For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

হার্ট-লাং-কিডনি- চোখকে সারা জীবন চাঙ্গা রাখতে চান নাকি? তাহলে নিয়মিত ১০,০০০ স্টেপ নিতে ভুলবেন না!

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি স্টাডি অনুসারে ১০,০০০ স্টেপ নেওয়া এবং ৩০ মিনিট জিমে ওয়ার্কআউট করার ফল একই।

|

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি স্টাডি অনুসারে ১০,০০০ স্টেপ নেওয়া এবং ৩০ মিনিট জিমে ওয়ার্কআউট করার ফল একই। আর্থাৎ প্রতিদিন একটু হাঁটাহাঁটি করলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছোট-বড় সব রোগে দূরে পালায় চোখের পলকে। তবে এখানেই শেষ নয়, চিকিৎসকদের মতে এই নির্দিষ্ট সংখ্যক স্টেপ নেওয়া শুরু করলে প্রায় ৩৫ ধরনের ক্রণিক রোগের খপ্পরে পরার আশঙ্কা হ্রাস পায়, যার কিছু কিছু নিয়ে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

প্রসঙ্গত, নিয়মিত ১০,০০০ স্টেপ নেওয়ার পরিবর্তে যদি দিনের বেশিরভাগ সময় বসে কাজ করেন, আর অফিস থেকে বাড়ি ফিরে নেটফ্লিক্স অথবা অ্যামাজন পাইমে ঘোরাঘুরি করেন, তাহলে যে যে শরীরিক উপতারিতাগুলি থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, সেগুলি হল...

১. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

১. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

"আমেরিকান একাডেমি অব অর্থোপেডিক সার্জেন" নামক সংস্থার করা এক গবেষণা অনুসারে নিয়মিত ১০০০-১০,০০০ স্টেপ নিলে পুরো স্কেলিটনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ শরীরে উপস্থিত প্রতিটি হাড়ের শক্তি এত মাত্রায় বৃদ্ধি পায় যে অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

২. অনিদ্রার মতো সমস্যা দূর হয়:

২. অনিদ্রার মতো সমস্যা দূর হয়:

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত হাঁটা-হাঁটি করলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যার প্রভাবে বেশ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যে কারণে অনিদ্রার মতো সমস্যা দূর হতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, যারা রাতের পর রাত জেগে কাটান, তারা নিয়মিত ১০,০০০ স্টেপ নিতে ভুলবেন না যেন!

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করলে পেটের চর্বি বা ভিসারেল ফ্যাট কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরের অন্যত্র জমে থাকা অতিরিক্ত মেদও কমে যায়। ফলে সার্বিকভাবে ওজন হ্রাস পায়। তাই তো যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন, তারা আজ থেকেই অল্প বিস্তর হাঁটা শুরু করে দিন। দেখবেন উপকার পাবেন।

৪. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে:

৪. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে:

স্মৃতিশক্তি কার কতটা শক্তিশালী হবে, তা নির্ভর করে মস্তিষ্কের হিপোকম্পাস অংশের উপর। আর প্রতিদিন হাঁটলে হিপোকম্পাসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তি এবং মনে রাখার ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাই তো বলি বন্ধু ব্রেন পাওয়ারকে যদি বাড়িয়ে তুলতে হয়, তাহলে নিয়মিত ১০,০০০ স্টেপ নিতে ভুলবেন না যেন!

৫. আয়ু বৃদ্ধি পায়:

৫. আয়ু বৃদ্ধি পায়:

ঘাম ঝড়িয়ে হাঁটতে হবে না, হলকা চালে ১০,০০০ স্টেপ হাঁটলেই উপকার মিলবে একেবারে হাতে-নাতে! কেমন উপকার? এই যেমন ধরুন কম বয়সে হঠাৎ মৃত্য়ুর হাত থেকে রক্ষা পাতে হাঁটার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। সেই সঙ্গে শরীরে সচলতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একাধিক লাইফ স্টাইল ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আয়ুর বৃদ্ধি ঘটে।

৬. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে:

৬. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে:

কয়েকজন জাপানী বিজ্ঞানির করা এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ১০,০০০ স্টেপ নিলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই তো যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা যদি নিয়মিত একটু-আধটু হাঁটা-হাঁটি না করেন, তাহলে কিন্তু বিপদ!

৭. হার্টের শক্তি বাড়ে:

৭. হার্টের শক্তি বাড়ে:

চিকিৎসকদের মতে সারা দিনে ১০০০ থেকে ১০,০০০ স্টেপ নিলে নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৮ শতাংশে কমে যায়। আর যদি এই সময়টা বাড়িয়ে ৪০ মিনিট হাঁটতে পারেন তাহলে তো কথায় নেই! সেক্ষেত্রে হার্ট ডিজিজের কারণে অসুস্থ হয়ে পরার সম্ভাবনা প্রায় ১৮-২০ শতাংশ কমে যায়।

৮. রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়া-কমা কম করে:

৮. রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়া-কমা কম করে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে লাঞ্চ এবং ডিনারের পর নিয়ম করে হাঁটার অভ্যাস করলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই আমাদের দেশ ডায়াবেটিস ক্যাপিটালে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এদেশে প্রতি বছর নতুন করে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখতে এইটুকু কসরত করতেই পারেন বলে মনে হয়, তাই না!

৯. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

৯. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার তত্ত্বাবধানে হওয়া এক সমীক্ষায় দেখা গেছে সারা দিনে যে কোনও সময় ২০ মিনিট হাঁটলে সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে এনার্জির ঘাটতি কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় দূর হয়।

১০. মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে:

১০. মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে:

একাধিক গবেষণায় ইতিমধ্যেই একথা প্রমাণিত হয়েছে যে হলকা চালে কয়েক মিনিট হাঁটলেই মন ভাল হয়ে যায়। আসলে হাঁটার সময় আমাদের মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা নিমেষে মন খারাপকে আনন্দে বদলে দেয়। ফলে ডিপ্রেশন এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

১১. হাঁটলে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:

১১. হাঁটলে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত হাঁটলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দশকে এদেশে যে হারে এই মারণ রোগের প্রকোপ বেড়েছে, তাতে নিয়মিত হাঁটার প্রয়োজনও যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই কিন্তু!

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Will 10,000 Steps a Day Make You Fit?

You do not need to run marathons or triathlons to get a significant health improvement. Instead you get a lot of fitness and emotional gains from a small amount of daily walking.
Story first published: Wednesday, September 19, 2018, 17:13 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion