Just In
আলিয়ার মতো আপনিও কি প্রথমবার মা হতে চলেছেন? সুস্থ থাকতে অবশ্যই মেনে চলুন এই টিপসগুলি!
চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই রণবীর এবং আলিয়ার বিয়ে নিয়ে মেতে উঠেছিল কাপুর পরিবার। বিয়ের আড়াই মাসের মধ্যেই ফের একবার খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে কাপুর পরিবারে। মা হতে চলেছেন আলিয়া ভাট। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে জানালেন রণবীর-ঘরনি। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'আমাদের সন্তান....শীঘ্রই আসছে'। এর সঙ্গে দু'টি ছবিও দিয়েছেন আলিয়া। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছেন আলিয়া এবং আলট্রাসোনোগ্রাফি চলছে তাঁর। সঙ্গে রয়েছেন রণবীরও। দু'জনের চোখ মনিটরের দিকে। আলিয়ার মুখে ফুটে উঠেছে হাসির রেখা।
প্রেগনেন্সি যে কোনও নারীর কাছেই খুব স্পেশাল একটা সময়। হ্যাঁ, প্রথম দিকে কিছু শারীরিক সমস্যা থাকে ঠিকই, কিন্তু মা হওয়ার আনন্দ আর পরিপূর্ণতার কাছে তা তুচ্ছ হয়ে যায়। এই সময় প্রত্যেক মায়েরই একটু অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়। সন্তানের সুস্থতা এবং নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে হবু মা-কে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। এমন কিছু কাজ আছে, যেগুলি এই সময় করা খুবই জরুরি, তবেই সুস্থ থাকবে মা এবং গর্ভস্থ শিশু।
ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন
গর্ভাবস্থায় চা, কফির মতো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় পান করলে স্বাস্থ্যের বড় সমস্যা হতে পারে। চা-কফি ছাড়াও ক্যাফেইন আছে কোলা ও চকোলেটের মধ্যে। ক্যাফেইন খুব ধীরে ধীরে হজম হয় এবং প্ল্যাসেন্টার মধ্য দিয়ে শিশুর রক্তে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় কফি খেলে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। এছাড়া সন্তানের ওজন কম থাকা, সন্তানের অতিরিক্ত ওজন, শিশুকালীন লিউকোমিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
সন্তান ধারণ করা শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই অত্যন্ত কঠিন। গর্ভাবস্থায় শারীরিক ব্যথা-বেদনা এবং ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন হতেই থাকে। এই সকল সমস্যা দূর করতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
প্রতিদিন ব্যায়াম ও মেডিটেশন করলে পিঠ ও কোমরের ব্যথা কমবে, রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, মুডও ঠিক থাকবে। সাঁতার কাটা এবং হাঁটা প্রেগনেন্সির সময় খুবই উপকারি। তবে এই সময় খুব কঠিন ব্যায়াম করবেন না। গর্ভাবস্থায় কোন কোন ব্যায়াম করবেন তা জানতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রচুর জল পান করুন
গর্ভাবস্থায় শরীর হাইড্রেট রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই যতটা সম্ভব বেশি জল ও তরল খাবার খাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়। শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে গর্ভপাত, শিশুর জন্মগত ত্রুটি এবং প্রসবের সময় নানা সমস্যা হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় শরীর দ্রুত ডিহাইড্রেট হয়ে যেতে পারে। তাই, হাইড্রেট থাকার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল পানের পরামর্শ দেওয়া হয়। পর্যাপ্ত জল পান করলে জয়েন্টের ফোলাভাব কমাতে পারে এবং শরীর থেকে টক্সিন অপসারণ করে। এছাড়া, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করুন।
আপনি কি অন্তঃসত্ত্বা? ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার আগেই বুঝে নিন এই ৫ লক্ষণ দেখে!
পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন
প্রেগনেন্সির সময় শারীরিক ক্লান্তি, দুর্বলতা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। শরীরে হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে এনার্জি লেভেলের ওপর প্রভাব পড়ে। তাই রোজ দুপুরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। রাতে ভাল ঘুম হওয়াও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শপিং করতে যান
শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় আইটেমগুলি কেনাকাটা করতে যান, এতে আপনার মনও ভাল থাকবে। শিশুর শোওয়ার জায়গা, খেলনা, দোলনা, টেবিল, রকিং চেয়ার, আলমারি দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। কোনও ব্রাইট কালার দিয়ে বাচ্চার ঘর রং করাতে পারেন। বাচ্চার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ পোশাকও আগে থেকেই কিনে রাখুন। এছাড়াও, দুধের বোতল, ডায়াপার, বিছানা, কম্বল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলিও কিনে রাখুন। বাচ্চার এই সব জিনিসগুলি আপনাকে আপনার নতুন জীবনের জন্য শারীরিক এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে।
Disclaimer
:
এই
আর্টিকেলটি
সাধারণ
তথ্যের
উপর
ভিত্তি
করে
লেখা।
কোনও
কিছু
করার
আগে
অবশ্যই
চিকিৎসকের
সঙ্গে
পরামর্শ
করে
নেবেন।