Just In
Don't Miss
(ছবি) যৌনজীবন সচল রাখতে এই গুজবে একদম কান দেবেন না
বিবাহিত জীবনে নারী-পুরুষের প্রাণোচ্ছ্বল সম্পর্কের পিছনে সুস্থ স্বাভাবিক যৌনজীবন সবচেয়ে বেশি দায়ী। যৌনজীবন সুখের না হলে বিবাহিত জীবনে সুখ-শান্তি স্থায়ী হয় না। [যৌনজীবনকে সচল রাখতে এড়িয়ে চলুন এই ১০টি জিনিস]
যৌন জীবনে সুখ না পেয়ে স্বামী স্ত্রীকে অথবা স্ত্রী স্বামীকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন অথবা বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন, এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি রয়েছে। [জানেন মুখের গড়ন আপনার ব্যক্তিত্বের রহস্যভেদ করতে পারে?]
অন্যদিকে, এই যৌনজীবন নিয়ে নানাধরনের মিথ আমাদের মধ্যে তাঁবু গেড়ে বসে রয়েছে। কোনটা করলে ভালো অথবা কোনটা করলে একেবারেই ভালো হবে না তা আমরা একেবারেই বুঝে উঠতে পারি না। এমনই কিছু বাজারচলতি ধারণার কথা নিচের স্লাইডে আলোচনা করা হল যাতে একেবারেই কান দেওয়া উচিত নয়। [সারাদিনের ক্লান্তি, বিষণ্ণতা তাড়ানোর সহজ ১০টি উপায়]
মেয়েদের সন্তান ধারণের সম্ভাবনা কমে ৩৫ এর পরে
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২১ থেকে ২৬ বছরের মধ্য়ে মেয়েদের সন্তান ধারণের ক্ষমতা সবচেয়ে ভালো হয়। তবে তার মানে এই নয় যে ৩৫ বছরের পরে তা একেবারে কমে যাবে। এখনকারদিনে মেয়েরা অনেক বেশি বয়সে সন্তানধারণ করছেন এবং সুস্থভাবেই করছেন।
নির্দিষ্ট সময়ে যৌন সম্পর্ক করা
যৌনতা নিয়ে এমন গুজবও রয়েছে যে, দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে তা সবচেয়ে ফলদায়ক হয়। এমন কোনও ধারণার কথাই বিশেষজ্ঞরা বলেননি। এটি গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। দিনের সেই সময়ই যৌন সম্পর্ক করুন যখন দুজনের সায় থাকবে।
পুরুষের হস্তমৈথুন নিরাপদ নয়
পুরুষের শরীর প্রতিদিন ফ্রেশ স্পার্ম তৈরি করে। আদতে তা বেশিদিন শরীরে থাকলে স্পার্মের গুণমান খারাপ হয়ে যায়।
মহিলাদের অরগ্যাজম আবশ্যক
এই ধারণার কোনও ভিত্তি নেই। তৃপ্তি পেতে অরগ্যাজমের প্রয়োজন রয়েছে ঠিকই তবে নিরাপদ যৌন সম্পর্ক তৈরিতে বা সন্তানধারণে এর কোনও সম্পর্ক নেই।
পজিশন গুরুত্বপূর্ণ
সন্তান ধারণের জন্য কোন মুদ্রায় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হল তা একেবারেই বিবেচ্য বিষয় নয়। স্পার্ম নিজের মতো করেই জরায়ুতে গিয়ে মিলিত হওয়ার ক্ষমতা রাখে।
১৪ তম দিন সবচেয়ে উত্তম সময়
মনে করা হয় মাসিকের দু'সপ্তাহ পরের দিনটি গর্ভধারণের সবচেয়ে ভালো সময়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলে, মেয়েদের একেকজনের স্ত্রী ধর্ম একেক রকমের হয়। ফলে সব নিয়ম সবার ক্ষেত্রে খাটে না।
পিল খেলে গর্ভধারণে সমস্যা হয়
জন্ম নিয়ন্ত্রক পিলগুলি খেলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি হতে পারে তা ভেবেই চিন্তিত হন অধিকাংশ মহিলা। তবে চিকিৎসকেরা বলেন, পিল খেলে জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। খাওয়া বন্ধ করে দিলেই তা আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে। তাই যৌনজীবন স্বাভাবিক রাখতে ও সন্তান ধারণের আগে এসব গুজবে একেবারেই কান দেবেন না।