Just In
Don't Miss
PM Narendra Modi’s Birthday : প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে জানুন তাঁর সম্পর্কে নানান অজানা তথ্য
আজ, ১৭ সেপ্টেম্বর ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলাচ্ছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের আগে পর্যন্ত তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই, আজ এই বিশেষ দিনে বোল্ডস্কাই-এর পক্ষ থেকে আমরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। আর, এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা আপনাদের কাছে তাঁর সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য জানাব যা হয়তো বেশিরভাগেরই অজানা।
১) ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর গুজরাটের মেহসানা জেলার বাদনগরে এক গুজরাটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি তাঁর পিতা-মাতার ছয় সন্তানের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। তাঁর পিতার নাম দামোদারদাস মূলচাঁদ মোদি ও মাতার নাম হীরাবেন মোদি। তাঁর পরিবার ছিলেন ঘাঞ্চী তেলী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
২) ছোট থেকেই তিনি বাদনগর রেলস্টেশনে তাঁর পিতাকে চা বিক্রি করতে সহায়তা করতেন এবং কৈশোরে বাস স্ট্যান্ডের কাছে ভাইয়ের সঙ্গে চা বিক্রি করতেন।
৩) ১৯৬৭ সালে নরেন্দ্র মোদি বাদনগরেই তাঁর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করেছিলেন।
৪) ৮ বছর বয়সে মোদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এর সংস্পর্শে আসেন। ১৯৭০ সালে ২০ বছর বয়সে আরএসএসের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পূর্ণসময়ের প্রচারক হয়ে ওঠেন এবং ১৯৭১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আরএসএসে যোগ দেন।
৫) ছোটবেলা থেকেই স্বামী বিবেকানন্দের জীবন তাঁকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
আরও পড়ুন : প্রয়াত হলেন ভারতের প্রথম বাঙালী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, দেখুন তাঁর জীবনের কিছু অজানা তথ্য
৬) ১৯৭৫ সালের জুনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যখন জরুরি অবস্থা চালু করেছিলেন, তখন মোদি "গুজরাত লোক সংঘর্ষ সমিতি"-এর জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
৭) ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক ঘোষিত জরুরীকালীন অবস্থায় বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা হলে এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে (আরএসএস) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে মোদি গ্রেপ্তারী এড়ানোর জন্য বিভিন্ন ছদ্মবেশে গোপনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারপুস্তিকা বিতরণ ও বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠিত করতেন।
৮) ১৯৭৯ সালে, তিনি দিল্লিতে আরএসএসের হয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। তারপরে ১৯৮৫ সালে তিনি অল্প সময়ের জন্য গুজরাটে ফিরে আসেন। ওই একই বছর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মোদি-কে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করায়। এরপর তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।
৯) ১৯৯৫ সালে মোদী ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই সময় তিনি হরিয়ানা ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে পার্টির সাংগঠনিক কাজকর্মের দায়িত্ব সামলান।
১০) কেশুভাই প্যাটেলের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে এবং বিধানসভা উপ-নির্বাচনে বিজেপি কয়েকটি আসন হারায়। এই অবস্থায় বিজেপির জাতীয় নেতৃত্ব প্যাটেলের জায়গায় মোদিকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মোদি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি অনেক উন্নয়ন করেছিলেন।
১১) তিনি গুজরাটের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ আনার প্রকল্পটি সফলভাবে শেষ করেছিলেন। ২০০১-১০ এর মধ্যে গুজরাটে প্রতিটি ক্ষেত্রে, বিশেষত কৃষিক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছিল।
১২) ২০১৩ সালে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মোদির নাম প্রস্তাবিত হয়েছিল। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতে ২৬ মে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রীর পদে শপথ নেন।
১৩) ২০১৮ সালে, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য পুনরায় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মোদির নাম প্রস্তাবিত হয়। নরেন্দ্র মোদি পুনরায় এনডিএ দ্বারা দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।