Just In
সোনার গায়না হারিয়ে ফেললে কী কী ক্ষতি হতে পারে জানা আছে?
সোনা বৃহষ্পতি গ্রহকে প্রভাবিত করে থাকে। তাই তো সোনা দিয়ে তৈরি কোনও কিছু হারিয়ে ফললে জন্মকুষ্টিতে বৃহষ্পতি গ্রহের অবস্থান দুর্বল হতে শুরু করে।
সোনার গয়না যেমন মূল্যবান, তেমনি জ্যোতিষশাস্ত্রে এর গুরুত্বও কম নয় কিন্তু! প্রসঙ্গত, বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজির উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে সোনা অনেকাংশেই বৃহষ্পতি গ্রহকে প্রভাবিত করে থাকে। তাই তো সোনা দিয়ে তৈরি কোনও কিছু হারিয়ে ফললে জন্মকুষ্টিতে বৃহষ্পতি গ্রহের অবস্থান দুর্বল হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করে অশুভ শক্তি। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
অ্যাস্ট্রোলজির উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে জুপিটার বা বৃহষ্পতি হল অন্যতম শক্তিশালী গ্রহ। যার প্রভাবে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে সামাজিক সম্মান বৃদ্ধির সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। তাই তো সুখে-শান্তিতে থাকতে এই গ্রহটি যাতে কোনও ভাবে দুর্বল হয়ে না পরে, সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কারণেই তো সোনার গয়নাকে সামলে রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
এখন প্রশ্ন হল সোনার গয়না হারিয়ে ফেলা মাত্র কী কী ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে?
১. পরিবারে অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বৃহষ্পতি গ্রহের প্রভাব দুর্বল হতে শুরু করলে পরিবারের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে নানাবিধ কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ফলে মানসিক শান্তি দূরে পালাতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞদের মতে সোনার গয়না হারিয়ে ফললে অনেক ক্ষেত্রেই ভায়ে-ভায়ে ঝগড়া লাগার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুখ-শান্তিতে কাটাতে হয়, তাহলে সোনার গয়না সামলে রাখতে ভুলবেন না যেন!
২. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের অবনতি ঘটে:
বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি অনুসারে সোনার গয়না হারিয়ে ফেললে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করে। এমনকী বিবাহ-বিচ্ছেদের সম্ভাবনাও থাকে। তাই তো বাড়ির মহিলাদের সোনার গয়না বা সোনা দিয়ে বানানো যে কোনও কিছু সামলে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৩. অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে সোনা হল এমন একটি ধাতু, যা বৃহষ্পতি গ্রহকে মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত করে থাকে। আর একবার কারও জন্মকুষ্টিতে জুপিটার বা বৃহষ্পতি গ্রহের প্রভাব বাড়তে শুরু করলে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার পথ প্রশস্ত হয়, তেমনি কর্মক্ষেত্রে সম্মানবৃদ্ধির সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। কিন্তু সোনার গয়না হারিয়ে ফললে কিন্তু একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটতে শুরু করে। এক্ষেত্রে একের পর অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে লেজুড় হয় কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ বাঁধা। ফলে সুখ-শান্তি দূরে পালাতে সময় লাগে না। এবার বুঝেছেন তো বন্ধু সোনার গয়না ঠিক করে রাখাটা কতটা জরুরি।
৪. ব্যাড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে:
বিশেষজ্ঞদের মতে সোনার গয়না হারিয়ে ফেললে অথবা কোথায় সোনার গয়না কুড়িয়ে পেলে ব্যাড লাক পিছু নেয়। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটতে শুরু করে। বিশেষত হঠাৎ করে কোনও দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে নানা কারণে মানসিক অশান্তি এতটা বেড়ে যায় যে সুখ-শান্তি দূরে পালায়।
৫. জটিল রোগে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে:
শুনতে আজব লাগলেও এই ধরণার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে সোনার গয়না হারিয়ে ফেললে মারাত্মক কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। আসলে বৃহষ্পতি গ্রহের প্রভাব বাড়লে সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে জীবনে। কিন্তু যখন জুপিটার গ্রহ দুর্বল হয়ে পরে তখন আশেপাশে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকার কারণে নানাবিধ রোগ ঘারে চেপে বসে। ফলে আয়ু কমে চোখে পরার মতো। তাই তো সব শেষে একথা বলতেই হয় বন্ধু, সোনা, ধাতু হিসেবে যতটা মূল্যবান, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জীবনকে সুন্দর রাখার জন্যও। তাই সুখে-শান্তিতে থাকতে ভুলেও কখনও সোনার গয়না এদিকে-সেদিকে ফেলে রাখবেন না যেন!
৬. মা লক্ষ্মী গৃহস্ত ত্যাগ করেন:
একথা তো ইতিমধ্যেই সবাই জেনে গেছেন যে সোনার গয়না হারিয়ে ফেললে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আর এমনটা যখন হয় তখন পরিবারের প্রতিটি কোনা এতটাই অপবিত্র হয়ে ওঠে যে মা লক্ষ্মী গৃহস্থ ত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে ধন দেবতা কুবেরের আশীর্বাদ লাভ করা থেকেও বঞ্চিত হতে হয়। ফলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না।