Just In
- 2 hrs ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 18 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 19 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 21 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
প্রাচীন কালের এই নিয়মগুলি মেনে চলুন, সেক্স লাইফ উপভোগ করুন
মানুষের অন্যান্য চাহিদার মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক অন্যতম। এটি স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বৈবাহিক সম্পর্ককেও মজবুত করে তোলে। বর্তমান যুগকে আমরা যতই আধুনিক বলি না কেন, যৌনতা বা শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে এখনও সবাই কুন্ঠিত বোধ করে। সম্পূর্ণ তথ্যের অভাবে অনেকেই যৌন জীবনে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়। অনেকেই নিজস্ব সেক্স লাইফ নিয়ে চিন্তিত।
তবে, শারীরিক সম্পর্কের ব্যপারটি প্রাচীন যুগে খুব পবিত্র হিসেবে বিবেচিত হত। তৎকালীন লোকেরা আরও মুক্তচিন্তার ছিল এবং যৌনতা সম্পর্কিত প্রতিটি সমস্যায় তারা নির্দ্বিধায় কথা বলত। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সেক্সের মতো বিষয়টির উপর প্রথম গ্রন্থ 'কামসূত্র' ভারতের উপহারস্বরুপ যা দ্বিতীয় শতাব্দীতে আচার্য বাৎস্যায়ন লিখেছিলেন।
আরও পড়ুন : যৌন জীবনে সুখী নন? পুরুষদের জন্য রইল কিছু ফোরপ্লে টিপস্, যা দাম্পত্য জীবনে সুখ আনবে
সহবাস কেবল যৌন সন্তুষ্টির জন্য করা হত না। এর সাথে যুক্ত কঠোর শৃঙ্খলা অনুসরণ করত মানুষ। হ্যাঁ, প্রাচীনকালে স্বামী-স্ত্রীর যৌনতার সময় অনেকগুলি বিধি অনুসরণ করতেন, যাতে তারা কোনও ধরনের রোগ এবং বিপর্যয় এড়াতে পারে। তাহলে আসুন জেনে নিই, প্রাচীনকালে মানুষ যৌনতার সময় কী ধরনের শৃঙ্খলা এবং নিয়ম অনুসরণ করত, যা আজও আমাদের মনে রাখা উচিত।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল অনৈতিক
প্রাচীনকালে, নিজের স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত অন্য কারও সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। এটি একটি অনৈতিক কাজ হিসেবে বিবেচিত হত। যে ব্যক্তি এই নিয়ম লঙ্ঘন করত তাকে সারাজীবন অনুশোচনা করতে হত।
এই স্থানে কখনও সেক্স করবেন না
প্রাচীন কালে, অবস্থান সম্পর্কিতও কিছু নিয়ম মানা হত। শ্মশান, পবিত্র গাছ, গুরুকুল, হাসপাতাল, পবিত্র ও ধর্মীয় স্থান ইত্যাদি জায়গায় শারীরিক সম্পর্ক করা উচিত নয়। এই নিয়ম যে না মেনে চলে তার চারদিক রোগ-ব্যাধিতে আবদ্ধ থাকে।
মাসিক সম্পর্কিত নিয়ম
প্রাচীন কাল থেকেই, এটি বিশ্বাস করা হয় যে কোনও মহিলার পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক সম্পর্ক করা উচিত নয়, অন্যথায় সেই পুরুষ কোনও রোগ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। ঋতুস্রাবের প্রথম চার দিন একেবারেই এনিয়ে ভাবা উচিত নয়। পিরিয়ড শুরুর পঞ্চম, ষষ্ঠ, চৌদ্দ এবং ষোড়শ দিনে এটি করা উচিত।
পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কিত বিধি
শারীরিক সম্পর্ক করার আগেও প্রস্তুতি নেওয়া হত। মহিলা এবং পুরুষ উভয়ই তাদের যৌনাঙ্গ ভালভাবে পরিষ্কার করত। এই জন্য, তারা যৌনতার আগে স্নান করা উপযুক্ত বলে মনে করত।
শরীরে অবশ্যই পোশাক থাকা উচিত
পরামর্শ দেওয়া হয় যে, পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক করা উচিত নয়। অবশ্যই শরীরের উপর একটি কাপড় বা বস্ত্র রাখা উচিত। এর পেছনের কারণ হল, কোনও বিপদ বা দু'জনের মধ্যে কোনও একজনের দুর্ঘটনাক্রমে মৃত্যুর জন্য বিনা বস্ত্রতে থাকা উচিত নয়।
কামশাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন ছিল
পুরাতন যুগে পুরুষ মহিলা উভয়েরই কামশাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি বলে বিবেচিত হত। আচার্য বাৎস্যায়নের মতে, কামশাস্ত্রের জ্ঞান থাকলে স্বামী-স্ত্রীর যৌন জীবন ভাল হয়, যা তাদের বিবাহিত জীবনকে আনন্দদায়ক করে তোলে।
গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত বিধি
স্ত্রী গর্ভবতী থাকাকালীন প্রত্যেক দম্পতিরই যৌন মিলন এড়ানো উচিত, অন্যথায় শিশুর পঙ্গু হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ভালোবাসা ও যৌনতা নিয়ে এই আজব তথ্যগুলি আপনি জানেন কি?
সময় সম্পর্কিত নিয়ম
মহিলা ও পুরুষদের সকাল-সন্ধ্যা পূজার সময় বা দিনের বেলা যৌন মিলন এড়ানো উচিত, এটি ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বর্ণিত হয়েছে। এমনকি সূর্যাস্ত, সূর্যোদয় ,গ্রহণ, মৃত্যু, শ্রাদ্ধ, অমাবস্যা, নক্ষত্র, ভদ্র, দিবাকাল-এ শারীরিক সম্পর্ক করা উচিত নয়। এটি করলে সেই ব্যক্তির অর্জিত পুণ্য ধ্বংস হয়ে যায়।
যৌনতার উপযুক্ত সময়
শারীরিক সম্পর্ক তৈরির সবচেয়ে উপযুক্ত সময় সম্পর্কে সর্বদা চর্চা হয়। প্রাচীন নিয়ম অনুসারে, রাতের প্রথম প্রহরে যৌন মিলন করা উপযুক্ত বলে বলা হয়েছে। এটি বিশ্বাস করা হয় যে, মধ্যরাতে যৌন মিলন চণ্ডালের সাথে সম্পর্কিত এবং এটি থেকে জন্মগ্রহণ করা সন্তান পৈশাচিক প্রবৃত্তির হতে পারে।
সঙ্গীর সম্মতি
প্রাচীনকালে, সঙ্গীর ইচ্ছা এবং সম্মতিকে গুরুত্ব দেওয়া হত। যদি সঙ্গীর যৌন মিলনের ইচ্ছা না থাকে, তবে এমন পরিস্থিতিতে কোনও ধরনের জবরদস্তি করা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।