Just In
- 10 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 11 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 14 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 16 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
২৬ এর সাক্ষী এবার ভারতবর্ষ, দেখে নিন সূর্যগ্রহণের সময় ও স্থায়িত্ব
বড়দিনের পর এক অন্যরকম সকালের সাক্ষী হতে চলেছে সারা ভারতবর্ষের মানুষ। ২০১৯ সালের তৃতীয় ও শেষ সূর্যগ্রহণ সম্পন্ন হবে ২৬ ডিসেম্বর। তাই, বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ দেখতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত গোটা দেশের জনগণ। যার নাম 'রিং অফ ফায়ার’ বা 'আগুনের বলয়’।
সূর্যগ্রহণকে ঘিরে প্রাচীনকাল থেকেই বহু পৌরাণিক কাহিনী প্রচলিত আছে। তা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই গ্রহণকে ঘিরে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সংস্কৃতিগত বিশ্বাস আজও বিদ্যমান। একটি বছরে কয়েকবার দেখা যায় সূর্যগ্রহণ। প্রসঙ্গত, প্রথম সূর্যগ্রহণ হয়েছিল ৬ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয়টি হয়েছিল ২ জুলাই। তবে, দ্বিতীয়টি ভারত থেকে দেখা না গেলেও তৃতীয় এবং বছরের শেষ গ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে ভারত।যা নিয়ে এত কৌতুহল সেই সূর্যগ্রহণ আসলে কী, তা আমরা একবার জেনে নিই।
আরও পড়ুন : দেখুন ২০১৯ সালে ভারতে ট্যুইটারে সর্বাধিক ব্যবহৃত ইমোজিগুলি
সূর্যগ্রহণ আসলে একটি জাগতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় ঘটনা। চাঁদ তার নিজের কক্ষপথে পরিভ্রমণরত অবস্থায় যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে আসে, তখন পৃথিবীর উপর একটি ছায়ার সৃষ্টি হয়। ফলে, সেই মূহূর্তে সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। ফলে দিনের বেলাতেও রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে পৃথিবীর বুকে। এই ঘটনাকে 'সূর্যগ্রহণ' বলা হয়।
সূর্যগ্রহণ তো হয়েই থাকে। তবে, এই গ্রহণকে কেন্দ্র করে মানুষের উৎসাহের পারদ যেন একেবারে তুঙ্গে। কারণ, বহুবছর পর ভারতবর্ষে এই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য 'রিং অফ ফায়ার' ঘটতে চলেছে, যা দৃশ্যায়িত হবে ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ। এইদিন অগ্নিবলয়ে পরিণত হবে সূর্য।
'রিং অফ ফায়ার’ কী?
চাঁদের পরিভ্রমণরত অবস্থায় চাঁদ যখন সূর্যকে মাঝখান থেকে ঢেকে ফেলে, তখন চাঁদের ঢেকে দেওয়া অংশ বাদে সূর্যের বাকি অংশটি পৃথিবীর বুকে দৃশ্যমান থাকে। সেইসময় সূর্যের আকার হয় সোনালি রঙের আংটির মত। একেই আমরা 'রিং অফ ফায়ার' বলে থাকি। এই বলয়গ্রাস সাধারণত দেখা যায় বছরের শেষ থেকে বছরের শুরুতে, অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে।
গ্রহণ দেখার সেরা জায়গা ও সময়
টানা ৩ ঘণ্টা ৫ মিনিট স্থায়ী থাকবে এই গ্রহণ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্যের বলয়গ্রাসের পথ গিয়েছে দক্ষিণ ভারতের উপর দিয়ে।ফলে, এই বলয়গ্রাস বেশি সময় ধরে দেখা যাবে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লী ও উটিতে। মূলত পাহাড়ি এলাকাতেই ভালভাবে অনুভব করা যাবে এই গ্রহণ। এ ছাড়াও কান্নোড়, কোয়েম্বাটোর, ম্যাঙ্গালোর, মাদুরাই ও কোঝিকোড়-সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন অংশ জুড়ে দেখা যাবে সূর্যের বলয়গ্রাস।
আরও পড়ুন : বন্ধুত্ব এমনই... ৫০০০ মাইল সাঁতরে ফেরে পেঙ্গুইন, মানব বন্ধুর ভালবাসার টানে
উটিতে বলয়গ্রাস বেশি সময় ধরে স্থায়ি হবে বলে জানাচ্ছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তবে শুধু দক্ষিণ ভারতেই নয়, দিল্লি, ভুবনেশ্বর, কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলাতেও দেখা যাবে সূর্যের বলয়গ্রাস। তাহলে দেখে নেওয়া যাক কোথায় কখন দেখা যাবে এই বলয়গ্রাস।
আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তার পর এই বহু প্রতীক্ষিত ২৬ এর সাক্ষী হবে সারা ভারতবর্ষ।