Just In
- 1 day ago কেন ভারতীয়দের মধ্যে ওবেসিটির হার বাড়ছে, কী তথ্য উঠে এল গবেষণা থেকে, জানুন
- 1 day ago কবে পড়েছে ফাল্গুন পূর্ণিমা, আর্থিক সঙ্কট কেটে সুখের মুখ দেখবেন কোন রাশির ব্যক্তিরা?
- 2 days ago চাকরি থেকে ব্যবসায় সফলতা পেতে চাইছেন, হোলিকা দহনের দিন করুন এই প্রতিকারগুলি
- 2 days ago শনিদেবের কৃপা পান কারা, অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে পটু এই রাশির ব্যক্তিরা
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু: এই সাহসী বঙ্গসন্তান সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন
শতকোটির বীরপুত্র, সাহসী বঙ্গসন্তান, মহান দেশপ্রেমিক, যাই বলে সম্মোধন করি না কেন, তাই যেন তাঁর জন্য অনেক কম হয়ে যায়। তাঁর কার্যকলাপে ভারতবর্ষে ব্রিটিশের শক্ত ভীত নড়ে উঠেছিল। তাঁর জন্ম ভারতের কাছে যেন এক উপহার স্বরুপ।
পরাধীন ভারতকে সাদা চামড়ার হাত রক্ষা করতে নিজের প্রাণ পর্যন্ত উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। তাঁর জন্য অহঙ্কারের শেষ নেই আপামর বাঙালির। তিনি আর কেউ নন, দেশবাসীর অমর সন্তান নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু হলেন ভারতের অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কিংবদন্তি নেতা। তিনি হাজার হাজার মানুষকে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের (INC) প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে, মহাত্মা গান্ধী এবং দলের অন্যান্য প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে মতবিরোধের পর, তিনি এই পদ থেকে সরে আসেন।
নেতাজির জীবন অত্যন্ত রহস্যময় এবং অনুপ্রেরণামূলক। তাঁর জন্মদিনকে 'পরাক্রম দিবস' হিসেবে পালন করা হয় দেশজুড়ে। আজ এই বীর বঙ্গসন্তান সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন-
১) ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি বর্তমান ওড়িশা রাজ্যের কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন নেতাজি। তাঁর মাতা প্রভাবতী দেবী এবং পিতা বাঙালি আইনজীবী জানকীনাথ বসু। তিনি ছিলেন তাঁর বাবা মায়ের ১৪ জন সন্তানের মধ্যে নবমতম সন্তান।
২) তিনি কটকের একটি ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন, বর্তমানে এই স্কুলটির নাম স্টুয়ার্ট স্কুল। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় কটকের রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে।
আরও পড়ুন : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বিখ্যাত কিছু উক্তি, যা আজও দেশবাসীকে অনুপ্রেরণা দেয়
৩) ১৯১৮ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ফিলোজফি-তে বি.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
৪) তিনি ইংল্যান্ডে, ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (ICS) পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেয়ে নিয়োগপত্র পেয়ে যান। কিন্তু, বিপ্লব-সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তিনি সেই নিয়োগপত্র প্রত্যাখ্যান করেন।
৫) অমৃতসর হত্যাকাণ্ড ও ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দ দমনমূলক রাওলাট আইন ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। ভারতে ফিরে নেতাজী 'স্বরাজ' নামক একটি সংবাদপত্র চালু করে তাতে লেখালেখি শুরু করেন এবং বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রচারের দায়িত্বেও নিযুক্ত হন।
৬) তাঁর রাজনৈতিক গুরু ছিলেন বাংলায় উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। ১৯২৪ সালে দেশবন্ধু যখন কলকাতা পৌরসংস্থার মেয়র নির্বাচিত হন, তখন নেতাজি তাঁর অধীনে কর্মরত ছিলেন।
৭) স্বাধীনতা আন্দোলনের কারণে ১৯২১ থেকে ১৯৪১ সাল, প্রায় ২০ বছরের মধ্যে তিনি মোট ১১ বার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁকে ভারত ও রেঙ্গুনের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল।
৮) জাপান ও জার্মান, উভয় দেশই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ছিল। তাই, নেতাজি উভয় দেশের কাছেই সাহায্য চেয়েছিলেন।
৯) তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ বা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (INA)-র নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
১০) ১৯২৩ সালে নেতাজি, সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেস কমিটির প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন।
১১) নেতাজি 'দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল' নামে একটি বইও লিখেছিলেন যা, ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন : নেতাজির জন্মদিনে আজও বিনা পয়সায় তেলে ভাজা বিলি করে এই দোকানটি, জেনে নিন এর আসল কারণ
১২) তিনি জার্মানিতে আজাদ হিন্দ রেডিও স্টেশনও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৩) "তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব", "দিল্লি চলো" এবং "জয় হিন্দ" এর মতো বিখ্যাত উক্তিগুলি তাঁর কাছ থেকেই পাওয়া।
১৪) ভগবত গীতা এবং স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ নেতাজি-কে উদ্বুদ্ধ করেছিল।