশলা দিয়ে করা হয়। এই মশলার সম্ভারই এনে দায় সুন্দর স্বাদ ও অপূর্ব এক
সুগন্ধ। কুমড়োর তরকারিটা এক চামচ খেলে,পাবেন কুমড়োর মিষ্টি এক আভাস,
আর তার সাথে মুখ ভরে যাবে দারুণ মশলার স্বাদে।
কুমড়োর নিজস্ব কিছু গুণ আছে,তাই এই রান্নাটা হল স্বাস্থ্য আর স্বাদের এক দারুণ মেলবন্ধন। পদটি বানানো যেমন সহজ, বানাতে সময়ও লাগে খুব কম। আর এতে দেওয়া মশলাগুলোও খুবই ঘরোয়া সাধারণ মশলা। তাই বানানো কোন ঝামেলাই নেই এই প্রণালীটা।
ছবি ও ভিডিও সমেত দেখুন কি করে বানাবেন এই তরকারিটি।
Recipe By: মীনা ভাণ্ডারি
Recipe Type: খাবার সাথে খাওয়ার জন্য
Serves: ৪ জন
-
কমড়ো - ২৫০ গ্রাম
তেল - ৩ টেবিল চামচ
হিং - এক চিমটে
জিরে - ১ চা চামচ
মেথীর দানা - ৩ চা চামচ
আদা (কুচনো) - ১ চা চামচ
বিট নুন - স্বাদ অনুযায়ী
হলুদ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
লাল লঙ্কার গুঁড়ো - ১ চা চামচ
ধনের গুঁড়ো - ২ চা চামচ
গরম মশলা - ১ চা চামচ
চিনি- ২ চা চামচ
আমচুর পাউডার - ১ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা (কুচনো)- ১ টেবিল চামচ
ধনে পাতা (কুচি) - ১ টেবিল চামচ
-
১.কুমড়োটাকে নিয়ে বড় বড় টুকরো করে কাটুন।
২.খোসাটা ছাড়িয়ে নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে ফেলুন।
৩.কড়াইয়ে তেল দিন।
৪.এতে দিন হিং ও জিরে।
৫.তাতে দিন মেথী ও ভাল করে ভাজুন হালকা আঁচে।
৬.এরপর দিন আদা বাটা। তারপর ছেড়ে দিন কুমড়োর টুকরোগুলো।
৭.ভাল করে নাড়াচাড়া করে মিনিট দুয়েক রাখুন।
৮.এতে এরপর বিট নুন দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৯.ঢাকা দিন। এরপর মাঝারি আঁচে মিনিট দুয়েক ফুটতে দিন।
১০.ঢাকা সরিয়ে, হালকা হলুদ গুঁড়ো দিন এবার।
১১.এরপর পড়বে লঙ্কা গুঁড়ো ও ধনে গুঁড়ো।
১২.গরম মশলা ও চিনি দিন অল্প।
১৩.ভাল করে সব মিশিয়ে নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিয়ে রাখুন।
১৪.প্রায় ৫-৭ মিনিট রেখে দিন।
১৫.ঢাকা সরিয়ে তারপর দিন একটু আমচূড় গুঁড়ো।
১৬.এরপর কাঁচা লঙ্কা ও ধনে পাতা দেওয়ার পালা।
১৭.গ্যাস বন্ধ করে দিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।
- 1. যদি উপোসের জন্য না হয়,তাহলে বীটনুনের জায়গায় এমনি নুনও ব্যবহার করতে পারেন।
- 2. স্বাদ আরও বাড়াতে চিনির জায়গায় গুড় ব্যবহার করতে পারেন।
- 3. কুমড়োর বিচিগুলো ফেলবেন না।ভাল করে শুকিয়ে,শুকনো খোলায় ভেজে রেখে দিন।এটা সকালের সিরিয়াল বা স্যালাডের সাথে খেতে পারেন। স্বাস্থ্যের পক্ষ্যে এটা খুবই উপকারি।
- পরিবেশনের মাপ - ১ কাপ
- ক্যালরি - ৫৭ ক্যালরি
- ফ্যাট - ২ গ্রাম
- প্রোটিন - ২ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট - ১১ গ্রাম
- চিনি - ৬ গ্রাম
- ফাইবার - ২ গ্রাম
কী করে বানাবে
১.কুমড়োটাকে নিয়ে বড় বড় টুকরো করে কাটুন।
২.খোসাটা ছাড়িয়ে নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে ফেলুন।
৩.কড়াইয়ে তেল দিন।
৪.এতে দিন হিং ও জিরে।
৫.তাতে দিন মেথী ও ভাল করে ভাজুন হালকা আঁচে।
৬.এরপর দিন আদা বাটা। তারপর ছেড়ে দিন কুমড়োর টুকরোগুলো।
৭.ভাল করে নাড়াচাড়া করে মিনিট দুয়েক রাখুন।
৮.এতে এরপর বিট নুন দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন
৯.ঢাকা দিন। এরপর মাঝারি আঁচে মিনিট দুয়েক ফুটতে দিন।
১০.ঢাকা সরিয়ে, হালকা হলুদ গুঁড়ো দিন এবার।
১১.এরপর পড়বে লঙ্কা গুঁড়ো ও ধনে গুঁড়ো
১২.গরম মশলা ও চিনি দিন অল্প।
১৩.ভাল করে সব মিশিয়ে নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিয়ে রাখুন
১৪.প্রায় ৫-৭ মিনিট রেখে দিন।
১৫.ঢাকা সরিয়ে তারপর দিন একটু আমচূড় গুঁড়ো।
১৬.এরপর কাঁচা লঙ্কা ও ধনে পাতা দেওয়ার পালা
১৭.গ্যাস বন্ধ করে দিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।
সাবস্ক্রাইব করুন বোল্ডস্কাই বাংলা | Subscribe to Bengali Boldsky.
সাবস্ক্রাইব করুন বোল্ডস্কাই বাংলা | Subscribe to Bengali Boldsky.