Just In
আমেরিকায় ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে ভারতীয় মায়ের মেয়ে, জানুন তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারতে বিহার ইলেকশনের পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়েও উত্তেজনা তুঙ্গে ছিল। বিহারের জনগণ কাকে বেছে নিল, সেটা ১০ নভেম্বর জানা যাবে। কিন্তু পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হতে চলেছে, তা আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করছেন জো বাইডেন। ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের জায়গায় জো বাইডেন-কেই বেছে নিলেন আমেরিকার জনগণ। একই সঙ্গে আমেরিকায় ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। দেশের প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। ২০২১-এর জানুয়ারিতে জো বাইডেনের সঙ্গে তিনিও দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
কমলা হ্যারিস আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান এবং প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান মহিলা সহ-রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
১) ১৯৬৪ সালের ২০ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন কমলা হ্যারিস। মা শ্যামলা গোপালন এবং বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস।
২) ১৯৫৮ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে শ্যামলা গোপালন তামিলনাড়ু থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেই সময় তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে-এর পুষ্টি ও এন্ডোক্রিনলজির স্নাতকের ছাত্রী ছিলেন। ১৯৬৪ সালে তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেন। কমলা হ্যারিসের বাবা হলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
৪) আধুনিকতা ও নারীবাদ সম্পর্কে তাঁর মাতামহের চিন্তাভাবনা এবং মতামত কমলা হ্যারিসকে অনেকাংশে অনুপ্রাণিত করেছিল।
৫) যখন তাঁর বয়স মাত্র সাত বছর তখন তাঁর বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
৬) প্রথমদিকে, হ্যারিস একটি ফরাসী ভাষী স্কুলে পড়তেন। পরে, তিনি কুইবেক-এর ওয়েস্টমাউন্ট হাই স্কুলে পড়াশোনা করতে যান।
৭) ১৯৮৬ সালে তিনি হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে গ্র্যাজুয়েট করেন।
৮) তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালামেডা কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নি অফিসে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে সান ফ্রান্সিসকো অ্যাটর্নি অফিসে ও আরও পরে সিটি অ্যাটর্নি অব ফ্রান্সিসকো অফিসে যোগ দেন।
৯) ২০০৩ সালে তিনি সান ফ্রান্সিসকোর অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে পুনঃনির্বাচিত হন।
১০) ২০১১ সালের জানুয়ারিতে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে তিনি শপথ গ্রহণ করেছিলেন। তিনিই ছিলেন আমেরিকার ইতিহাসে এই পদে প্রথম মহিলা এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয়-আমেরিকান ও আফ্রিকান-আমেরিকান ব্যক্তি।
আরও পড়ুন : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী বাইডেন, জেনে নিন তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
১১) তিনি ২০১৬ সালের সিনেট নির্বাচনে লোরেটা সানচেজকে পরাজিত করে বারবারা বক্সারের উত্তরসূরী হন। এর ফলে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার তৃতীয় মহিলা সেনেটর হওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় আফ্রিকান-মার্কিন মহিলা এবং প্রথম দক্ষিণ-এশীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনী হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১২) সেনেটর হিসাবে তিনি স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার, নিয়ন্ত্রিত পদার্থের তফসিল হতে গাঁজা বাতিলকরণ, অনিবন্ধিত অভিবাসীদের নাগরিকত্বের পথ হিসাবে ড্রিম আইন, আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধকরণ এবং প্রগতিশীল কর সংস্কারকে সমর্থন করেছেন।
১৩) হ্যারিস ২০২০ সালের ডেমোক্রাট দলের প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের জন্য অংশ নিয়েছিলেন
১৪) ১১ আগস্ট তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সাবেক উপরাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সহকর্মী হিসেবে ঘোষিত হন।