Just In
- 1 hr ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 3 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 19 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 20 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
সোনার গয়না পরলে কী কী উপকার পাওয়া যায় জানা আছে?
এই পৃথিবীতে পাওয়া যাওয়া প্রতিটি ধাতুই নানাভাবে আমাদের শরীর এবং ভাগ্যের উপর প্রভাব ফেলে থাকে। এমনকী বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজিও একথা মেনে নিয়েছে।
এই পৃথিবীতে পাওয়া যাওয়া প্রতিটি ধাতুই নানাভাবে আমাদের শরীর এবং ভাগ্যের উপর প্রভাব ফেলে থাকে। এমনকী বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজিও একথা মেনে নিয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে অনুসারে নানাবিধ ধাতু এবং পাথরকে কাজে লাগিয়ে ভাগ্যকেও প্রভাবিত করা সম্ভব। যেমনটা করা সম্ভব সেনাকে কাজে লাগিয়েও।
জানি বন্ধু শুনতে হয়তো একটু আজব লাগছে! কিন্তু অ্যাস্ট্রোলজির উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে সোনা দিয়ে তৈরি কোনও জুয়েলারি পরলে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন...
১. শরীরের উপর খারাপ শক্তির প্রভাব কম পরে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সোনার গয়না পরলে শরীরে উপস্থিত ব্ল্যাক এনার্জি দূরে পালাতে শুরু করে। ফলে শরীরের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে আধ্যাত্মিক শক্তির যেমন বিকাশ ঘটে, তেমনি অশুভ শক্তিও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। শুধু তাই নয়, পরিবারে কোনও ধরনের আশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও কমতে থাকে।
২. অফুরন্ত সুখ-শান্তির সন্ধান মেলে:
নানাবিধ ধাতুর প্রভাব শরীরের উপর কেমনভাবে পরে, সে বিষয় যারা গবেষণা করেন, তাদের মতে সোনার গয়না পরলে আমাদের চারিপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে গৃহস্থে যেমন সুখ-শান্তির ছোঁয়া লাগে, তেমনি এমন স্ট্রেসফুল পরিবেশেও মানসিক শান্তি বজায় থাকে। ফলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
৩. কু-দৃষ্টির প্রভাব থেকে মুক্তি মেলে:
আজকের প্রতিযোগীতায় জীবনে সবাই যেখানে সামনের জনকে মেরে আগে এগিয়ে চেষ্টায় লেগে রয়েছে, সেখানে ইর্ষান্বিত হয়ে কেউ যে আপনার ক্ষতি করার চেষ্টায় লেগে নেই অথবা কালো যাদু বা তুকতাক করে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে না, সে বিষয়ে কি আপনি নিশ্চিত! তাই তো বলি বন্ধু কালো যাদুর প্রভাবে যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে সোনার গয়না পরা মাস্ট! প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে সোনার গয়না পরলে আমাদের শরীরের অন্দরে থাকা চক্রগুলিকে অ্যাকটিভ করে দেয়। ফলে শরীরের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।
৪. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সোনার গয়না পরলে আমাদের চারিপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে অল্প সময়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বাদ পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তবে এখানেই শেষ নয়, সোনার গয়না পরলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর এমনটা যখন হয়, তখন জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!
৫. যে কোনও ধরনের সমস্যার খপ্পর থেকে মুক্তি মেলে:
বিশেষজ্ঞদের মতে অনামিকা বা রিং ফিঙ্গারে সোনার আংটি পরলে জীবন পথে চলতে চলতে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা যে কোনও সমস্যার হাত থেকে মুক্তি মেলে। সেই সঙ্গে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার সম্ভাবনাও যায় কমে। তবে সোনার গয়না পরার কিছু নিয়ম রযেছে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই নিয়মগুলি না মেনে যদি সোনার গয়না পরা হয়, তাহলে কিন্তু কোনও সুফল পাওয়াই যায় না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা জরুরি, সেগুলি হল...
১. সোনার আংটি পরতে হবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ছেলেদের সোনার অংটি পরতে হবে ডান হাতের অনামিকায়, আর মেয়েদের পরতে হবে বাঁহাতে। কারণ এমনটা করলেই কিন্তু উপকার মিলবে। না হলে...
২. খারাপ সময়ও আসতে পারে:
সোনা হল এমন একটি ধাতু,যা যে কেউ পরতে পারেন। কিন্তু কারও কারও কুষ্টিতে এমন গ্রহ দোষ থাকে যে সোনার গয়না পরলে উপকারের থেকে অপকার হয় বেশি। তাই তো সোনার কোনও অলঙ্কার পরার আগে প্রয়োজন মনে করলে জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৩. শরীরকে চাঙ্গা রাখে:
বিভিন্ন রোগের খপ্পর থেকে যদি বাঁচতে চান, তাহলে কড়ে আঙুলে সোনার আংটি পরতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কড়ে আঙুলে এই অলঙ্কার পরলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরবির্তন হতে শুরু করে যে, তার প্রভাবে ছোট-বড় নানা রোগ দূরে পালাতে বাধ্য হয়।
৪. গলার চেন:
বিশেষজ্ঞদের মতে গলায় সোনার চেন পরলে বৈবাহিক জীবনে কোনও ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। আর যদি সোনার চেনে একটি সোনার লকেট লাগাতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! সেক্ষেত্রে পারিবারিক জীবনে কোনও ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় কমে।