Just In
Don't Miss
গুজিয়া রেসিপি: মেওয়া গুজিয়া বানাবেন কিভাবে
বাঙালিরা যাকে গুজিয়া বলে থাকেন, এটি কিন্তু সেই গুজিয়া নয়। আজকের রেসিপিতে আলোচনা করা হবে উত্তর ভারতের গুজিয়া নিয়ে। উত্তর ভারতে যারা গেছেন বা উত্তর ভারতে যারা বসবাস করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন যে, যে কোনও পূজা-পার্বণ বা উৎসবে গুজিয়া কিন্তু রাখতেই হয়। এই মিষ্টিটির বিশেষত্ব হল, এটি পুর ভরা মাঝারি মাপের হয়। অনেকে এটিকে করঞ্জি নামেও ডেকে থাকেন।
দক্ষিণ ভারতেও গুজিয়া বানানোর প্রচলন আছে। এখানে গুজিয়ার ভিতরে নারকেল এবং গুড় দিয়ে তৈরি পুর দেওয়া হয়। দক্ষিণ ভারতেও গুজিয়া, কাজ্জিকায়াল্লু বা কারজিকাই নামে পরিচিত। মেওয়া বা খোয়া গুজিয়া বাইরে থেকে মুচমুচে এবং ভেতরে অপেক্ষাকৃত নরম হয়। মেওয়া বা খোয়া গুজিয়ার পুর বানানো হয়, খোয়া, সুজি, চিনি এবং বিভিন্ন শুকনো ফল দিয়ে।
তবে গুজিয়া তৈরি করা কিন্তু বেশ ধৈর্যের ব্যাপার। আর সবথেকে বড় কথা, গুজিয়া তৈরি করার জন্য সঠিকভাবে সব কিছুর পরিমাণ জানতে হবে। তাই বাড়িতে যদি গুজিয়া বানাতেই হয়, তাহলে আপনাকে এই রেসিপি অবশ্যই পড়তে হবে। এছাড়াও ভিডিও দেখতে ভুলবেন না যেন!
গুজিয়া রেসিপি ভিডিও
{recipe}
ধাপে ধাপে দেখে নেব কিভাবে বানায় গুজিয়া
১। বড় একটি পাত্রে ময়দা এবং তিন টেবিল চামচ ঘি নিতে হবে।
২। ময়দা এবং ঘি ভালো করে মিশিয়ে ১/৪ কাপ জল একটু একটু করে মিশিয়ে ভালো করে মেখে একটি শক্ত মণ্ড তৈরি করতে হবে।
৩। এর মধ্যে আরও ২-৩ বিন্দু ঘি দিয়ে ভালো করে মাখাতে হবে।
৪। এবার একটি ভিজে কাপড় দিয়ে মণ্ডটি ঢেকে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে।
৫। এবার একটি গরম করা প্যানে সুজি দিতে হবে এবং মাঝারি আঁচে হালকা খয়েরি রং না আসা অবধি ভাজতে হবে। এরপর আলাদা করে সরিয়ে রেখে ঠাণ্ডা করতে হবে।
৬। একটি গরম পাত্রে খোয়া দিয়ে হবে।
৭। এর মধ্যে অর্ধেক চা চামচ ঘি দিতে হবে।
৮। ভাল করে নাড়াতে হবে, যাতে খোয়া পুড়ে গিয়ে পাত্রের গায়ে লেগে না যায়। এইভাবে কিছুক্ষণ নাড়ানোর পর দেখা যাবে যে, খোয়া পাত্রের থেকে সহজেই আলগা হয়ে আসছে।
৯। চুলার থেকে সরিয়ে সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা করতে রাখতে হবে।
১০। গরম প্যানে অর্ধেক চা চামচ ঘি দিতে হবে।
১১। এর মধ্যে কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম এবং কিশমিশ দিতে হবে।
১২। ভাল করে এই শুকনো ফলগুলি ভাজতে হবে।
১৩। চুলার থেকে সরিয়ে সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা করতে রাখতে হবে।
১৪। একটি পাত্রে ঠাণ্ডা করা খোয়া নিয়ে তাঁর মধ্যে সুজি দিতে হবে।
১৫। এবার ভেজে রাখা শুকনো ফল এবং এলাচ গুঁড়ো দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, সমস্ত উপকরণ যেন পুরোপুরি ঠাণ্ডা থাকে। তাহলেই একমাত্র চিনি যোগ করা যাবে।
১৬। এবার গুঁড়ো করা চিনি এর মধ্যে দিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে।
১৭। এবার হাতে ভালো করে তেল মেখে নিন।
১৮। এবার তৈরি করা মণ্ড থেকে ছোট আকারের লেচি কেটে নিতে হবে এবং হাতের সাহায্যে গোলাকার পেরার আকার বানাতে হবে।
১৯। এবার সেগুলিকে গোলাকার লুচির আকারে বেলে নিতে হবে।
২০। এরই মধ্যে গুজিয়া বানানোর ছাঁচটির মধ্যে তেল মাখিয়ে নিতে হবে।
২১। এবার এর মধ্যে বেলে রাখা লুচি রাখতে হবে।
২২। এর মধ্যে খোয়া দিয়ে তৈরি পুর দিয়ে দিতে হবে এবং আঙুলের ডগায় জল নিয়ে ভালো করে লুচির চারিদিকে লাগিয়ে নিতে হবে।
২৩। এরপর গুঁজিয়া ছাঁচটিকে দুপাশ থেকে ভাল করে চেপে বন্ধ করে দিতে হবে।
২৪। ছাঁচের ভিতর থেকে বেড়িয়ে আসা অতিরিক্ত অংশ সরিয়ে নিতে হবে।
২৫। এবার খুব সাবধানে গুজিয়া ছাঁচটি খুলতে হবে।
২৬। এবার তৈরি করা গুজিয়া একটি কাপড় দ্বারা ঢেকে রাখতে হবে।
২৭। এরই মধ্যে, একটি প্যানে বেশ অনেকটা তেল নিয়ে মাঝারি আছে গরম করতে হবে।
২৮। এবার একটি ছোট ময়দার টুকরো নিয়ে তেলের মধ্যে দিয়ে দেখতে হবে যে তেল গরম হয়েছে কিনা। যদি ময়দা টুকরোটি তেলের ওপর ভেসে ওঠে, তাহলে বুঝতে হবে যে, তেল গরম হয়ে গেছে।
২৯। এবার তৈরি করে রাখা গুজিয়া তেলের মধ্যে দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজতে হবে।
৩০। সোনালি রং না হওয়া অবধি গুজিয়া গুলিকে ভালো করে ভাজতে হবে। খুব সাবধানে তেলের মধ্যে গুজিয়া গুলিকে এপিঠ ওপিঠ বদল করে ভাজতে হবে। (প্রতিটি গুজিয়া ভাজতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগবে)।
৩১। ভাজা হয়ে গেলে প্লেটে করে পরিবেশন করতে হবে।