Just In
সারা জীবন সুস্থ থাকতে এই মশলাগুলি খাওয়া মাস্ট!
জয়বাবা ফেলুনাথ সিনেমার সেই বিখ্যাত ডায়লগটা মনে আছে, "শরীর হল মন্দির।" বাস্তবিকই শরীর যত সুস্থ এবং সুন্দর থাকবে, মন এবং জীবন তত আনন্দে ভরে উঠবে। তবে এই আপ্তবাক্য়টি কজনই বা মেনে চলেন।
প্রধান কাজ নানা পদের স্বাদ বাড়ানো হলেও ফ্রি টাইমে কিন্তু শরীরকে রোগমুক্ত রাখতেও ভারতীয় মশরারা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো মশলাহীন খাবার দেখতে যতই স্বাস্থ্য়কর মনে হোক না কেন, তা কিন্তু আদৌ নয়। কারণ একাদিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে এই প্রবন্ধে আলোচিত মশলাগুলি নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। সেই সঙ্গে মশলা সহযোগে বানানো পদগুলি বেজায় মুখরচকও হয়, তাই না!
জয়বাবা ফেলুনাথ সিনেমার সেই বিখ্যাত ডায়লগটা মনে আছে, "শরীর হল মন্দির।" বাস্তবিকই শরীর যত সুস্থ এবং সুন্দর থাকবে, মন এবং জীবন তত আনন্দে ভরে উঠবে। তবে এই আপ্তবাক্য়টি কজনই বা মেনে চলেন। তাই তো এত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনিও কি এই দলেরই সদস্য? নিজের কথা ভাবতে কি একটুও মন চায় না? তাহলে বেশ বিপদ বলতে হয় আপনার। আর যদি উল্টো পথের পথিক হন, তাহলে এই প্রবন্ধটি আপনার কথা ভেবেই লেখা। কারণ যেসব ভারতীয় মশলার প্রসঙ্গে এই লেখায় আলোচনা করা হল, যা গত কয়েক বছরে বৃদ্ধি পাওয়া প্রতিটি রোগকে আপনার থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হবে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলুন চোখ রাখা যাক বাকি প্রবন্ধে।
যে যে মশলাগুলির হাতে রয়েছে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি, সেগুলি হল...
১. হলুদ:
অ্যালঝাইমার এবং ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে হলুদের কোনও বিকল্প নেই। কারণ এই মশলায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নানাভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে যাতে কোনও ভাবেই রোগ সৃষ্টিকারি উপাদানগুলি শক্তিশালী না হয়ে ওঠে সেদিকেও খেয়াল রাখে। এখানেই শেষ নয়, হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন নামে একটি উপাদান শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
২. দারচিনি:
এই মশলাটি তো সবারই বাড়িতেই থাকে। তবে কজনই বা জানেন যে প্রতিদিন দারচিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সুযোগই পায় না। ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে।
৩.গোলমরিচ:
শরীরে জমে থাকা ক্যালোরি বার্ন করতে এই মশলাটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে প্রতিটি খাবারে এই মশলাটি মেশালে, খাবার প্রতি প্রায় ১০০ ক্যালোরি বার্ন হয়। এই পরিমাণ ক্যালোরি যদি প্রতিদিন বার্ন হতে থাকে, তাহলে ওজন কমতে যে একেবারেই সময় লাগবে না, তা বলাই বাহুল্য!
৪.জিরে:
খাবারে মাত্র এক চামচ জিরে মিশিয়ে সেই খাবার খেলে চোখে পরার মতো ওজন কমে। কারণ এই মশলাটি শরীরে জমে থাকা মেদ ঝড়িয়ে ফলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে, ডায়াবেটিস রোগকে দূরে রাখতে এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫.আদা:
নানাবিধ রোগের চিকিৎসায় সেই আদি কাল থেকে কাজে লাগানো হচ্ছে এই মশলাটিকে। কেন হবে নাই বা বলুন, হলুদে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজন হ্রাসেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই যাদের পরিবাবে ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা হলুদকে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।
৬.রসুন:
খাবারকে সুস্বাদু বানানোর পাশপাশি একাধিক নন-কমিউনিকেবল ডিজিজকে দূরে রাখতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, ওজন কমাতেও এই মশলাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭. ব্ল্যাক পেপার:
শরীরে জমে থাকা মেদ ঝড়িয়ে দেওয়ার পাশপাশি নতুন করে যাতে চর্বি জমতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখে এই মশলাটি।
৮.এলাচ:
এই মশলাটি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ২০০৮ সালে জার্নাল অব এথনোফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে নিয়মিত এলাচ খেলে যে কোনও ধরনের পেটের রোগ সারতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া এবং কনস্টিপেশনের মতো রোগের চিকিৎসাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৯.ধনে:
প্রায় ৭০০০ বছর ধরে ভারতীয় রান্নায় এই প্রকৃতিক উপাদানটির ব্যবহার হয়ে আসছে। আর কেন হবে নাই বা বলুন! একাদিক গবেষণায় দেখা গেছে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ধনিয়ার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই যাদের পরিবারে কানও ধরনের হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা এই প্রকৃতিক উপাদানটি খেতে ভুলবেন না যেন!