১. স্ট্রেস লেভেল কমতে থাকে:
প্রেগন্যান্সির সময় মায়ের শরীরে এত মাত্রায় হরমোনাল পরিবর্তন হয় যে স্ট্রেস লেভেল বাড়তে সময় লাগে না। আর এমনটা হলে কেবল যে মায়ের শরীরের উপরই খারাপ প্রভাব পরে, এমন নয়। সেই সঙ্গে বাচ্চার শরীরও ভাঙতে শুরু করে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। এমনটা যাতে আপনার বা আপনার পরিচিত কারও সঙ্গে না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতে ওম মন্ত্র জপ করতেই হবে। কারণ এক মনে এই মন্ত্রটি জপ করলে স্ট্রেস লেভেল কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মা এবং বাচ্চার শরীরিক উন্নতি ঘটে।
২. বাচ্চার শারীরিক উন্নতি ঘটে:
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত ওম মন্ত্র জপ করলে মায়ের শরীরে তৈরি হওয়া শব্দ তরঙ্গ, বাচ্চার কান পর্যন্তও পৌঁছে যায়, যার প্রভাবে বাচ্চার মস্তিষ্কের ক্ষমতা যেমন বাড়তে শুরু করে, তেমনি শারীরিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এই বিশেষ সময়ে ওম মন্ত্র জপ করলে মায়ের শরীরে থাকাকালীনই বাচ্চার সঙ্গে মায়ের সম্পর্কের উন্নতি ঘটে, যার সুফল পাওয়া যায় সারা জীবন!
৩. খুশিতে ভরে ওঠে চারিদিক:
বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে ওম মন্ত্র জপ করার সময় চারিদিকে পজেটিভ এনার্জির প্রভাব বাড়তে থাকে। যার প্রভাবে মা এবং বাচ্চার মানসিক এবং শারীরিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মায়ের রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পায় না। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জান আছে যে প্রেগন্যান্সিতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া মোটেও ভাল খবর নয়। তাই তো এই বিশেষ সময়ে ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ওম মন্ত্র জপ করার পরামর্শ দেওয়া হয় ভাবী মায়েদের।
৪. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:
গর্ভবস্থায় ভাবী মায়েদের নানা কারণে হার্ট রেট বেজায় ওঠা-নামা করতে থাকে। এই কারণে যাতে হার্টের মারাত্মক কোনও ক্ষতি না হয়ে যায়, তা সুনিশ্চিত করতে ওম মন্ত্র জপ করা মাস্ট! কারণ এই নিয়মটি মেনে চললে হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
৫. অনিদ্রা দূর হয়:
প্রেগন্যান্সির সময় শরীরে এত ধরনের পরিবর্তন হয় যে অনিদ্রার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই তো ভাবী মায়েদের নিয়মিত ওম মন্ত্র জপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এমনটা করলে মায়ের শরীরে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে অনিদ্রার মতো সমস্যা দূর হতে সময় লাগে না। আর ঘুম ঠিক মতো হলে মন মেজাজ যেমন চাঙ্গা হয়ে ওঠে, তেমনি শরীরের রর্মক্ষমতাও বাড়তে শুরু করে।
কীভাবে করতে হবে ওম মন্ত্র জপ?
এক্ষেত্রে পদ্মাসনে বসে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে নিতে এক মনে মন্ত্রটি জপ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে এই সময় শিরদাঁড়া যেমন একেবারে সোজা থাকে। এইভাবে কয়েক মিনিট মন্ত্রটি জপ করলেই দেখবেন কেল্লাফতে! প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি জপ করার সময় সুতির কাপড় পরবেন, যাতে আরাম করে বসে মন্ত্রটি পাঠ করতে পারেন।