Just In
- 15 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 16 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 20 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 21 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
ছেলেরা সাবধান: যত চুল পরবে তত কিন্তু খারাপ হতে থাকবে হার্ট!
শুনতে একটু আজব লাগলেও একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেছে সময়ের আগে টাক পরা অথবা চুল সাদা হয়ে যাওয়ার অর্থ হল হার্ট খরাপ হতে শুরু করেছে।
শুনতে একটু আজব লাগলেও একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেছে সময়ের আগে টাক পরা অথবা চুল সাদা হয়ে যাওয়ার অর্থ হল হার্ট খরাপ হতে শুরু করেছে। তাই আপনার সঙ্গেও যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে সময় নষ্ট না করে যত শীঘ্র সম্ভব কার্ডিওলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ!
সম্প্রতি একদল গবেষক এমনটা দাবি করেছেন যে "মেল প্য়াটার্ন হেয়ার লস" বা ছেলেদের মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে চুল পরতে থাকেল বুঝতে হবে হার্টের পেশীরা ঠিক মতো কাজ করতে পারছে না। আর এমনটা যদি ৪০ বছরের আগে হয়ে থাকে, তাহলে কিন্তু ভিষণ বিপদ! কারণ এমন ক্ষেত্রে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়।
কার্ডিওলজিকাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার ৬৯ তম বার্ষিক সম্মেলনে এ বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এই গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকেরা জানান, ৪০ বছরের কম বয়সি প্রায় ৭৯০ জন পুরুষের উপর এই পরীক্ষা চালাতে গিয়ে তারা খেয়াল করেছেন যাদের হার্টের অবস্থা বেজায় দুর্বল, তাদের হয় চুল পরার হার সাধারণ মানুষদের থেকে বেশি, নয়তো অসময়েই তাদের চুল পেকে গেছে। এমনটা কেন হয়েছে সে বিষয়ে আরও জানতে গবেষণা চলছে ঠিকই। কিন্তু গবেষকরা একটা বিষয়ে নিশ্চত হয়েছেন যে চুল পরা বা আকাল পক্কতার সঙ্গে হার্টের ভাল-মন্দের একটা সম্পর্ক রয়েছে।
একন প্রশ্ন হল আপনাদের মধ্যে যদি কারও এমন হয়ে থাকে, তাহলে কী করণীয়? এক্ষেত্রে নিয়মিত কতগুলি খাবার খেতে হবে। কারণ ভিন্ন এক গবেষণায় দেখা গেছে যে কোনও পরিস্থিতিতে হার্টকে সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই দীর্ঘদিন যদি সুস্থভাবে বাঁচতে চান, তাহলে রোজের ডায়েটে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে খাবারগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল...
১. মাছ:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত মাছ খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু উপকারি অ্যামাইনো অ্যাসিডের ক্ষরণও বেড়ে যায়। এই উপাদানগুলি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে করনারি আর্টারি ডিজিজকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও কমায়। তাই যদি লক্ষ করে থাকেন যে চুল পরা বেড়ে গেছে, তাহলে মাছের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে ভুলবেন না যেন!
২. বাদাম:
অফিসে কাজের ফাঁকে পেট ভরাতে এবার থেকে চিপস বা স্যান্ডউইচের মতো খাবার না খেয়ে বরং এক মুঠো করে বাদাম খাওয়া শুরু করুন। এমনটা করলে হার্ট নিয়ে দেখবেন আর কোনও চিন্তাই থাকবে না। আসলে বাদামে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান একদিকে যেমন শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ যদি স্বাভাবিক মাত্রায় চলে আসে, তাহলে হার্টকে নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকে না।
৩. জাম:
চুল পরা যদি বেড়ে গিয়ে থাকে, তাহলে নিয়মিত এক বাটি করে জাম খাওয়া মাস্ট! কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে জামের অন্দরে উপস্থিত ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার শরীরের অন্দরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখাতে শুরু করে যে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। তাই মাথা ফাঁকা হতে শুরু করেল জামের উপর ভরসা রাখতে ভুলবেন না যেন!
৪.শণ বীজ বা ফ্লেক্স সিড:
আপনার নিশ্চয় এতক্ষণ একথা জেনে গেছেন যে হার্টকে সুস্থ রাখতে যে যে উপাদানগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। আর এই উপাদানটি মাছের পাশাপাশি প্রচুর মাত্রায় মজুত থাকে শণ বীজে। তাই হার্টকে যদি দীর্ঘদিন চাঙ্গা রাখতে চান, তাহলে নিয়মিত এই প্রকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করতে হবে। এমনটা যদি করতে পারেন, তাহলে যতই চুল পরুক না কেন, হার্টকে নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না।
৫. ওটস মিল:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ব্রেকফাস্টে ওটস মিল খাওয়া শুরু করলে শরীরে এত মাত্রায় পুষ্টিকর উপাদানের প্রবেশ ঘটে যে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। সেই সঙ্গে রক্তচাপও স্বাভাবিক থাকতে বাধ্য হয়। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
৬. পালং শাক:
কয়েক মাস ধরে কি চুল পরার হার বেড়ে গেছে? তাহলে তো বন্ধু এখনই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। সেই সঙ্গে নিয়মিত পালং শাক খাওয়ার প্রয়োজনও রয়েছে। কারণ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে এই সবুজ সবজিটির অন্দরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহে উপস্থিত ক্ষতিকারণ টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৭. কমলা লেবু এবং পেঁপে:
এই দুটি ফলে বিটা-ক্যারোটিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, কমলা লেবু এবং পেঁপেতে উপস্থিত পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবারও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।